Sunday, December 23, 2018

মোজা পায়ে দিলেই দুর্গন্ধ হয়? মেনে চলুন ঘরোয়া কিছু উপায়





সারা বছর মোজা না পায়ে দিলেও শীতে বাধ্য হন অনেকেই। বাইরের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে গরম রাখতে মোজার ব্যবহার অনস্বীকার্য। কিন্তু অনেকেরই মোজা পরলে পা ঘামে।
মোজায় সারা দিন ভিজে চটচটে ভাব, এ দিকে ঘামের গন্ধের চোটে জুতা খোলারও উপায় নেই। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে মোজা খুললেই গন্ধের দায়ে টেকা দায় হয়ে ওঠে। পা ধুলেও এই গন্ধ সব সময় যায় না।
সারা বছর এমন সমস্যার মুখোমুখি হলেও, শীতে তুলনামূলকভাবে পা ঘামে বেশি। ঘাম জমা পায়ে খুব দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মায়। ফলে এর থেকে নানা রোগের সৃষ্টি হয়। কিন্তু জানেন কি, খুব সহজেই ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই দুর্গন্ধ দূর করা যায়।
মোজা পরার আগে এর মধ্যে যে কোনও একটি উপায় অবলম্বন করলেই পায়ে ঘামের সমস্যা কমবে। জেনে নিন সেসব উপায়।
লবণ পানি: মোজা পায়ে দিলেই পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল যারা, তাদের জন্য এই উপায় সেরা বিকল্প। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ লবণ  পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। ছত্রাক রোধ করতে সক্ষম লবণ। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা দূর করতে লবণ পানির জুড়ি নেই।
বেকিং সোডা: এর অ্যাসিটিক উপাদান পায়ে ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে দেয় না। ঘামকেও ঠেকিয়ে রাখে। তাই মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিন। এবার  সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে ঘষে নিন পায়ের পাতায়। জুতার ভিতরেও খানিকটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে নিতে পারেন।
তবে এর সঙ্গে মেনে চলুন কিছু অভ্যাস। প্রতিদিন ব্যবহার করুন পরিষ্কার মোজা। একই মোজা পরপর দু’দিন ব্যবহারের বদভ্যাস তাড়ান। এতেও দুর্গন্ধ দূর না হলে জুতা বদলান। অনেক সময় কমদামি জুতার চামড়া থেকেও দুর্গন্ধ ছড়ায় পায়ে।

