Thursday, December 31, 2015

চোখের নিচের কালি এবং ফোলাভাব যে উপায়ে দূর করবেন




সৌন্দর্যের অন্যতম অঙ্গ হল চোখ। আর এই চোখের নিচের কালি আপনার সৌন্দর্যকে অনেকখানি কমিয়ে দিয়ে থাকে। ছেলে মেয়ে উভয় এই চোখের নিচের কালি সমস্যায় পড়ে থাকেন। মূলত অতিরিক্ত রাত জাগা, অনিয়মিত ঘুম চোখের নিচে কালি পড়ার জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে যার কারণে চোখের নিচে কালি পড়ে থাকে।

কারণ জন্মগত অপর্যাপ্ত ঘুম অ্যালার্জি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রক্তস্বল্পতা  মানসিক চাপ স্ট্রেস বয়সের প্রভাব হরমোনের পরিবর্তন ইত্যাদি বাজারে নানারকম আই ক্রিম কিনতে পাওয়া যায়। এই আই ক্রিমগুলো চোখের নিচের কালি দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু সবসময় এই ক্রিমগুলো কাজ নাও করতে পারে। চোখের নিচে কালি দূর করার সবচেয়ে কার্যকর হল ঘরোয়া কোন পদ্ধতি। খুব সহজ এবং কার্যকরী একটি পদ্ধতি দ্বারা আপনার চোখের নিচের কালি দূর করার সাথে সাথে চোখের নিচের ফোলাভাবও দূর করা  সম্ভব।   যা যা লাগবে শসা তুলোর প্যাড বা তুলোর টুকরো যেভাবে লাগাবেন ১। একটি শসা খোসা ছাড়িয়ে নিন।   ২। এবার এটি গ্রেট করে রস করে ফেলুন। ৩। শসার রসে দুটি তুলোর প্যাড বা তুলোর টুকরো ভিজিয়ে নিন। ৪। এখন এটি চোখের নিচের কালির উপর দিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।  ৫। এটি চোখের নিচের কালি এবং ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করবে। ৬। আপনি চাইলে শসার রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। সমপরিমাণে শসার রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর তা তুলার প্যাডের সাহায্যে চোখের নিচে লাগান। নিয়মিত শসার রস ব্যবহারে চোখের নিচের কালি, চোখের ফোলা ফোলাভাব দূর হয়ে থাকে। টিপস: ১। চোখের ফোলা ফোলাভাব দূর করার জন্য ঘুমানোর সময় মাথার পিছনে একাধিক বালিশ দিয়ে নিন। ২। সময়মত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ৩। ঘুমাতে যাওয়ার আগে অব্যশই চোখের যাবতীয় মেকআপ মুছে ফেলুন। ৪। লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন। অতিরিক্ত লবণ চোখের নিচে ফোলার জন্য দায়ী। ৫। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ৬। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর সবজি এবং ফল রাখুন।

 - See more at: http://www.eurobdnews.com/beauty_tips/7577/--------#sthash.scMSC5Qe.dpuf

শীতকালে পা ফাটা থেকে পরিত্রাণের উপায়




চলছে শীতকাল। আর এ সময় পা ফাটে অনেকের। শীতকালে পা ফাটা সত্যিই অনেক সমস্যা। লজ্জায় পড়ে যেতে হয়। তাই এই পা ফাটা রুখতে আমরা অনেক কিছুই করি। কিন্তু রুখতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে পড়ি। শীতের শুরুতেই যদি একটু সচেতন থাকি তাহলে পা ফাটা রোধ করে থাকতে পারি উজ্জল ও সুন্দর। আসুন জেনে নেই কিভাবে পা ফাটা রোধ করা যায়।

১. রাতে শোওয়ার আগে এক গামলা ঈষদুষ্ণ জল নিয়ে তাতে লেবুর রস, নুন, গ্লিসারিন আর গোলাপ জল মিশিয়ে মিনিট কুড়ি পা দুটো ভিজিয়ে রাখুন৷ তারপর পা তুলে পিউমিক স্টোন দিয়ে ভালো করে ঘষুন৷ মরা চামড়াগুলো উঠে আসবে। এরপর পা ধুয়ে, শুকনো করে মুছে গ্লিসারিন, লেবুর রস আর গোলাপ জল মিশিয়ে পায়ের ফাটা জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে রাখুন। তারপর মোজা পরে শুয়ে পড়ুন৷পায়ে একটু চিটচিটেভাব লাগবেও কয়েকদিনের মধ্যেই উপকার পাবেন।

২. পিউমিক স্টোন দিয়ে পা ঘষার পর ভেজিটেবল অয়েল লাগিয়ে মোজা পরে শুলেও পা ফাটার সমস্যা কমবে। তবে কখনওই পিউমিক স্টোন দিয়ে জোরে ঘষবেন না। পা কেটে সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।

