Sunday, November 30, 2014

মিথলজি :: রহস্য রমণী আরাদিয়া

আরাদিয়াকে ডাইনি পরিচয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান দেওয়া হলেও তার আসল পরিচয় নিয়ে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক রয়েছে আজও বিশেষ করে চার্লস লেইল্যান্ড যিনি একজন লোকসাহিত্য বিশারদ তার গ্রন্থে আরাদিয়াকে উপস্থাপনের মাধ্যমে তার অস্তিত্ব সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করেন তার বইটি ১৮৯৯ সালে ইতালীয় ভাষায় প্রকাশ হয়েছিল বইটি মূলত ডাইনিদের বেনগিলো বা গসপেলের অনুবাদ সে অর্থে আরাদিয়াকে প্রাচীনকালের ডাইনি সম্প্রদায়ের কালো জাদুকরদের একজন দেবী হিসেবে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এই যুক্তিটা আরও শক্ত হয় রোমান সভ্যতার পতনের সময় আরাদিয়ার প্রকাশক চার্লস লেইল্যান্ড ১৮৯০ সাল থেকে ফ্লোরেন্স শহরে লোকসাহিত্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এই সময় ম্যাডালিনা নামের একজন রমণী তাকে এই সম্প্রদায়ের একটি লিখিত পবিত্র গ্রন্থের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত করেন সে গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করেই আরাদিয়াকে তুলে আনা হয় কিন্তু জেনে রাখা ভালো, ম্যাডালিনা নিজেই একজন ডাইনি ছিলেন যিনি তাস দেখে ভবিষ্যৎ বলতে পারতেন তিনি কি কোনোভাবে ধোঁকা দিয়েছেন? হয়তো উত্তরটা, না
কারণ আরাদিয়া ছাড়াও ১৮৮৬ সালে পরিচয়ের পর থেকে ম্যাডালিনা যত ইতালীয় লোকসাহিত্য উপাদান লেইল্যান্ডকে সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন তার সবটা অগ্রাহ্য করা যায় না। আরাদিয়া ছাড়াও ম্যাডালিনার কাছ থেকে পাওয়া দলিলগুলো থেকে জানা যায় সৃষ্টিতত্ত্ব, ডায়ানা লুসিফারের কথা, তখনকার পৃথিবীর অবস্থা, আরাদিয়ার জন্ম, তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ, ডাকিনীবিদ্যার বিভিন্ন মন্ত্র কৌশল, ডাইনিদের উপাসনার পদ্ধতি, প্রচলিত ধর্মগুলোর সঙ্গে বিরোধ ইত্যাদি। ছাড়া ইতালিয়ান কিছু লোকগল্প গসপেলের শেষে যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো, বাতাসের ঘর, চন্দ্রের দেবী তানা, তানা আর এডমন্ডের কাহিনী, ম্যাডোনা, জিলানা আর ইয়ানার কাহিনী, ডায়ানার সন্তানদের কাহিনী, মার্কারি ডায়ানার বার্তাবাহীর কাহিনী ইত্যাদি। আরাদিয়াকে নিয়ে সংশয়ের শেষ হয় তখনকার পৃথিবীর অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনার সময়। দলিলগুলো সাক্ষ্য দেয়, সে সময় পৃথিবীতে প্রচুর ধনী লোক ছিল। ধনী লোকেরা একপর্যায়ে গরিবদের নিজেদের দাসে পরিণত করে ফেলে যার ফলে ভয়াবহ রকমের শ্রেণিবৈষম্যের উদ্ভব ঘটে। অত্যাচারের মুখে দাসেরা একপর্যায়ে পালাতে শুরু করে। এদের একটি দল দাসত্ব থেকে বাঁচতে পাহাড় অরণ্যে আশ্রয় নেয় এবং জীবনের তাগিদে চুরি ডাকাতি আরম্ভ করে
এই দুর্যোগতুল্য পরিস্থিতিইে চন্দ্রদেবী ডায়ানা তার কন্যা আরাদিয়াকে পৃথিবীতে প্রেরণ করে। ডায়ানা পৃথিবীর সামগ্রিক প্রতিকূলতা জয় করার জন্য আরাদিয়াকে জাদুবিদ্যায় পারদর্শী করে পাঠায়। কারণেই আরাদিয়াকে ডাইনি বলে অভিহিত করেছেন অনেক ইতিহাসবেত্তা। তবে ডাকিনীবিদ্যা ছাড়াও আরাদিয়ার আরও দক্ষতা ঈশ্বরিক ক্ষমতার উদাহরণ পাওয়া যায়। পৃথিবীতে প্রেরণের আগে আরাদিয়াকে ডায়ানা ১২টি ক্ষমতা প্রদান করেন। প্রেমের সফলতা এনে দেওয়া, ভালো এবং মন্দ দুই ধরনের মন্ত্রই ব্যবহার করা, অশরীরী আত্দার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষমতা, সেই সব মৃত যাজকের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষমতা যারা কোনো রহস্যের ব্যাপারে অবগত, ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতা থেকে গুপ্তধন খুঁজে বের করা, বাতাসের কথা বুঝতে পারা, পানিকে মদে পরিণত করা, তাস দেখে ভাগ্য গণনা করা, রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা, কুৎসিত চেহারাকে সুন্দর করা, হাতের রেখা দেখে ভাগ্য গণনা করা, আর বন্যপ্রাণীকে বশে আনা। কবি ভিভিয়ার ক্রলওয়ে তার 'চার্জ অব আরাদিয়া'তে আরাদিয়ার পরিচয় তুলে ধরে তার ক্ষমতার পরিচয় তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়, আরাদিয়া সমুদ্র বাতাসের কন্যা। চাঁদ সূর্যের কন্যা। সূর্যোদয় সূর্যাস্তের কন্যা। দিন রাতের কন্যা। আরাদিয়া এসব ক্ষমতার যোগ্য ছিল কিনা তার প্রমাণস্বরূপ কালো জাদু ব্যবহারের কথা বলা হয়ে থাকে। সে যাই হোক। আরাদিয়া পৃথিবীর দরিদ্র নিষ্পেষিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ডায়ানার পছন্দের কন্যা ছিলেন
যেসব দাস দরিদ্র শোষিত ছিল তারা সবাই পলাতক ছিল পাহাড়ে অরণ্যে। আরাদিয়ার প্রথম দায়িত্ব ছিল সেসব পলাতক দাসদের শিক্ষা দেওয়া তারা যেন তাদের অত্যাচারী মনিবদের তাদের প্রাসাদের ভিতরেই হত্যা করে। আরাদিয়াকে প্রেরণের পর তিনি একদিকে ডাইনি হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করেন অন্যদিকে দেবী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেন শোষিত দাসদের কাছে। বিতর্ক রয়েছে আরাদিয়াকে পৃথিবীতে নগ্নভাবে প্রেরণের মাধ্যমে নগ্নতার উপাসনার মাত্রা যোগ হয়। গসপেল বা লৌকিক লোকগাথা অনুযায়ী যতদিন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে সব অত্যাচারী মনিবদের পতন না ঘটবে ততদিন আরাদিয়া নগ্নভাবেই পূজিত হবে এবং অনুসারীরা নগ্নভাবেই এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে। এতে করে ক্যাথলিকদের সঙ্গে আরাদিয়ার তিক্ত সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে
