Monday, September 1, 2014

বিশ্বের ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ শহর

প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে ধর্ম, জনসংখ্যা, জাত-পাত, মাদক, সন্ত্রাস, রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষ৷ এ কারণে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে৷ ‘দ্য ইকনমিস্ট’-এর জরিপ অনুযায়ী বসবাসের অনুপযোগী হিসেবে এই সাতটি দেশের, সাতটি শহরের নাম তুলে ধরা হচ্ছে আজ....

ঢাকা, বাংলাদেশ: বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ রাজনৈতিক সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি৷ স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব রাজধানী ঢাকার মানুষের উপর পড়েছে৷ জঙ্গিবাদের উত্থান এবং রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে ঢাকাকে সবচেয়ে খারাপ শহরের তালিকায় শামিল করা হয়েছে৷

দামেস্ক, সিরিয়া: খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে গড়ে ওঠা এই শহর পশ্চিম এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন৷ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এখনও গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটিতে৷ শহরের প্রতিটি মানুষের জীবনকেই তাই প্রভাবিত করছে এই যুদ্ধ৷

করাচি, পাকিস্তান: করাচি পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী৷ কিন্তু আফগানিস্তান সংকটের কারণে এই শহরটিতে বহু শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সহিংসতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শহরটি৷

ব্যাংকক, থাইল্যান্ড: ১৭৮২ সাল থেকে থাইল্যান্ডের রাজধানী এই শহরটি৷ প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে বর্তমানে দেশটিতে সেনা শাসন চলছে৷

কিয়েভ, ইউক্রেন: একটা সময় ইউরোপের শান্ত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম বলা হতো কিয়েভকে৷ অথচ রুশপন্থিদের গণআন্দোলনের কারণে বর্তমানে অস্থির অবস্থা সেখানে৷ পূর্ব ইউরোপে এখনও যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে৷ বলা বাহুল্য, এর প্রভাব পড়েছে কিয়েভেও৷

ত্রিপোলি, লিবিয়া: আরব বসন্তের পর লিবিয়ায় এখনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ মুয়াম্মার গাদ্দাফীর পতনের মধ্যে দিয়ে আন্দোলন শেষ হলেও দেশটিতে গণতন্ত্র আসেনি৷ বরং বেড়েছে কট্টরপন্থিদের প্রভাব৷

বাগদাদ, ইরাক: সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকের শিয়া, সুন্নি ও কুর্দিদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়৷ দিন যত গড়াতে থাকে বিভেদও তত বাড়তে থাকে সেখানে৷ আর এখন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সুন্নি অধ্যুষিত এলাকাগুলো দখলে হামলা চালাচ্ছে৷ রাজধানী বাগদাদেও এই হামলা অব্যাহত৷ 

No comments:

Post a Comment

Thanks