৩) পাকা কলা চটকে পায়ের ফাটা অংশগুলোয় লাগিয়ে প্রায় মিনিট দশেক রেখে দিন। দশ মিনিট পর ধুয়ে নিন। চাইলে কলার সঙ্গে মেশাতে পারেন অ্যাভোকাডোও । এ দুটো উপাদানের মিশ্রণ পায়ে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে প্রচুর ভিটামিন ও এসেনসিয়াল অয়েল রয়েছে, যা পা ফাটা কমাতে দারুণ উপকারী।

৪) শুধু গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষার পর এক টেবিলচামচ লেবুর রস আর খানিকটা ভেসলিন মিশিয়ে ভালো করে ঘষুন। এরপর পায়ে গলিয়ে নিন মোজা। উষ্ণতায় মিশ্রণটি ভালো কাজ করবে। আস্তে আস্তে কমে আসবে ফাটা পায়ের সমস্যা।

৫) এছাড়াও সরষের তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মোম গলিয়ে লাগালেও উপকার মিলবে অচিরেই।

৬) গরম জলে যখন পা ডুবিয়ে রাখবেন, তাতে এক কাপ মধু মিশিয়ে পা ভেজালেও ডেডস্কিন নরম হয়ে উঠে আসবে সহজেই।

৭) পা ঘষার পর তুলোতে করে অল্প অলিভ অয়েল লাগালেও পায়ের উপকার হবে। আর ফাটা পা নিয়ে লোকসমাজেও আপনাকে আর লজ্জায় পড়তে হবে না। 

ব্রণ দূর করতে গোলাপজলের ব্যবহার




রণের সমস্যায় ভোগেন কমবেশি অনেকেই। ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, মানসিক চাপ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ব্রণ উঠতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে ব্রণ দূর করার এক মহৌষধের নাম গোলাপজল। লোমকূপ থেকে ময়লা বের করে ত্বক পরিষ্কার রাখে এটি। প্রতিদিন ত্বকে গোলাপজল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ব্রণ ও ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে। জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপজল-

 গোলাপজল ও লেবু 
১০ ফোঁটা গোলাপজল ও ৬ ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মেশান। ত্বকের যেখানে ব্রণ বেশি ওঠে সেখানে লাগান। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে লেবুর অ্যাসিডিক গুণ ও গোলাপজলের নমনীয়তা দূর করবে ব্রণের সমস্যা।

গোলাপজল ও কমলার খোসা
কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কমলার খোসায় থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি দূর করবে ব্রণ। গোলাপজল ও চন্দন চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মেশান। পেস্টটি সরাসরি ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

গোলাপজল ও আদা 
আদার রসের সঙ্গে গোলাপজল মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। আদার অ্যান্টি-ব্যাকটেবিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ব্রণের দাগ থেকেও মুক্তি দেবে। 

জেনে নিন বিনা পয়সায় কিভাবে গুডবাই জানাবেন এলার্জিকে



চলমান জীবনে এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা যিনি ভুক্তভোগী শুধু তিনিই জানেন। এর উপশমের জন্য কতজন কত কিছুই না করেন। তবুও এর সুরাহা হয় না। কত সুস্বাদু খাবার চোখের সামনে দেখে জিহ্বাতে পানি আসলেও এলার্জি ভয়ে তা আর খাওয়া হয় না। এজন্য বছরের পর বছর ভুক্তভোগিরা এসব খাবার খাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকেন। ভোগেন পুষ্টিহীনতায়। তবে এর জন্য আর চিন্তা নয়। এলার্জি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সব চিন্তা মাথা থেকে ছেড়ে ফেলুন। এবার বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে–
১. এক কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।
২. শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন।
৩. এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। এক চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া এবং এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
৪. আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।
৫. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে।
৬. কার্যকারিতা শুরু হতে এক মাস লেগে যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর মাংস, চিংড়ি, কচু, কচুশাক, গাভীর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য খাবার খান। দেখবেন কোনও সমস্যা হচ্ছে না। 

Monday, December 21, 2015

চিরকালের জন্য কোমর ব্যথা দূর করার জাদুকরি উপায়!



কোমর ব্যথার সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভুগে থাকেন। তবে মহিলারা বেশি কোমর ব্যথায় বেশি ভোগেন। প্রথম থেকে কোমরের ব্যথা নির্মূল করতে না পারলে রোগীকে ভবিষ্যৎ এ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। একটি উপায়ে খুব সহজে এই ব্যথা উপশম করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই কোমর ব্যথা দূর করার জাদুকরি উপায়টি।

কেন হয় কোমর ব্যথা 
১. ওজন উচ্চতা অনুযায়ী বেশি হলে।
২. ভারী বস্তু তোলার কাজ করলে।
৩. কোমরে চোট পেলে।
৪. অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করলে।
৪. পা পিছে কোথাও পড়ে গেলে।
৫. নিয়মিত গাড়ি চালালে।
৬. সাধারণত কুঁজো হয়ে হাঁটলে বা বসলে।
৭. গর্ভধারণ সময়ে।
৮. হঠাৎ কোনো কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু—এই তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে।