যে কারণে তার ডাকিনীবিদ্যার প্রভাব উপেক্ষিত হয়ে ডাকিনী মতবাদের প্রতিষ্ঠা লাভ হয়
আরাদিয়া যে শুধু প্রাচীনকালের প্রচলিত অন্য ধর্মগুলোর সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তা নয়, বরং ১৮৯৯ সালে এই গ্রন্থটি প্রকাশের পরও একইভাবে সাহিত্যবোদ্ধাদের মাঝে এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়। ম্যাডালিনা আরাদিয়ার অনুসারীদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে আরাদিয়ার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকি তার অনুসারীদের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ার কথাও বলে বসেন অনেকে। ফলে আরাদিয়া কে ছিলেন- সে নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। যদিও ইতালীয় লোকসাহিত্যে আরাদিয়াকে স্থান দেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত আরাদিয়া কে ছিলেন সে নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। আরাদিয়াকে সমগ্র ইউরোপের রহস্য রমণী হিসেবে গণ্য করা হয়। তার পরিচয় পাওয়ার জন্য ইতিহাস ঘাঁটতে শুরু করা হয়। কিন্তু ইনকুইজিশনের ইতিহাস হাজার হাজার ডাইনিকে পুড়িয়ে মারার সাক্ষ্য দিলেও এই ডাকিনীবিদ্যা নির্ভর একটি ধর্মগ্রন্থ আছে, তা নিয়ে সন্দেহ রইল না। একপর্যায়ে ধরা হয়, আরাদিয়া নামটি উচ্চারণে বিকৃতি হয়েছে। অনেকের মতে, ইউরোপের ইতিহাসের আলোচিত চরিত্র রানী হেরোদিয়াস- আসলে এই কথিত ডাইনিদের গুরু আরাদিয়া। বিশেষ করে ইতালিতে হেরোদিয়াস পরিচিত ছিলেন এরোদিয়াদের নামে। যা উচ্চারণের দিকে আরাদিয়ার খুব কাছাকাছি
ছাড়া ভেরেনার বিশপ এই ব্যাপারে এক জায়গায় লিখেছেন, 'অনেকেই বিশ্বাস করে রানী হেরোদিয়াস আসলে একজন দেবী, পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ যার অধিকারে আছে।' তারপর যোগ হয় সেসব নারীদের নিয়ে তর্ক, যারা রাতের বেলায় বের হয়ে ডাকিনীবিদ্যা চর্চা করতেন। আরাদিয়া ডাইনি হলে কালো জাদুতে সিদ্ধহস্ত হবেন। সে বিবেচনায় রানী হেরোদিয়াসকে আরাদিয়ার চরিত্রে নামান্তর করা হয়ে থাকতে পারে। ছাড়াও আরাদিয়ার মা হিসেবে দেবী ডায়ানার যে বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে রোমান দেবী সেলেনি আর হেকাতের সঙ্গে বেশ মিল পাওয়া যায়। এদের তিনজনই রাতের অন্ধকারে আবির্ভূত হতেন এবং ডায়ানার মতোই অনুসারীদের মাঝে ডাকিনীবিদ্যার প্রসার ঘটাতেন। যা আরাদিয়ার পৃথিবীতে প্রেরণের সঙ্গে খুবই সঙ্গতভাবে মিলে যায়। হতে পারে হেরোদিয়াসই ডাইনি আরাদিয়া
ডাকিনীবিদ্যায় আরাদিয়ার পদ্ধতি অনুসরণকারী একটি গোষ্ঠী যে বিভিন্ন কালো জাদু চর্চা করত সে নিয়ে আর সংশয় রইল না যখন আরাদিয়া ইতালীয় লোকগাথায় নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়। আরাদিয়ার অনুসারীরা লোকালয়ের বাইরে পাহাড়ের গুহা বা গহিন জঙ্গলের ভিতর তাঁবু খাটিয়ে বাস করত। অনেকে আবার দীক্ষা শেষ করে লোকালয়ে এসে বিয়ে করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করত। তবে প্রশ্ন এখনো রয়েছে ইতিহাসবিদদের কাছে, আরাদিয়া হয়তো বা প্যাগান পূর্ব ভেষজ ঔষধবিদ্যা, প্রাচীন লোককাহিনী আর ডাইনিদের পুরনো দেব-দেবীদের গল্পচরিত্রের একজন। আবার অনেক গবেষক আরাদিয়াকে পৃথক নারী হিসেবে দেখেছেন। তার সত্যিকারের পরিচয় নিয়ে বিতর্কের কারণে তাকে নিয়ে নানা রোমাঞ্চকর গল্প মুখে মুখে ছড়ানো হয়েছে। কারণেই কেউ কেউ তাকে দেখেছে নগ্ন উপাসনার দেবী হিসেবে, কেউ দেখেছেন শোষিত দাসদের মুক্তিদানকারী জাদুকর হিসেবে। কেউ কেউ তাকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই দিতে চেয়েছেন ডাইনি হিসেবে। তবে সে যাই হোক না কেন, ইতালীয় লোকসাহিত্যে তার প্রভাব অপরিসীম। ডাকিনীবিদ্যার গুরু হিসেবে রকম একজন নারী মধ্যযুগে ইতালিতে আবিভর্ূত হয়েছিলেন এটা সত্য। অনুসারীদের দাবি অনুযায়ী ১৩ আগস্ট ১৩১৩ সালে ইতালির ভোল্টেরা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই রহস্য রমণী। তার পরিবার সেখানে খুব বেশিদিন থাকেনি। সেখান থেকে তারা সরে আসেন আলবান পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী নেমি শহরে। জীবনের কোনো একটা পর্যায়ে তিনি আধ্যাত্দিকতার সন্ধান পান এবং অনুসারীদের নির্জনে ডাকিনীবিদ্যার দীক্ষা দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে দীক্ষা শেষে অনুসারীদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করান কিছু জ্ঞানবাণী দিয়ে। তারপর আরাদিয়া অজ্ঞাত গন্তব্যে রওনা হন। অনেকের ধারণা, আরাদিয়া পূর্বদিকের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন
কিন্তু তার প্রস্থানের পর চিত্র বদলে যায়। কালো জাদু চর্চাকারীদের সমাজ নগররাষ্ট্র থেকে মুছে দেওয়ার জন্য তার অনুসারীদের হত্যা করা শুরু হয়

