Sunday, August 31, 2014

অফিসের ৭টি অলিখিত নিয়ম যা বস আপনাকে কখনো বলে দেবেন না


সব প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব রীতি-নীতি আইন রয়েছে যদি প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মী হিসেবে তা না জেনে থাকেন তবে পুরনো কর্মীদের কাছ থেকে চটজলদি জেনে নিন বিশেষ করে ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সংস্কৃতি কাজের আদর্শগত বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে এবং তা জানাটা আপনার জন্য জরুরি সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, কর্মক্ষেত্রে যে সংস্কৃতি গড়ে ওঠে তা নিয়ম আকারে লিখিত থাকে না বুঝে শুনে এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয় খাপ খাওয়াতে না পারলে আপনি নিজ কাজে দক্ষ ব্যক্তি হলেও সেখানে টিকতে পারবেন না এটি বেশ স্পর্শকাতর বিষয় এখানে দেখে নিন এমনই ৭টি অলিখিত নিয়ম যার সঙ্গে মানিয়ে না নিলে আপনি টিকতে পারবেন না তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত নিয়মটি সম্পর্কেও বলা হলো

. যোগ্যতা : প্রতিষ্ঠানে যোগ্য কর্মীদের ক্ষেত্রে লিখিত নিয়মটি হলো, এরা যার যার যোগ্যতার বলে পদোন্নতি পাবেন।

অলিখিত নিয়ম : মূলত যে সবচেয়ে ভালো কাজ করেন তিনিই যে প্রমোশন পাবেন তা নয়। অফিস রাজনীতি এবং আনুগত্যের ভিত্তিতে পদোন্নতির অনেকাংশ নির্ভর করে। তবে সাধারণত প্রতিষ্ঠানের ৮০ শতাংশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাজের মান দেখে। আর ২০ শতাংশ প্রমোশন হয় আনুগত্যের কারণে। আবার বহু প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি অর্ধেক অর্ধেক হয়ে যায়।

. ব্যক্তি, লিঙ্গ, গোত্র, বয়স নির্বিশেষে সবার জন্য সমদৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করাটা প্রতিষ্ঠানের লিখিত নিয়ম।

অলিখিত নিয়ম : যে প্রতিষ্ঠানে আছেন তার চার্ট দেখুন। আপনার কী মনে হয় নারী-পুরুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের প্রাধান্যই কি বেশি নয়?

. অর্গানাইজেশনাল চার্ট জানাবে সিদ্ধান্ত কে নিতে পারেন আর এটা লিখিত নিয়ম।

অলিখিত নিয়ম : আসলে ওই চার্টের প্রয়োগ সব ক্ষেত্রে দেখা যায় না। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো লক্ষ্য করে দেখুন। দেখবে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটিও নিজের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে বহু মানুষ প্রভাব বিস্তার করেন। এর সঙ্গে কর্পোরেট রাজনীতিও জড়িত। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ক্ষমতা রয়েছে। তবে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আরো বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করে।

. নিয়ম সবার জন্যে সমান- এটা প্রতিষ্ঠানের লিখিত নিয়ম।

অলিখিত নিয়ম : তবে আপনার বসের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের নিদর্শন দেখতে পারবেন। একই বিভাগের কর্মীদের জন্য এক ধরনের নিয়ম এবং অন্য বিভাগের জন্য অন্য নিয়মের উদাহরণ দেখবেন অহরহ। এগুলো বসদের নিজস্ব অলিখিত নিয়ম।

. ঐক্যমতের ভিত্তিতে অফিস সংস্কৃতি গড়ে ওঠা লিখিত নিয়ম।

অলিখিত নিয়ম : আপনার অফিসে কি নতুন একটি আইডিয়া দেওয়ার জন্য আপনাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে? সেখানে কি খোলামেলা যোগাযোগ চলে? একের সঙ্গে অন্যের ব্যাপক খাতিরকে উৎসাহিত করে অফিস? খেয়াল করে দেখবেন, অফিসে এসব আন্তযোগাযগের একটি চেইন রক্ষা করে চলা হয়। সেভাবেই আপনাকেও চলতে হবে।

. প্রয়োজন অনুযায়ী যাবতীয় উৎসের অভাব নেই- এটাই লেখা রয়েছে।

অলিখিত নিয়ম : অথচ অলিখিত নিয়মটি হলো, যে হাউকাউ করতে পারবেন, তিনিই প্রয়োজনীয় সুবিধা পাবেন। অফিসে দেখবেন, কিছু মানুষ এসব উৎস খুব সহজেই নিজের কাজে লাগাতে পারেন এবং সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভালো একজন কর্মীর হয়তো কিছুতেই সুযোগ হয় না। এগুলো অলিখিত নিয়মের প্রয়োগ। সাধারণত যারা সুবিধা ভোগ করেন তারা অফিস রাজনীতিতে সক্রিয়।

