Monday, September 1, 2014

পঁচিশের পর অবিবাহিত নারীদের যে ১৫টি সমস্যা!

একটা মেয়ে ২৫ বছরে পা দিলে পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই সারাক্ষণ বিয়ের ব্যাপারে আলাপ করতে শুরু করে। যেন বিয়েতে সব সমাধান আছে পৃথীবির। আমাদের সমাজে আবার প্রবাদও আছে নারী নাকি কুড়িতেই বুড়ি।

এই কথাটি বলার কারণ হলো, ২৫ বছর বয়সের পরেই মেয়েদেরকে বিয়ে করিয়ে দেয়ার জন্য নানান দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। 'বিয়েই একটি মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্য' এমনই প্রচলিত ধ্যান ধারণার কারণেই প্রতিনিয়ত নানা রকমের বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় নারীদেরকে। তেমনই কিছু বিরক্তিকর পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।



# প্রতিদিন খাবার টেবিলে বিয়ের প্রসঙ্গ

সকালের নাস্তার সময় বা রাতের খাওয়ার সময় যখনই হোক, বাবা মা বিয়ের প্রসঙ্গ তুলবেনই। এর ফলে খাবার টেবিলে বাবা মায়ের সাথে মুখোমুখি হতেও সংকোচ ও আতঙ্ক তৈরি হয়।



# কর্মক্ষেত্রে এর ওর বিয়ের গল্প

বাসা থেকে বের হয়ে কর্মক্ষেত্রে গিয়েও যেন শান্তি নেই। অফিসেও আজ এর বিয়ে তো কাল ওর বিয়ে। আর কিছু না হলেও বিয়ের পরিকল্পনা, বিয়ের ঘটনা ইত্যাদি তো সারাক্ষণই শুনতে হয়।



# ফেসবুকের টাইম লাইনে শুধু বিয়ে ও সদ্যজাত শিশুর ছবি

সারাদিন বিয়ের আলাপ শুনে অতিষ্ট হয়ে যে ফেসবুকে কিছুটা সময় কাটাবেন সেই উপায়ও নেই। কারণ ফেসবুকের টাইম লাইন জুড়েও শুধু ব্রাইডাল ফটোগ্রাফি, বন্ধুদের বিয়ের ছবি, বন্ধুর বাচ্চার ছবি দিয়েই ভরা।



# পোশাক খুঁজে না পাওয়া বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য

বিয়ের দাওয়াতে আগে যেমন তেমন ভাবে গেলেই হতো। আর এখন না সেজে গেলে মায়ের বকুনি খেতে হয়। বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার সময়ে তাই কি পরবেন সেটা ঠিক করাই মুশকিল হয়ে যায়। তারপর কেমন সাজে আপনাকে ভাল লাগবে সেটাও ভাবার বিষয় তখন।



# কোনো পার্টিতে বন্ধুদের সাথে বন্ধুদের সঙ্গীরাও আসা

বন্ধুদের পার্টিতে গিয়েও শান্তি নেই। বন্ধুদের পার্টিতে আপনার বন্ধুরা সবাই তাদের বয়ফ্রেন্ড অথবা স্বামীকে নিয়ে আসেন। আর আপনি সেখানে যান একদম একা একাই। তখন নিজেকে অনেক অসহায় ও একা লাগে আপনার।



# আত্মীয় ও বান্ধবীর মায়েদের সারাক্ষণই আপনাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো

আপনার আত্মীয়রা ও বান্ধবীর মায়েরা সারাক্ষণই আপনাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টায় থাকবেন। নানান রকমের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসে হাজির হবেন আপনার সামনে।



# সবাই সারাক্ষণ বয়ফ্রেন্ড বা বিয়ে সম্পর্কে প্রশ্ন করে

ক্লাসমেটরা, কলিগরা, বন্ধুরা, কাজিনরা সবাই সারাক্ষণ আপনার বিয়ে কবে, বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা এসব নিয়ে প্রশ্ন করেন। যেন পৃথিবীতে বিয়ে বা প্রেম ছাড়া আর কোনো কথা বলার বিষয়বস্তু নেই।



# ঘন ঘন বিয়ের দাওয়াত পাওয়া

বিয়ের প্রসঙ্গ যখন একটি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাড়ায় তখন বিয়ের দাওয়াত পাওয়াটাও যেন বেড়ে যায়। আর বাবা মাও বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য জোর করে। কারণ বিয়ের দাওয়াতেও অনেক সময়ে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া যায়



# নানা মনগড়া কাহিনী ও গুজবের স্বীকার হওয়া

যখন সবাই আপনাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও তেমন কোনো সাড়া পাবেন না, তখন নানা রকমের মন গড়া কাহিনী তৈরি হবে আপনাকে নিয়ে। আপনি নিশ্চয়ই প্রেম করছেন কারো সাথে, অথবা প্রেমে ব্যর্থ হয়েছেন,বা আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন ইত্যাদি গুজব ছড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।