একপর্যায়ে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে কিছু অনুসারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বেশির ভাগই প্রাণ হারায়। এর পেছনের পটভূমি ছিল দ্বাদশ শতাব্দীতে কিছু তান্ত্রিকের অশুভ কর্মকাণ্ড। তাদের নিয়ে শঙ্কা করা হতো তারা মানুষের রক্তপান করে, অশুভ আত্দা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আরাদিয়ার অনুসারী যাদের ডাকা হয় 'জানা' তারা কিন্তু পাহাড়ে, গুহায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল তারা এসব বর্জন করে। অন্যদিকে আরাদিয়া হয়ে থাকে চির রহস্যময়ী এক রমণী

ছেলেদের চুল পড়া রোধে ৬টি যত্ন !


কর্মব্যস্ত পুরুষদের উচিৎ সবসময় শরীরের পাশাপাশি চুলগুলোরও যত্ন নেওয়া। কারণ পুরুষদের অনেক সময় ধরে বাইরে থাকতে হয় এবং বাইরের ধুলো-বালি, রোদ চুলের অনেক ক্ষতি করে।
এবং এতকিছুর পর সঠিক যত্নের অভাবে চুল পড়তে শুরু করে এবং ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যটাই মাটি হয়ে যায়। তাই শত ব্যস্ততার ফাঁকে সময় করে হলেও চুলের যত্ন নেয়া খুব জরুরী। জেনে নিন পুরুষের চুল পড়া রোধে যে ৬টি যত্ন নেওয়া জরুরি।
১। সপ্তাহে একদিন গরম খাঁটি নারিকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন “ই” ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলে ম্যাসেজ করতে পারেন। (ক্যাপসুল ফুটো করে ভেতরের নির্যাস বের করে নেবেন)
২। চায়ের লিকার খুব ভালো কন্ডিশনারের কাজ করে। পরিষ্কার পানিতে চা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে তা ব্যবহার করুন শ্যাম্পু করার পর। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৩। মাসে ২ বার ডিমের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে সুন্দর ও মসৃণ।
৪। চুল যেমনই হোক তেল ম্যাসেজ চুলের জন্য খুব উপকারী। সপ্তাহে ২ দিন তেল ম্যাসেজ করে, একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে পানি ফেলে নিন তারপর মাথায় গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।
৫। আপনার ব্যবহার করা চিরুনি অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না। চিরুনি সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
৬। হেয়ার স্প্রে, জেল খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।


- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/28/87733#sthash.ARXZM9Gz.dpuf

ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন দেহে রক্তশূন্যতার সমস্যা


রক্তশূন্যতার সমস্যা যে কোন সময়, যে কোন বয়সেই হতে পারে। এবং বিশেষ বিশেষ কিছু কারণে আমাদের দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে। দেহে রক্তশূন্যতার কারণে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যায়। দেখা দেয় আরও নানা রকমের সমস্যা। তাই এই সমস্যা দূর করতে চাইলে আপনি ঘরোয়া ভাবেও কিছু কাজ করলে উপকৃত হবে। চলুন জেনে নেই উপায় গুলো।
রক্তশূন্যতা কী?
আমাদের রক্তে যখন লোহিত রক্ত কণিকা হ্রাস পায় তখন বুঝতে হবে আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। দেহে রক্তশূন্যতার কারণে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে তা হলো-
১। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
২। মাথা ঘোরা
৩। শ্বাসকষ্ট
৪। বুকে ব্যথা
৫। মাথা ব্যথা
৬। বেশি ক্লান্ত থাকা
জেনে নিন রক্তশুন্যতা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে ডুমুর ফল
দেহের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে প্রতিদিন ৩-৪ টি ডুমুর ফল খেতে পারেন
ভিটামিন বি-১২ প্রতিদিন
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে প্রতিদিন ভিটামিন বি-১২ খেতে পারেন।
আয়রণ জাতীয় খাবার অথবা আয়রন ট্যাবলেট
রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন কোন ব্যক্তির এই সমস্যা হওয়ার প্রথম কারণ হল তার দেহে আয়রণের অভাব। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রণ যুক্ত খাবার রাখুন কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ পিল খেতে পারেন।
ইপসাম সল্ট দিয়ে গোসল করুন
গোসল করার জন্য পরিমাণ মত পানি নিয়ে তাতে একটু ইপসাম সল্ট মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। আর যদি এই উপায়ে গোসল করতে ভালো না লাগে তাহলে আপনার পা চুবিয়ে রাখুন ইপসাম সল্ট মেশানো পানিতে।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন
প্রতিদিন অন্তত দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। দেহে রক্তশূন্যতা দুর করার জন্য এটি খুব ভালো সমাধান।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য দেহ মালিশ করুন
দেহ মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন আপনার দেহের হাত, পা, বাহু ম্যাসেজ করুন রক্তশূন্যতা দূর করতে।
প্রতিদিন ২-৩ টি আপেল খান
ফলে অনেক বেশি পরিমানে আয়রণ থাকে। তাই সরাসরি আয়রণ গ্রহণ করতে প্রতিদিন ২-৩ টি আপেল খেতে ভুলবেন না।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল প্রতিদিন
আমাদের দেহে রক্ত কোষ তৈরিতে ভিটামিন সি জাতীয় যে কোন ফল এর উপকারিতা অনেক বেশি। তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া উচিত দেহের রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য।
রক্তশূন্যতা দূর করবে মধু
সুস্বাস্থ্যের জন্য মধুর উপকারিতার কথা আমাদের সবারই জানা। তাই দেহের রক্তশূন্যতা দূর করতে প্রতিদিন ১ চামচ মধুর সাথে পরিমাণ মত লেবুর রস মিলিয়ে পান করুন।
কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন
কফিতে ক্যাফেইন এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে আমাদের দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই কফি আপনার নাগালের বাইরে রাখুন।
যদি আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে প্রতিদিন আপনি কী খাচ্ছেন তার প্রতি নজর দিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমানে সবজি ও ফল রাখুন। ফল ও সবজির ভিটামিন ও আয়রণ আপনার দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। আপনি যদি সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে দেহে রক্তশূন্যতা সমস্যা থেকে আপনি অনেক দূরেই থাকবেন।


- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/29/87791#sthash.IvWtUxGA.dpuf