এই কোমর ব্যথা খুব সহজে দূর করা সম্ভব। আদা যে কোনো ব্যথা কমাতে সক্ষম। আদার মাধ্যমেই দূর করে দিতে পারবেন এই সমস্যা। আসুন জেনে নিই এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী আদা পানি বানানোর প্রক্রিয়াটি।


যা যা লাগবে 
১. আদা
২. পরিষ্কার পাতলা কাপড়
৩. গরম পানি


কিভাবে তৈরি করবেন 
প্রথমে আদা কুচি করে ফেলুন। এরপর আদা কুচিগুলো পাতলা কাপড়ে রাখুন। কাপড়টির মুখ সুতা বা রশি দিয়ে বন্ধ করে দিন। একটা পুটলি বানিয়ে ফেলুন। এবার চুলায় পানি গরম করতে দিন। এই পানির মধ্যে আদার পটলিটা চিপে রস পানিতে দিন। রস ভাল করে চিপে ফেলার পর আদার পুটলিটা পানির মধ্যে দিয়ে দিন। এবার একটি কাপড় গরম আদা পানিতে চুবিয়ে নিন। এবার কাপড়টি থেকে ভাল করে পানি চিপড়িয়ে ফেলুন। এই আদা পানিতে চুবানো কাপড়টি ব্যথার জায়গায় রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন কাপড়টা যেন খুব বেশি মোটা না হয়। সারা রাত কাপড়টি ব্যথার জায়গায় রেখে দিন। সারা রাত সম্ভব না হলে কয়েক ঘণ্টা এটি ব্যথার জায়গায় রেখে দিন। দেখবেন কোমর ব্যথা গায়েব হয়ে গেছে। এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি আরাম দেবে।

স্মার্টফোনের র‌্যাম বাড়াবেন যেভাবে



ফোন স্মার্ট হলেই তো হল না। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। মুহূর্তে পুরনো হয়ে যাচ্ছে আপনার স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল RAM। স্মার্টফোনে RAM কম হওয়া মানে হাইডেফিনেশন কোনও গেম বা অ্যাপ ইনস্টল করা কঠিন। করলেও চালাতে গেলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। এরকম হলেই নতুন স্মার্টফোন কেনার দরকার নেই। RAM বাড়ানো যায় সহজেই। RAM বাড়ানোরও বেশ কিছু অ্যাপ আছে। তবে ডিভাইসটিও রুটেড হতে হবে। প্রয়োজন, একটি ক্লাস ৮ বা ১০ মাইক্রো এসডি কার্ড। অ্যাপ লাগবে Busy Box installer App, RAM Expander। এই RAM Expander বা simple root swap-- দু'টি অ্যাপ ব্যবহার করেই RAM বাড়ানো যায়। প্রক্রিয়া :  প্রথমে অ্যাপটি চালু করুন। এক্ষেত্রে মেমরি কার্ডে নির্দিষ্ট অংশ RAM হিসেবে ব্যবহার করার জন্য SWAP করে নিতে হবে। এর জন্য RAM Expander-এ Swap ফাইলের ইন্ডিকেটরকে ডান বা বামে সরিয়ে কাঙ্ক্ষিত SWAP ফাইলের সাইজ করে নিতে হবে। এখানে যা সাইজ দেবেন, তাই কিন্তু আপনার বাড়তি RAM। যেমন ফোনের RAM যদি ৫১২Mb হয়, তাহলে ৫১২Mb থেকে ১GB পর্যন্ত RAM বাড়ানো যাবে। মেমরি কার্ড যদি ৪ জিবি-র হয়, তাহলে সর্বোচ্চ ৫১২Mb বাড়াতে পারবেন। সিলেক্ট করে Swap active এনাবেল করুন। Swappiness লেখাটির উপর টাচ করলে একটি বক্স আসবে। তাতে ০ থেকে ১০০-র মধ্যে যে কোনও সংখ্যা লিখতে পারেন। এক্ষেত্রের সংখ্যা যত বাড়াবেন, মেমরি কার্ডের RAM তত বেশি ব্যবহার হবে। ৫০ দেওয়াই ভালো। বেশি দিলে কার্ড ক্র্যাশ করার ভয় থাকে। এরপর MinfreeKB-S ক্লিক করে ১ থেকে ১০০ যা ইচ্ছে সংখ্যা দিন। সব শেষে Notify icon, Autorun-সব সব ঘরে টিক দিয়ে দিন। Swap Active লেখায় টিক দিলে Swap File Creat করা শুরু হবে। অপেক্ষা করুন। Creat হয়ে গেলেই কাজ শেষ। টোটাল RAM দেখিয়ে দেবে।