Sunday, November 30, 2014

জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস

 সম্প্রতি ২০১৪ সালে হলিউডে “জ্বিন” নামে একটি মুভি তৈরী করা হয়েছে। ছবির শুরুতে বলা হয়, সৃষ্টির শুরুতে তিনটি সত্তা তৈরী হয়; মানুষ –  মাটি থেকে; ফেরেশতা – নুর থেকে; এবং জ্বিন – আগুন থেকে। ৯৭ মিনিটের এই ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন আজমল জহির আহমেদ। প্রযোজনায় বেঞ্জামিন দ্রেসার। মুল চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেছেন; দমিনিক রেইন (শাওন), সেরিন্দ্রা শাওন (জেসমিন), রে পার্ক (জিব্রাইল), উইলিয়াম আথারটন (ফাদার ওস্তেপ), এবং ফারাহ তাহির (আলী)।


পৃথিবীর মানুষ নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবি করে এই জগতকে এতটাই ডমিনেট করতে লাগল যার কারনে জ্বিনদের সাথে মানুষের যোগাযোগ কমে গেল। এবং এভাবে আধুনিক যুগের মানুষরা জ্বিনদের ভুলে গেলো।
জ্বিন জাতি সম্পর্কে অনেক কথাই আছে। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে যে জীবজন্তুর মধ্যে কেবল জিন-ইনসানের বিচার হবে। অবশ্য জ্বিনের অস্তিত্ব নিয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেন। আবার অনেকে বিশ্বাস করলেও মুহূর্তে আবার অলৌকিকতার আওতায় ফেলে বেমালুম নয়-ছয় চিন্তা করতে থাকেন। এ জিনের সম্বন্ধে কোরআনে একটি সম্পুর্ণ সূরা,সূরা আল্-জিন (৭২নং সূরা) অবর্তীর্ণ হয়েছে।
    জিনদের গঠনমূলক কায়া সূক্ষ্ম ও অবিমিশ্র।  সাধারণত জিন জাতি কয়েক শ্রেণীর আওতাভুক্ত- যেমন:
    ক) জিন (সাধারণ জিন)।
    খ) আমির (যারা মানুষের সাথে থাকে)।
    গ) আরওয়াহ (যারা মানুষের সম্মুখে বিভিন্ন সুরতে আবির্ভূত হয়।
    ঘ) শয়তান (যারা সৃষ্টিরকর্তার অবাধ্য, ঔদ্ধত ও অহংকারী।
    ঙ) ইফরীত্ব (যারা অনেক সময় শয়তানের চেয়ে ভয়ংকর)।
    চ) ক্বারিন (মানব প্রজাতির সঙ্গে সহাবস্থানকারী জ্বিন) এরা প্রতিটি মানুষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করে| এর কাজ হল মানুষকে খারাপ কাজে প্রভাবিত ও উদ্বুদ্ধ করা|
কুরআন এবং হাদীসের মতে জিনদের তৈরি করা হয়েছে ধোঁয়াবিহীন আগুন (আরবি শব্দ- ‘নার’) হতে। ‘নার’ শব্দটির কয়েকটি অর্থ আছে। ইবনে আব্বাসের (রাঃ) মতে, নার বলতে অগ্নিশিখার শেষ প্রান্ত বোঝানো হয়েছে। অন্য অনেকে মনে করেন, এর মানে হচ্ছে বিশুদ্ধ আগুন। আবার কেউ কেউ একে তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বা অন্য কোনো তরঙ্গ-জাতীয় অস্তিত্ব বলে থাকেন। ইসলামী বিশ্বাস মতে, জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানবজাতির আগে। বলা হয়েছে, মানবজাতির আবির্ভাবের আগে জিনরাই এই পৃথিবীতে রাজত্ব করত; পরে অবাধ্যতার অপরাধে এদেরকে উৎখাত করা হয়েছে; তাই বর্তমানে এরা পৃথিবীতেই নির্জন স্থানসমূহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে।
ক্রিয়াপদ জান্না,ইয়াজুন্নুঃ – যে গুলির অর্থ অন্তরালে রাখা,আত্মগোপন করা অথবা ছদ্মবেশে পরানো ইত্যাদি হতে প্রাপ্ত জিন শব্দের আক্ষরিক অর্থের উপর নির্ভর করে তারা দাবি করে যে জিন হচ্ছে আসলে “চতুর বিদেশী”। অন্যেরা এমনও দাবী করে যে,যাদের মগজে কোন মন নেই এবং স্বভাবে অগ্নি প্রকৃতির তারাই জিন। প্রকৃতপক্ষে জিন আল্লাহর অপর একটি সৃষ্টি যারা এই পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে সহ-অবস্থান করে। আল্লাহ মানবজাতি সৃষ্টির পূর্বে জিন সৃষ্টি করেন এবং তিনি মানুষ সৃষ্টির উপাদান হতে ভিন্নতর উপদানের সমষ্টি দিয়ে জিন সৃষ্টি করেছেন।
    আল্লাহ বলেনঃ