জেনে নিন, রক্তশুন্যতা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়


রক্তশূন্যতার সমস্যা যে কোন সময়, যে কোন বয়সেই হতে পারে। এবং বিশেষ বিশেষ কিছু কারণে আমাদের দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে।
দেহে রক্তশূন্যতার কারণে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যায়। দেখা দেয় আরও নানা রকমের সমস্যা। তাই এই সমস্যা দূর করতে চাইলে আপনি ঘরোয়া ভাবেও কিছু কাজ করলে উপকৃত হবে। চলুন জেনে নেই উপায় গুলো।
রক্তশূন্যতা কী?
আমাদের রক্তে যখন লোহিত রক্ত কণিকা হ্রাস পায় তখন বুঝতে হবে আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। দেহে রক্তশূন্যতার কারণে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে তা হলো-
১। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
২। মাথা ঘোরা
৩। শ্বাসকষ্ট
৪। বুকে ব্যথা
৫। মাথা ব্যথা
৬। বেশি ক্লান্ত থাকা
জেনে নিন রক্তশুন্যতা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে ডুমুর ফল
দেহের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে প্রতিদিন ৩-৪ টি ডুমুর ফল খেতে পারেন
ভিটামিন বি-১২ প্রতিদিন
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে প্রতিদিন ভিটামিন বি-১২ খেতে পারেন।
আয়রণ জাতীয় খাবার অথবা আয়রন ট্যাবলেট
রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন কোন ব্যক্তির এই সমস্যা হওয়ার প্রথম কারণ হল তার দেহে আয়রণের অভাব। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রণ যুক্ত খাবার রাখুন কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ পিল খেতে পারেন।
ইপসাম সল্ট দিয়ে গোসল করুন
গোসল করার জন্য পরিমাণ মত পানি নিয়ে তাতে একটু ইপসাম সল্ট মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। আর যদি এই উপায়ে গোসল করতে ভালো না লাগে তাহলে আপনার পা চুবিয়ে রাখুন ইপসাম সল্ট মেশানো পানিতে।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন
প্রতিদিন অন্তত দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। দেহে রক্তশূন্যতা দুর করার জন্য এটি খুব ভালো সমাধান।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য দেহ মালিশ করুন
দেহ মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন আপনার দেহের হাত, পা, বাহু ম্যাসেজ করুন রক্তশূন্যতা দূর করতে।
প্রতিদিন ২-৩ টি আপেল খান
ফলে অনেক বেশি পরিমানে আয়রণ থাকে। তাই সরাসরি আয়রণ গ্রহণ করতে প্রতিদিন ২-৩ টি আপেল খেতে ভুলবেন না।
ভিটামিন সি জাতীয় ফল প্রতিদিন
আমাদের দেহে রক্ত কোষ তৈরিতে ভিটামিন সি জাতীয় যে কোন ফল এর উপকারিতা অনেক বেশি। তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়া উচিত দেহের রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য।
রক্তশূন্যতা দূর করবে মধু
সুস্বাস্থ্যের জন্য মধুর উপকারিতার কথা আমাদের সবারই জানা। তাই দেহের রক্তশূন্যতা দূর করতে প্রতিদিন ১ চামচ মধুর সাথে পরিমাণ মত লেবুর রস মিলিয়ে পান করুন।
কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন
কফিতে ক্যাফেইন এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে আমাদের দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই কফি আপনার নাগালের বাইরে রাখুন।
যদি আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন তাহলে প্রতিদিন আপনি কী খাচ্ছেন তার প্রতি নজর দিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমানে সবজি ও ফল রাখুন।
ফল ও সবজির ভিটামিন ও আয়রণ আপনার দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। আপনি যদি সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে দেহে রক্তশূন্যতা সমস্যা থেকে আপনি অনেক দূরেই থাকবেন।


- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/29/87878#sthash.9v8fUIWl.dpuf

দ্রুত ওজন কমাতে নাস্তায় মেনে চলুন এই ৫ টি নিয়ম


একটু ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে অনেকেই বিপদে পড়ে থাকেন। এবং অল্প করেই ওজন যদি বাড়তেই থাকে তাহলে তা অবশ্যই চিন্তা করার বিষয়। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখেই প্রতিদিনের কিছু নিয়মকানুন তৈরি করে নিতে হয়।
সকালের নাস্তার আমাদের ওজন বাড়ার ওপর অনেক বড় প্রভাব কাজ করে। স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা না খাওয়া এবং বিশেষ করে একেবারেই নাস্তা না খাওয়া বাড়িয়ে দেয় ওজন। তাই সকালের নাস্তার ব্যাপারে কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত সকলের। ওজন কমাতে চাইলে সকালের নাস্তায় মেনে চলা উচিত কিছু নিয়ম।


১) ৮ গ্রাম ফাইবার রাখুন নাস্তায়
সকালের নাস্তায় এমন কিছু খাওয়া উচিত যা অনেকটা সময় ধরে ক্ষুধা নিবারন করে। এতে করে স্বভাবতই দুপুরের খাবার কম খাওয়া হবে। এবং সেকারণেই সকালের নাস্তায় বেশি রাখা উচিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই সকালের নাস্তায় অন্তত ৮ গ্রাম ফাইবার রাখার চেষ্টা করুন।



২) বেশ সকাল সকাল নাস্তা করে ফেলুন
ঘুম থেকে উঠার অন্তত ১ ঘণ্টার মধ্যে সকালের নাস্তা সেরে নেয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি আমাদের হজমক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা করে এবং এর প্রভাব পড়ে ওজন বাড়ার ওপর। সকালে তাড়াতাড়ি নাস্তা করে ফেললে পরবর্তীতে অনেক বেশি মাত্রায় ক্ষুধা লাগে না যা আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাওয়া থেকে বিরত রাখে। কারণ গবেষণায় দেখা যায়, যারা সকালের নাস্তা দেরি করে খান তাদের অনেক বেশি ক্ষুধার কারণে অস্বাস্থ্যকর এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি।



৩) চিনিযুক্ত খাবার কম রাখুন নাস্তায়
চিনি যুক্ত খাবার সকালের নাস্তায় খেলে তা খানিকক্ষণের জন্য এনার্জি সরবরাহ করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ক্ষুধার উদ্রেক করে থাকে। এবং চিনিতে ক্যালরি বেশি থাকে। তাই সকালের নাস্তায় চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।



৪) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান
সকালের নাস্তায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি রাখার চেষ্টা করুন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে ক্যালরি কম থাকে এবং প্রোটিন অনেকটা সময় ধরে পেটে থাকে বলে ক্ষুধার উদ্রেক হয় না। এতে সাধারণ ভাবেই কম খাওয়া হয় যার প্রভাব পড়ে আপনার ওজনের ওপর।



৫) কখনোই সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না
অনেকে ভাবেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমবে। কিন্তু এটি অনেক বড় একটি ভুল ধারণা। বরং সকালের নাস্তা না খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সকালে নাস্তা না খাওয়ার কারণে আপনার ক্ষুধা অনেক বেড়ে যাবে যার ফলে দুপুরের খাবার আপনি না চাইলেও অনেক বেশি খেয়ে ফেলবেন। আর একবারে বেশি খাওয়ার কারণে ওজন বাড়বে। তাই সকালের নাস্তা কখনোই বাদ দেবেন না।


- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/30/87983#sthash.01RzVPlM.dpuf

শিশুর শ্বাসকষ্ট ও বয়স্কদের হাঁপানি


যে কোনো শিশু হঠাৎ সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। কোনো কোনো শিশুর শ্বাসে বাঁশির শব্দ (হুইজিং) শুনে হঠাৎ অনেকে ভয় পেতে পারেন। শিশুর নিঃশ্বাসে হুইজিং মানে অ্যাজমা নয়। পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের শ্বাসনালীর প্রদাহ অ্যাবং সংকোচন হয় সাধারণত ভাইরাস আক্রমণে। ভাইরাস আক্রান্ত শিশুদের শ্বাসনালীর অন্য লক্ষণসমূহ যেমন কাঁশি, কফ, গলাব্যথা বারবার দেখা দেয়। বারবার শ্বাসনালীর প্রদাহ অ্যাবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধার অন্যান্য কারণ যেমন শ্বাসনালীতে কোনো বস্তু আটকে যাওয়া, শ্বাসনালীর স্থায়ী সংকোচন, টিউমার ইত্যাদি বিষয়কে যদি রোগের বৃত্তান্ত অ্যাবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাদ দেওয়া যায় তবে সে ক্ষেত্রে হুইজিংকে অ্যাজমার অন্যতম লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব। দেখা যায় বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকের এটা কমে আসে সেহেতু হুইজিং হলেই অ্যাজমা নিরূপণ করা নিতান্তই অবিবেচকের পরিচয় দেওয়া হবে। এ অবিবেচনায় শিশুর ভুল রোগ নিরূপণ, ভুল চিকিৎসা বা অর্যাপ্ত চিকিৎসা শ্বাসনালীর অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধ : সাধারণত শিশুদের শ্বাসে বাঁশির মতো শব্দ হলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। শিশুদের রোগের পরিপূর্ণ বৃত্তান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অ্যাজমার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য লক্ষণকে বাদ দেওয়া যায়। দেখা যায় যদি কারণগুলো সঠিক পরীক্ষা, অ্যালার্জি টেস্ট ও ফুসফুলের কার্যকরী ক্ষমতা পরীক্ষা করে অ্যালার্জির ওষুধ ও ভ্যাকসিন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তা হলে কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে কমে যায়। এর ফলে কর্টিকোস্টেরয়েডের বহুল প্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আমাদের মতো উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতি অ্যালার্জিজনিত রোগের চিকিৎসা বলে অভিহিত করেছেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে অ্যালার্জি রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকার চিকিৎসা পদ্ধতি। অনেকের ধারণা ছিল অ্যালার্জিজনিত রোগ একবার হলে আর সারে না। বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসা ব্যবহার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। অ্যালার্জিজনিত রোগ প্রথম দিকে ধরা পড়লে একেবারে সারিয়ে তোলা সম্ভব।
বয়স্ক মানুষের হাঁপানি : হাঁপানি নির্দিষ্ট বয়সের কোনো রোগ নয়। যে কোনো বয়সের মানুষই হাঁপানিতে আক্রান্ত হতে পারে। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধদের হাঁপানি বিভিন্নভাবে আত্দপ্রকাশ করে থাকে। হঠাৎ শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও কাশি, প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে হঠাৎ শ্বাসকষ্টের আক্রমণ এবং বৃদ্ধদের মাঝে শ্বাসকষ্ট ছাড়াও সামান্য পরিশ্রমে, হাঁপিয়ে পড়ার লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। বয়স্কদের
মাঝে এ ঘটনার কারণ হলো ক্রনিক ব্রুংকাইটিস ও অ্যামপাইসিমা। প্রাপ্তবয়স্করা হাঁপানি আক্রমণের মধ্যবর্তী সময়ে স্বাভাবিক আর বৃদ্ধরা হাঁপানি রোগী আক্রমণ ছাড়াও দিনের বেশির ভাগ সময়ই শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পান না। হাঁপানি বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিক কারণে এটি আলাদা অর্থ বহন করে থাকে। হাঁপানি উন্নত দেশের বয়স্ক মানুষের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে। আমরা দেখতে পাই, হাঁপানি একটি প্রচলিত রোগ কিন্তু বয়স্কদের ওপর হাঁপানির প্রকোপ সমীক্ষা নেই।
বললেই হয়। বৃদ্ধ বয়সে হাঁপানিতে যারা কষ্ট পান তাদের চিকিৎসা সাবধানে করতে হয়।



অধ্যাপক ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন
লেখক : অ্যাজমা ও বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা।


- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/30/87973#sthash.uLEmJYjC.dpuf

হাঁপানি থেকে বাঁচতে করণীয়


বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। আক্রান্ত রোগীর শ্বাসপথ দেহের ভেতরের বা বাইরের অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জেনসম পদার্থের প্রতি অত্যধিক মাত্রায় সংবেদনশীলতা প্রদর্শনপূর্বক অনেক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে এবং শ্বাসপথের সঙ্কোচনের সময়ের ব্যাপ্তি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। এর ফলে আক্রান্ত রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শ্বাসপথ দিয়ে বায়ুর স্বাভাবিক আসা-যাওয়া ব্যাহত হয়।