# আপনার অভিভাবকদেরকে আত্মীয়দের নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ

আপনার বিয়ে নিয়ে অভিভাবকরাও থাকবেন বিপদে। আপনার অভিভাবকরা যেখানেই যাক না কেন সেখানেই তাদেরকে আপনার বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তারা সংকোচবোধ করেন।



# বিয়ের বায়োডাটা তৈরি ও সুন্দর ছবি তোলার জন্য অভিভাবকের চাপ সৃষ্টি

আপনার ছবির সৌন্দর্য নিয়ে আপনার অভিভাবক হঠাৎ করেই বেশ উৎসাহী হয়ে যাবেন। আপনাকে বিয়ের বায়োডাটা তৈরি করতে বলা হবে এবং সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে বলা হবে।

মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য বিয়ের মিথ্যা পরিকল্পনা বলা শুরু করবে।



একটা সময়ে আপনি অতিষ্ট হয়ে নিজের বিয়ের মিথ্যা পরিকল্পনা করবেন এবং সেটা মানুষকে বলে বেড়াবেন। কেউ বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে ‘২০১৫ এর আগে বিয়ে করবো না’, ‘চাকরি পেয়ে বিয়ে করবো’, ‘নিজের টাকায় বিয়ে করবো’ ইত্যাদি অজুহাত দিবেন আপনি।হরহামেশাই আপনাকে বলা হয় যে, বয়স হয়ে গেলে বাচ্চা হবেনা বা ভালো বিয়ে হবেনা।আপনাকে একটা কথা শুনতেই হবে, কথাটি হলো ‘এখনও বিয়ে করছো না! বয়স হয়ে গেলে তো বাচ্চা হবে না’।এতো সব কিছুর পরেও আপনি নিজের জীবন নিয়ে সুখী। এতো রকমের জটিল পরিস্থিতিতেও আপনি অনুভব করতে পারবেন ভালোই আছেন আপনি। নিজের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের জীবনটাকে। অন্যের ইচ্ছায় চলতে হচ্ছেনা আপনাকে, স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করছে না।একটা সময়ে আপনি নিজেই বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবেন। আপনি মন থেকে শ্রদ্ধা করতে পারবেন এবং ভালোবাসতে পারবেন এমন কাউকেই নিজের জন্য নির্বাচন করবেন। - See more at: http://www.eurobdnews.com/different-news-of-bangladesh/2014/09/01/69182#sthash.Hz6uxGH3.dpufএকটা মেয়ে ২৫ বছরে পা দিলে পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই সারাক্ষণ বিয়ের ব্যাপারে আলাপ করতে শুরু করে যেন বিয়েতে সব সমাধান আছে পৃথীবির আমাদের সমাজে আবার প্রবাদও আছে নারী নাকি কুড়িতেই বুড়ি
এই কথাটি বলার কারণ হলো, ২৫ বছর বয়সের পরেই মেয়েদেরকে বিয়ে করিয়ে দেয়ার জন্য নানান দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। 'বিয়েই একটি মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্য' এমনই প্রচলিত ধ্যান ধারণার কারণেই প্রতিনিয়ত নানা রকমের বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় নারীদেরকে। তেমনই কিছু বিরক্তিকর পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।



#
প্রতিদিন খাবার টেবিলে বিয়ের প্রসঙ্গ

সকালের নাস্তার সময় বা রাতের খাওয়ার সময় যখনই হোক, বাবা মা বিয়ের প্রসঙ্গ তুলবেনই। এর ফলে খাবার টেবিলে বাবা মায়ের সাথে মুখোমুখি হতেও সংকোচ আতঙ্ক তৈরি হয়।



#
কর্মক্ষেত্রে এর ওর বিয়ের গল্প

বাসা থেকে বের হয়ে কর্মক্ষেত্রে গিয়েও যেন শান্তি নেই। অফিসেও আজ এর বিয়ে তো কাল ওর বিয়ে। আর কিছু না হলেও বিয়ের পরিকল্পনা, বিয়ের ঘটনা ইত্যাদি তো সারাক্ষণই শুনতে হয়।



#
ফেসবুকের টাইম লাইনে শুধু বিয়ে সদ্যজাত শিশুর ছবি

সারাদিন বিয়ের আলাপ শুনে অতিষ্ট হয়ে যে ফেসবুকে কিছুটা সময় কাটাবেন সেই উপায়ও নেই। কারণ ফেসবুকের টাইম লাইন জুড়েও শুধু ব্রাইডাল ফটোগ্রাফি, বন্ধুদের বিয়ের ছবি, বন্ধুর বাচ্চার ছবি দিয়েই ভরা।