. পুরো প্রতিষ্ঠান একটি পরিবারের মতো কাজ করে বলেই লেখা থাকে।

অলিখিত নিয়ম : তবে একটি প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগ দিলেই মনে হবে, এখানে দলীয়ভাবে মোটেও কাজ করা হয় না। আপনি কাউকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। দলটি কাগজের পাতায় লিখিত দল। দেখবেন, একই বিভাগের পাশের সহকর্মীকেও আপনার বিরোধী বলেই মনে হচ্ছে। এসবও অফিস সংস্কৃতির অংশ যাকে লালন করে অফিস রাজনীতি।

মানসিক যন্ত্রণামুক্ত সুখী জীবনের জন্য প্রিয় মানুষদের কাছে থাকুন

একটি মানুষের ভালো থাকার প্রক্রিয়ায় অর্থবহ গভীর সম্পর্ক বড় ভূমিকা রাখে প্রতিটি মানুষই কারো না কারো সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন ওই মানুষটি তার সারা জীবনের সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাদের নিয়ে আমাদের হৃদয় যা বলে এবং মন যা ভাবে তা অনুভব করতে আমরা ভালোবাসি নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি গভীর স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক শুধু স্ট্রেস থেকে মুক্তি পরিবেশে খাপ খাওয়াতেই উদ্বুদ্ধ করে না, বরং মানুষকে শেখা, উদ্ভাবন করা, লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাওয়া এবং সৃষ্টিশীলতার চর্চাকে ত্বরান্বিত করে
সান্তা বারবারার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যান্সি কলিন্স এবং ব্রুক ফিনে অব কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষক বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন
গবেষকরা জানান, মানুষ ক্রমেই তার দৈনন্দিন জীবনযাপনকে উন্নত করতে চায় ক্ষেত্রে বন্ধু, বাবা-মা, ভাইবোন, একজন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে তার যে সম্পর্ক রয়েছে তা নানাভাবে কাজ করে জীবন থেকে নানা কারণে বিক্ষিপ্ত মানুষকে আবার স্থিত হতে এসব সম্পর্কই প্রভাবকের কাজ করে তাই মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিক সম্পর্ককেই উন্নত জীবনের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং এর দ্বারাই আমাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হতে পারে
গবেষক ফিনে বলেন, সম্পর্কের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, জীবনের বৈচিত্র্যহীন সামামাটা মুহূর্তে সম্পর্কই নতুন উদ্ভাবনে সৃষ্টিশীলতাকে জাগিয়ে তোলে
গবেষকদের মতে, মানুষের উন্নতি লাভের এই প্রবণতার ফলে জীবন পাঁচটি দিক থেকে পুষ্টি লাভ করে এগুলো হলো : সুখী হওয়া, তৃপ্তি পাওয়া, উদ্দেশ্য তৈরি হওয়া, জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া এবং মানসিক শান্তি লাভ করা
তবে যারা সম্পর্কের এই শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং অসচেতনভাবে ভালো না করে ক্ষতি করে ফেলেন, তখন ভিকটিম নিজেকে দুর্বল, অভাবগ্রস্ত, অযোগ্য এবং দোষী বলে অনুভব করতে পারে তখন নিজেকে বাড়তি ঝামেলা বলে মনে হয়
তাই কারো জন্যে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রয়োজন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে

গবেষণা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি 'পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশাল সাইকোলজি রিভিউ' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে

দিনের স্বাস্থ্যকর শুরুর জন্য 'মর্নিং সেক্স'


একমাত্র জগিংয়ের মাধ্যমেই দিনের শুরুটি চমৎকারভাবে শুরু করা যায় না সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে,  'মর্নিং সেক্স' বা সকাল বেলার যৌনতার মাধ্যমেও চমৎকারভাবে শুরু করা যায় দিনটি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস
গবেষণায় জানা গেছে, যেসব ব্যক্তি সকালে যৌনতায় লিপ্ত হন তারা স্বাস্থ্যবান সুখী দম্পতি হয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গে যৌন স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষক ডেবি হারবেনিক বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় হিসেবে সকালের যৌনতা কার্যকর। এর মাধ্যমে সারা দিন উপকৃত হওয়া যায়।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এটি মানুষের ভালো অনুভূতি তৈরি করে।
হারবেনিক আরও বলেন, ‘যৌনতা দেহের এস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে অন্যান্য সুবিধার পাশাপাশি ত্বক চুল স্বাস্থ্যবান করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, ‘যৌনতা আইজিএ নামে একটি অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি করে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।’