Thursday, August 21, 2014

নারীর প্রথম আকর্ষণ পুরুষের কণ্ঠস্বর



সঙ্গী বাঁছাইয়ের ক্ষেত্রে পুরুষের কোন দিকগুলো একজন নারীকে আকৃষ্ট করে- এমন প্রশ্নে উত্তর আসবে হরেক রকম। কেউ হয়ত পুরুষটির পেশাকে গুরুত্ব দেবেন, কেউ হয়ত দেবেন উচ্চতা। কেউ বলবেন অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, তো কেউ বলবেন শিক্ষাগত যোগ্যতা। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সম্প্রতি একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়েছেন। তারা বলছেন, পুরুষের প্রতি নারীদের আকর্ষণের রহস্য নাকি লুকিয়ে রয়েছে কণ্ঠস্বরের মধ্যে। বৈজ্ঞানিকদের দাবি, কণ্ঠ শুনেই বক্তার চেহারা কল্পনা করে নেন নারীরা। এজন্য রেডিও জকি বা উপস্থাপকদের না দেখে কণ্ঠ শুনেই অনেক মেয়ে তাদের প্রেমে পড়ে যান।

নিত্য জীবনে প্রতিদিন কখনও সামনা-সামনি, কখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বা টেলিফোনে অনেকের সঙ্গেই আমাদের আলাপ হয়। অনেকসময় উল্টোদিকের মানুষটির গলার আওয়াজ শুনেই আন্দাজ করতে হয়, মানুষটা কেমন। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, কণ্ঠস্বর আমাদের মনে গভীর রেখাপাত করে। আওয়াজ শুনেই একজন নারী অচেনা পুরুষটির শারীরিক গঠন, উচ্চতা, সেন্স অফ হিউমার- আন্দাজ করার চেষ্টা করেন। এমনকি, টেলিফোনের উল্টোদিকের মানুষটি কতটা প্যাশনেট তাও আঁচ করার চেষ্টা করে নারীমন। গবেষকদের ব্যাখ্যা, শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি বা স্পন্দন এবং কণ্ঠের ওঠানামাই আসল বিষয়। ভাষা, শব্দ, বাক্য – এ সব বিষয় নাকি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের গবেষণার আরও বলা হচ্ছে, পুরুষদের কণ্ঠ ভারি এবং নারীদের ‘হাই পিচড’ হলে সকলে তাকে আকর্ষণীয় মনে করে৷ এমন কণ্ঠের শ্রোতা তখন বক্তার শারীরিক গঠন কল্পনা করে নেয় মনে মনে। শুধু তত্ত্ব নয়, গবেষকরা হাতেনাতে পরীক্ষা করে নিজেদের দাবি প্রমাণ করেছেন। ১০ জন নারীকে একটি রেকর্ডেড পুরুষ কণ্ঠ শোনানো হয়েছিল। পুরুষকন্ঠটি শুনে নারীদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। দেখা যায়, প্রত্যেকেই গলার আওয়াজ শুনে পুরুষটির শারীরিক গঠন, যৌন আবেদন, এমনকি মুখের গড়নও আঁচ করার চেষ্টা করেছেন। ওই নারীদের উত্তর বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আরও কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। যেমন পুরুষটি কণ্ঠে ভারি হলে, কণ্ঠ কম কাঁপলে নারীরা তা বেশি পছন্দ করে।

No comments:

Post a Comment

Thanks