#
পোশাক খুঁজে না পাওয়া বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য

বিয়ের দাওয়াতে আগে যেমন তেমন ভাবে গেলেই হতো। আর এখন না সেজে গেলে মায়ের বকুনি খেতে হয়। বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার সময়ে তাই কি পরবেন সেটা ঠিক করাই মুশকিল হয়ে যায়। তারপর কেমন সাজে আপনাকে ভাল লাগবে সেটাও ভাবার বিষয় তখন।



#
কোনো পার্টিতে বন্ধুদের সাথে বন্ধুদের সঙ্গীরাও আসা

বন্ধুদের পার্টিতে গিয়েও শান্তি নেই। বন্ধুদের পার্টিতে আপনার বন্ধুরা সবাই তাদের বয়ফ্রেন্ড অথবা স্বামীকে নিয়ে আসেন। আর আপনি সেখানে যান একদম একা একাই। তখন নিজেকে অনেক অসহায় একা লাগে আপনার।



#
আত্মীয় বান্ধবীর মায়েদের সারাক্ষণই আপনাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো

আপনার আত্মীয়রা বান্ধবীর মায়েরা সারাক্ষণই আপনাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টায় থাকবেন। নানান রকমের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসে হাজির হবেন আপনার সামনে।



#
সবাই সারাক্ষণ বয়ফ্রেন্ড বা বিয়ে সম্পর্কে প্রশ্ন করে

ক্লাসমেটরা, কলিগরা, বন্ধুরা, কাজিনরা সবাই সারাক্ষণ আপনার বিয়ে কবে, বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা এসব নিয়ে প্রশ্ন করেন। যেন পৃথিবীতে বিয়ে বা প্রেম ছাড়া আর কোনো কথা বলার বিষয়বস্তু নেই।



#
ঘন ঘন বিয়ের দাওয়াত পাওয়া

বিয়ের প্রসঙ্গ যখন একটি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাড়ায় তখন বিয়ের দাওয়াত পাওয়াটাও যেন বেড়ে যায়। আর বাবা মাও বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য জোর করে। কারণ বিয়ের দাওয়াতেও অনেক সময়ে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়া যায়



#
নানা মনগড়া কাহিনী গুজবের স্বীকার হওয়া

যখন সবাই আপনাকে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও তেমন কোনো সাড়া পাবেন না, তখন নানা রকমের মন গড়া কাহিনী তৈরি হবে আপনাকে নিয়ে। আপনি নিশ্চয়ই প্রেম করছেন কারো সাথে, অথবা প্রেমে ব্যর্থ হয়েছেন,বা আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন ইত্যাদি গুজব ছড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।



#
আপনার অভিভাবকদেরকে আত্মীয়দের নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ

আপনার বিয়ে নিয়ে অভিভাবকরাও থাকবেন বিপদে। আপনার অভিভাবকরা যেখানেই যাক না কেন সেখানেই তাদেরকে আপনার বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তারা সংকোচবোধ করেন।



#
বিয়ের বায়োডাটা তৈরি সুন্দর ছবি তোলার জন্য অভিভাবকের চাপ সৃষ্টি

আপনার ছবির সৌন্দর্য নিয়ে আপনার অভিভাবক হঠাৎ করেই বেশ উৎসাহী হয়ে যাবেন। আপনাকে বিয়ের বায়োডাটা তৈরি করতে বলা হবে এবং সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে বলা হবে।

মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য বিয়ের মিথ্যা পরিকল্পনা বলা শুরু করবে।



একটা সময়ে আপনি অতিষ্ট হয়ে নিজের বিয়ের মিথ্যা পরিকল্পনা করবেন এবং সেটা মানুষকে বলে বেড়াবেন। কেউ বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে২০১৫ এর আগে বিয়ে করবো না’, ‘চাকরি পেয়ে বিয়ে করবো’, ‘নিজের টাকায় বিয়ে করবোইত্যাদি অজুহাত দিবেন আপনি।হরহামেশাই আপনাকে বলা হয় যে, বয়স হয়ে গেলে বাচ্চা হবেনা বা ভালো বিয়ে হবেনা।আপনাকে একটা কথা শুনতেই হবে, কথাটি হলোএখনও বিয়ে করছো না! বয়স হয়ে গেলে তো বাচ্চা হবে নাএতো সব কিছুর পরেও আপনি নিজের জীবন নিয়ে সুখী। এতো রকমের জটিল পরিস্থিতিতেও আপনি অনুভব করতে পারবেন ভালোই আছেন আপনি। নিজের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের জীবনটাকে। অন্যের ইচ্ছায় চলতে হচ্ছেনা আপনাকে, স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করছে না।একটা সময়ে আপনি নিজেই বিয়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবেন। আপনি মন থেকে শ্রদ্ধা করতে পারবেন এবং ভালোবাসতে পারবেন এমন কাউকেই নিজের জন্য নির্বাচন করবেন।

No comments:

Post a Comment

Thanks