পরিণতিতে আক্রান্ত রোগী কাশি, শ্বাসকষ্ট, স্বশব্দে কষ্টসহকারে শ্বাস নেয়া, বুকে চাপসহ নানা উপসর্গে ভুগে থাকেন। মূলত হাঁপানি হলো শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ। নিম্নে হাঁপানি রোগীদের জন্য কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দেয়া হলো:


১. যাদের হাঁপানি, অ্যালার্জি আছে, তারা ঠাণ্ডা উপভোগ করতে যাবেন না। ঠাণ্ডায় বের হলে পরিষ্কার স্কার্ফ বা টুপি ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার আগে আপনার নীল রঙের ইনহেলার দুই চাপ ব্যবহার করে নিতে পারেন। বেশি সময় বাইরে থাকতে হলে ইনহেলারটা সঙ্গেই রাখুন।


২. শিশুরা অনেক সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। মুখ দিয়ে নেওয়া শ্বাস শুষ্ক এবং শ্বাসতন্ত্র আরও সংকুচিত করে তোলে। অন্যদিকে নাক দিয়ে নেওয়া শ্বাস উষ্ণ এবং আর্দ্র, ধোঁয়া-ধুলা ইত্যাদি ফিল্টার হয়ে আসে। তাই মুখে শ্বাস নেবেন না। শিশুদের বন্ধ নাক সব সময় স্যালাইন ড্রপ দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।


৩. ধূমপান নিষেধ। এমনকি পাশের ব্যক্তির ধূমপানও আপনার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন।


৪. এমনকি রান্নার ধোঁয়াও শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। বাড়িতে কিচেনভেন্ট ব্যবহার করা ভালো। ঘর ধোঁয়ামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। মশার কয়েলও জ্বালাবেন না।


৫. ব্যায়ামের আগে ১০ মিনিট ওয়ার্ম-আপ করে নিন এবং প্রয়োজনে নীল রঙের ইনহেলার দুই চাপ নিয়ে শুরু করুন। অতিরিক্ত শীতে বাইরে না গিয়ে ঘরের ভেতর ব্যায়াম সেরে নিন।


৬. সর্দি হলে নাক মুছতে রুমাল নয়, পেপার টিস্যু ব্যবহার করুন। নাক, চোখমুখে ঘন ঘন হাত লাগাবেন না। সর্দি ঝাড়ার পর নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। সর্দি-কাশি-ফ্লু-আক্রান্তদের থেকে দূরে থাকা ভালো।


৭. হাঁপানি রোগীরা শীতের শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতি বছর ফ্লু-ভ্যাকসিন নিতে পারেন।


৮. বাড়িতে কুকুর, বিড়াল বা পোষা পাখি শোয়ার ঘর থেকে দূরে রাখুন। ঘরের আসবাব শুষ্ক রাখুন, ধুলা জমতে দেবেন না।


আপনার ইনহেলার, ওষুধ, নেবুলাইজার ইত্যাদি রসদ পর্যাপ্ত ও কার্যকর আছে কি না খেয়াল করুন। পরিবারের সবাইকে এগুলোর স্থান ও ব্যবহারপদ্ধতি অবহিত করুন। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও শ্বাসকষ্ট তীব্র হলে অবশ্যই হাসপাতালে চলে যাবেন।

- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/30/87952#sthash.Oj5iY7qR.dpuf

গর্ভাবস্থায় যা খাওয়া উচিত নয়


র্ভাবস্থায় নারীদের অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে খাবারের দিকে নজর দিতে হয় বেশি। কারণ এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো গর্ভবতী মায়েদের একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই খাবারগুলোই গর্ভপাতের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জেনে নিন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।
 
১. গর্ভবতী মায়েদের তাদের গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে আনারস একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। আনারসে ‘ব্রোমেলাইন’ নামের এক ধরণের উপাদান থাকে। এটি মায়ের ডায়েরিয়া, এলার্জি থেকে শুরু করে গর্ভপাতের কারণও হতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে এই ফল খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেয়া উচিত।
 
২. অত্যাধিক ক্যাফেইন মায়ের হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও এটি অনিদ্রাও মাথা ব্যথার উদ্রেক করতে পারে। এর ফলে প্রিম্যাচিওর বেবি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় ক্যাফেইনের কারণে গর্ভপাতও হতে পারে।
 
৩. চিকিৎসকেরা গর্ভধারণের প্রথম দিকে আনারসের পাশাপাশি কাঁচা পেঁপে খেতেও নিষেধ করেন। কারণ এতে বিভিন্ন রকমের এনজাইম থাকে যা গর্ভপাতের সহায়ক।
 
৪. গর্ভকালীন সময়ে পনির জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এতে বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোও গর্ভপাত ঘটাতে পারে।


- See more at: http://eurobdnews.com/health-news-of-bangladesh/2014/11/30/87979#sthash.5zXSq8Jl.dpuf

দ্রুত খুশকি দূর করার কার্যকরী ৫ টি উপায়

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে আবহাওয়ার কারণেই চুলে খুশকির উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে শীতকালে কমবেশি সকলেই খুশকির যন্ত্রণায় ভুগে থাকেন। এর মূল কারণ হচ্ছে রুক্ষ আবহাওয়া এবং পরিবেশের ধুলোবালি যা মাথার ত্বকে খুশকির উপদ্রব বাড়ায়।
তবে খুশকির উপদ্রব দ্রুত দূর করার রয়েছে বেশ কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায়। একটু সময় বের করে নিয়ে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে মুক্তি পাবেন যন্ত্রণাদায়ক খুশকির হাত থেকে।