শীতকালীন বিষণ্নতা দূর করার সাত উপায়




এই শীতে আপনি যদি অলস বা বিষণ্ণ বোধ করেন, মনে রাখবেন এটি আসলে ঋতু পরিবর্তনের কারণে যা সিজোনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসওর্ডার (এসএডি) নামে পরিচিত এটি এমন একটি ডিপ্রেশন ফর্ম যা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় অনুভূত হয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে এসএডি উপসর্গ দেখা দিতে পারে
সাধারণত, এসএডি-তে আক্রান্তরাই শীতকালীন বিষণ্নতায় ভোগে। ঠাণ্ডা তাপমাত্রা আর দিন ছোট হওয়ায় এই সময় বেশিরভাগ মানুষকে পেশাগত কারণে বাইরে থাকতে হয়। ফলে ঠাণ্ডা আবহাওয়া মানুষের শরীর মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তবে, এসএডি-এর মোকাবিলার বিভিন্ন উপায় রয়েছে যাতে এই শীতেও আপনি ধারণ করতে পারেন ফুরফুরে মেজাজ
নিচে এর কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো :
১। ঘুম থেকে উঠে পড়ুন ভোরে
শীতকালে সূর্য মামা উঠে পড়ে খানিকটা আগেই। এসএডি-এর মোকাবিলার একটি উপায় হলো সূর্যের আলোয় আরো বেশি সময় কাটানো। আপনিও উঠে পড়ুন সূর্য ওঠার সাথে সাথে। এই সময় এটি করা বেশ কঠিন, কিন্তু মনে রাখবেন সূর্যের আলো শীতে আপনার শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনার মেজাজ বেশ ভালো থাকবে। আর যদি আপনি সপ্তাহান্তে ছুটির দিনের আগের দিন মধ্যরাতের পর ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে ওঠেন দুপুরে তবে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন যাতে অন্তত সকাল ১০টার ভেতর উঠতে পারেন। অন্যথায় শীতজনিত সমস্যাটি আপনার থেকেই যাবে
২। জানালা খুলে পর্দা তুলে দিন
দিনের বেলা যাতে সূর্যালোক আপনার ঘরে প্রবেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করুন। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পাশাপাশি ঘরের জানালা খুলে পর্দাগুলো ওপরে তুলে দেন। সম্ভব হলে জানালার পাশে বসে থাকুন কিছুক্ষণ। তবে জানালার কাচ ভেদ করে আসা সূর্যালোক যেন আপনার শরীরে না লাগে। সরাসরি আসা সূর্যের আলোতে বসুন। এতে শীতজনিত বিষণ্নতা অনেকখানি কেটে যাবে
৩। সকালে হাঁটতে বের হন
ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হন। নিজেকে মেলে ধরুন সূর্যালোকে। সময় আপনার শরীর কিছু সজিব বাতাসের স্পর্শও পাবে। তাছাড়া ব্যায়াম তো পুরো শরীরের জন্যই ভালো। এটি শরীরকে চনমনে করে তুলবে। যদি আপনি ঘুম থেকে উঠতে হাঁটতে না পারেন তবে যখনই ওঠেন না কেন সোজা চলে যান জিমে। 
৪। প্রচুর পরিমাণ ফল সবজি খান 
যদি আপনি ভালো খাবার খান তবে আরো ভালো বোধ করবেন। খাবার তালিকায় যোগ করুন প্রচুর পরিমাণ ফল সবজি। শীতে কখনো কখনো কেবল অনুপোযোগী খাবার গ্রহণের কারণেই স্ফীত আর অলস বোধ হয় যা আপনার মেজাজকে খারাপ করে দেয়। কিন্তু যদি আপনি ফল সবজি খেয়ে বাইরে বের হন, দেখবেন কেমন ফুরফুরে বোধ হচ্ছে। কেননা, ফল সবজিতে যে  ভিটামিন অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে তা শীতে আপনার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
৫। বেশি মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
অ্যালকোহল বিষণ্নতা সৃষ্টিকারী এমন একটি উপাদান যা আপনাকে অস্বস্তিতে ভরিয়ে দেবে। প্রচণ্ড শীতে হালকা রেড ওয়াইনে আপনি ভালো বোধ করবেন। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান কোনোভাবেই স্বস্তিদায়ক হবে না। অত্যধিক অ্যালকোহল খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে অসাড় করে দেবে। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদে এটি আপনার শরীর বা মনকে ক্ষতিই করবে
৬। কিনতে পারেন হালকা থেরাপি বাতি
আপনি যদি এমন কোনো এলাকায় থাকেন যেখানে শীতকালে সূর্যালোক প্রবেশ করে খুব কম, সেক্ষেত্রে একটি হালকা থেরাপি বাতি কিনতে পারেন। এই ল্যাম্প এমন আলো বিকীর্ণ করে যা সূর্যের আলোর মতোই। এটি আপনার শরীরে সূর্যালোকের বিভ্রম এনে দেবে
৭। দেখা করুন বন্ধুদের সঙ্গে 
বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা আড্ডা মনকে ভালো করার একটি দুর্দান্ত উপায় বন্ধুর ডিনারে যাওয়ার বা পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় আপনার নেই, কিন্তু মনে রাখবেন এই  সম্পর্ক রক্ষা করা আপনার ব্যক্তি জীবনের সুখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে এই মানুষগুলোই আপনার যত্ন নেবে, আপনার পাশে দাঁড়াবে

Copy from:- http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2018/12/17/715673