সব
প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব
রীতি-নীতি ও আইন
রয়েছে। যদি
প্রতিষ্ঠানের নতুন
কর্মী
হিসেবে
তা
না
জেনে
থাকেন
তবে
পুরনো
কর্মীদের কাছ
থেকে
চটজলদি
জেনে
নিন। বিশেষ
করে
ওই
প্রতিষ্ঠানের অফিস
সংস্কৃতি ও
কাজের
আদর্শগত বাধ্যবাধকতা থাকতে
পারে
এবং
তা
জানাটা
আপনার
জন্য
জরুরি। সবচেয়ে
মজার
বিষয়
হলো,
কর্মক্ষেত্রে যে
সংস্কৃতি গড়ে
ওঠে
তা
নিয়ম
আকারে
লিখিত
থাকে
না। বুঝে
শুনে
এর
সঙ্গে
মানিয়ে
নিতে
হয়। খাপ
খাওয়াতে না
পারলে
আপনি
নিজ
কাজে
দক্ষ
ব্যক্তি হলেও
সেখানে
টিকতে
পারবেন
না। এটি
বেশ
স্পর্শকাতর বিষয়। এখানে
দেখে
নিন
এমনই
৭টি
অলিখিত
নিয়ম
যার
সঙ্গে
মানিয়ে
না
নিলে
আপনি
টিকতে
পারবেন
না। তার
সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের
লিখিত
নিয়মটি
সম্পর্কেও বলা
হলো।
১. যোগ্যতা : প্রতিষ্ঠানে যোগ্য কর্মীদের ক্ষেত্রে লিখিত নিয়মটি হলো, এরা যার যার যোগ্যতার বলে পদোন্নতি পাবেন।
অলিখিত নিয়ম : মূলত যে সবচেয়ে ভালো কাজ করেন তিনিই যে প্রমোশন পাবেন তা নয়। অফিস রাজনীতি এবং আনুগত্যের ভিত্তিতে পদোন্নতির অনেকাংশ নির্ভর করে। তবে সাধারণত প্রতিষ্ঠানের ৮০ শতাংশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাজের মান দেখে। আর ২০ শতাংশ প্রমোশন হয় আনুগত্যের কারণে। আবার বহু প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি অর্ধেক অর্ধেক হয়ে যায়।
২. ব্যক্তি, লিঙ্গ, গোত্র, বয়স নির্বিশেষে সবার জন্য সমদৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করাটা প্রতিষ্ঠানের লিখিত নিয়ম।
অলিখিত নিয়ম : যে প্রতিষ্ঠানে আছেন তার চার্ট দেখুন। আপনার কী মনে হয় নারী-পুরুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের প্রাধান্যই কি বেশি নয়?
৩. অর্গানাইজেশনাল চার্ট জানাবে সিদ্ধান্ত কে নিতে পারেন আর এটা লিখিত নিয়ম।
অলিখিত নিয়ম : আসলে ওই চার্টের প্রয়োগ সব ক্ষেত্রে দেখা যায় না। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো লক্ষ্য করে দেখুন। দেখবে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিটিও নিজের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে বহু মানুষ প্রভাব বিস্তার করেন। এর সঙ্গে কর্পোরেট রাজনীতিও জড়িত। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ক্ষমতা রয়েছে। তবে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আরো বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করে।
৪. নিয়ম সবার জন্যে সমান- এটা প্রতিষ্ঠানের লিখিত নিয়ম।
অলিখিত নিয়ম : তবে আপনার বসের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের নিদর্শন দেখতে পারবেন। একই বিভাগের কর্মীদের জন্য এক ধরনের নিয়ম এবং অন্য বিভাগের জন্য অন্য নিয়মের উদাহরণ দেখবেন অহরহ। এগুলো বসদের নিজস্ব অলিখিত নিয়ম।
৫. ঐক্যমতের ভিত্তিতে অফিস সংস্কৃতি গড়ে ওঠা লিখিত নিয়ম।
অলিখিত নিয়ম : আপনার অফিসে কি নতুন একটি আইডিয়া দেওয়ার জন্য আপনাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে? সেখানে কি খোলামেলা যোগাযোগ চলে? একের সঙ্গে অন্যের ব্যাপক খাতিরকে উৎসাহিত করে অফিস? খেয়াল করে দেখবেন, অফিসে এসব আন্তযোগাযগের একটি চেইন রক্ষা করে চলা হয়। সেভাবেই আপনাকেও চলতে হবে।
৬. প্রয়োজন অনুযায়ী যাবতীয় উৎসের অভাব নেই- এটাই লেখা রয়েছে।
অলিখিত নিয়ম : অথচ অলিখিত নিয়মটি হলো, যে হাউকাউ করতে পারবেন, তিনিই প্রয়োজনীয় সুবিধা পাবেন। অফিসে দেখবেন, কিছু মানুষ এসব উৎস খুব সহজেই নিজের কাজে লাগাতে পারেন এবং সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভালো একজন কর্মীর হয়তো কিছুতেই সুযোগ হয় না। এগুলো অলিখিত নিয়মের প্রয়োগ। সাধারণত যারা সুবিধা ভোগ করেন তারা অফিস রাজনীতিতে সক্রিয়।
৭.
পুরো প্রতিষ্ঠান একটি
পরিবারের মতো কাজ করে বলেই লেখা থাকে।
অলিখিত নিয়ম : তবে একটি প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগ দিলেই মনে হবে, এখানে দলীয়ভাবে মোটেও কাজ করা হয় না। আপনি কাউকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না। দলটি কাগজের পাতায় লিখিত দল। দেখবেন, একই বিভাগের পাশের সহকর্মীকেও আপনার বিরোধী বলেই মনে হচ্ছে। এসবও অফিস সংস্কৃতির অংশ যাকে লালন করে অফিস রাজনীতি।