১) বেকিং সোডার ব্যবহার
মাথা ভালো করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এরপর বেকিং সোডা আঙুলের ডগায় লাগিয়ে পুরো মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর চুল পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু দেবেন না। পরের দিন শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।




২) নারকেল তেল ও লেবুর রসের ব্যবহার
৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। ২০-২৫ মিনিট চুলে রেখে সাধারণভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।




৩) সাদা ভিনেগারের ব্যবহার
সাদা ভিনেগার পুরো চুলে ও মাথাত ত্বকে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিন। একটু বেশি করে লাগিয়ে নেবেন মাথায়। একটি তোয়ালে দিয়ে পুরো মাথা পেঁচিয়ে সারারাত রাখুন। পরের দিন সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করে। সপ্তাহে ২ বার করুন, খুশকি দ্রুত দূর হবে।




৪) অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের ব্যবহার
৩ টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে নিন। ১ টেবিল চামচ ভিনেগারে এই ট্যাবলেট গুঁড়ো গুলিয়ে নিয়ে মাথার ত্বকে ঘষে লাগিয়ে নিন। দেড় ঘণ্টা মাথায় রেখে মিশ্রণটি ধুয়ে ফেলুন পানি দিয়ে। খুশকির সমস্যা দ্রুত গায়েব হয়ে যাবে।




৫) মারাত্মক খুশকির সমস্যার জন্য মেথির ব্যবহার
মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে বেটে নিন ভালো করে। ছেঁকে নেয়া পানি ফেলে দেবেন না। এবার বেটে নেয়া মেথি চুলের গোঁড়ায় মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা রেখে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার পর মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি দিয়ে সব শেষে চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার করুন। অনেক বেশি খুশকির সমস্যা থাকলেও তা দূর হয়ে যাবে।


- See more at: http://eurobdnews.com/todays-beauty-tips-of-bangladesh/2014/11/29/87834#sthash.3gcESunV.dpuf

মাথায় নতুন চুল গজাবার একটি দারুণ কার্যকরী পদ্ধতি

আজকাল চুল পড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা কার নেই? কমবেশি সকলেই এটা নিয়ে দিশাহারা। এত কিছু করেন, তবু যেন চুলগুলোকে রক্ষা করা যায় না। আর ফলাফল হচ্ছে অকালে চুল পড়ে টেকো হয়ে যাওয়া। আপনার সাধের চুলগুলোকে কীভাবে বাঁচাবেন? কীভাবে মাথায় নতুন চুল গজাবেন? সমাধান আছে হাতের নাগালেই। না, দামী দামী ওষুধ আর পার্লারের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন নেই। আপনার মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করবে একটি সাধারণ ও অল্প মূল্যের তেল। শুধু চুল নয়, চোখের পাপড়ি আর ভ্রু ঘন করতেও এই তেল দারুণ কার্যকরী!

হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। আমরা বলছি ক্যাস্টর অয়েলের কথা। ক্যাস্টর অয়েল কোন অপরিচিত জিনিস নয়, বরং অনেকেই চেনেন। কিন্তু এটা জানেন না যে নতুন চুল গজাতে এই তেল দারুণ উপকারী। ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক এসিড যা নতুন চুল, ভ্রু, চোখের পাপড়ি গজাতে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও চুলের রুক্ষ্মতা দূর করে চুলকে মোলায়েম করে তুলতে সহায়তা করে এই তেল।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ক্যাস্টর অয়েল একটানা ব্যবহার করলে হবে না, করতে হবে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে একদিন করে টানা ৮ সপ্তাহ ব্যবহার করুন এই তেল। ক্যাস্টর অয়েল মধুর মত ঘন, প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হতেই পারে।
ব্যবহার করার পদ্ধতি বেশ সোজা। ক্যাস্টর অয়েল নিন, এতে যোগ করতে পারেন একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ভেতরকার তরল। চুল লম্বা হলে একাধিক ক্যাপসুল দিন। এরপর এত তেল রাতে ঘুমাবার আগে ভালো করে মাথায় মাখুন। বিশেষ করে চুলের গোঁড়ার ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। সারারাত এই তেল চুলে থাকতে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কোন বাড়তি কন্ডিশনার লাগবে না।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম?

যে কোন ফার্মেসীতে ও সুপারশপে ক্যাস্টর অয়েল পাবেন আপনি। দেশি-বিদেশি দুই রকমই পাওয়া যায়। দেশি তেলগুলো দামে বেশ সস্তা। মোটামুটি ১০০ টাকার কমে আপনি এক বোতল পাবেন যা ব্যবহার করতে পারবেন ১ মাস! বিদেশিগুলোর দাম একটু বেশি। মানেও একটু ভালো।
তাহলে আর দেরি কেন, চুলের জন্য বাড়তি চর্চা শুরু করে যাক আজই। পাতলা হয়ে যাওয়া চুলগুলো আবার হয়ে উঠুক ঘন।
(যাদের বংশগত কারণে বা কোন অসুখের জন্য টাক পড়ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কোন চিকিৎসাই কাজে দেবে না। প্রয়োজন আগে অসুখের চিকিৎসা। যাদের চুল পড়ছে স্ট্রেস, যত্নের অভাব, ভুল প্রসাধন ইত্যাদি কারণে; তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজে দেবে।)


- See more at: http://eurobdnews.com/different-news-of-bangladesh/2014/11/29/87790#sthash.WKYP7j74.dpuf