    “আমি তো মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি ছাঁচে-ঢালা শুষ্ক ঠনঠনে মৃত্তিকা হইতে। এবং ইহার পূর্বে সৃষ্টি করিয়াছি জিন অত্যুষ্ণ বায়ুর উত্তাপ হইতে।” [সূরা আল্-হিজর ১৫:২৬,২৭]
তাদের জিন নামকরণ করা হয়েছে কারণ তারা মানব জাতির চোখের অন্তরালে রয়েছে। ইবলিশ (শয়তান) জিন জগতের,যদিও আল্লাহ যখন আদমকে সিজদা করার হুকুম দিয়েছিলেন তখন সে ফেরেশতাদের মধ্যে অবস্থান করছিল। যখন সে সিজদাহ করতে অসম্মত হল এবং তাকে তার অবাধ্যতার কারণ জিজ্ঞেস করা হল। যে সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
    ”সে বললঃ আমি তার চেয়ে উত্তম আপনি আমাকে আগুনের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।” [ সূরা সাদ ৩৮:৭৬ ]
আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা দেন যে রাসূল (সঃ) বলেছেন,
    “ফেরেশতাদের আলো হতে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং জিনদের ধুম্রবিহীনঅগ্নি হতে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih Muslim, enlgish trans, vol. 4 p.1540 , no. 7134]
    আল্লাহ আরও বলেনঃ
    “এবং স্মরণ কর,আমি যখন ফেরেশতাগণকে বলিয়াছিলাম আদমের প্রতি সিজদা কর,তখন সকলেই সিজদা করিল ইবলীস ব্যতীত,সে জিনদিগের একজন।” [সূরা আল্-কাহ্ফ ১৮:৫০]
সুতরাং তাকে প্রত্যাখ্যাত ফেরেশতা অথবা ফেরেশতাদের একজন মনে করা ভুল হবে।
জিনদের অস্তিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণতঃ তাদেরকে তিন শ্রেণীর ভাগ করা যেতে পারে ।
    রাসুল (সঃ) বলেন,
    “তিন রকম জিন আছেঃ এক রকম যারা সারাক্ষণ আকাশে উড়ে,
    অন্য আর এক রকম যারা সাপ এবং কুকুর হিসাবে বিদ্যমান এবং পৃথিবীর উপর বসবাসকারী
    আর এক রকম যারা একস্থানে বাস করে অথবা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়।” [আত্ তাবারী এবং আল্-হাকিম কর্তৃক সংগৃহিত]
বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে জিনদের আবার
দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়ঃ
মুসলিম (বিশ্বাসীগণ) এবং কাফির (অবিশ্বাসীগণ)।
আল্লাহ সূরা আল-জিন এ বিশ্বাসী জিনদের সম্বন্ধে বলেনঃ
    “বল,আমার প্রতি প্রেরিত হইয়াছে যে,জিনদিগের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে,আমারাতো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবন করিয়াছি। যাহা সঠিক পথ -নির্দেশ করে;ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদিগের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদিগের প্রতিপালকের মর্যাদা, তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্মী এবং না কোন সন্তান। এবং যে আমাদিগের মধ্যকার নির্বোধরা আল্লাহর সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত।” [ সুরা আল্-জিন ৭২:১-৪ ]
    “আমাদিগের কতক আত্মসমর্পণকারী এবং কতক সীমালংঘনকারী;যাহারা আত্মসমর্পণ করে তাহারা সুচিন্তিতভাবে সত্য পথ বাছিয়ে লয়। অপরপক্ষে,সীমালংঘনকারী তো জাহান্নামেরই ইন্ধন।” [সুরা আল্-জিন ৭২:১৪-১৫]
জিনদের মধ্যে অবিশ্বাসীদের বিভিন্ন নামে উল্লেখ করা হয়ঃ
ইফরিত্, শয়তান, ক্বারিন, অপদেবতা, অশুভ আত্মা, আত্মা, ভুতপ্রেত ইত্যাদি। তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে। যারাই তাদের কথা শুনে এবং তাদের জন্য কাজ করে তাদেরকেই মানব শয়তান বলে উল্লেখ করা হয়।
আল্লাহ বলেছেনঃ
    “এইরূপে মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদিগকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করিয়াছি।” [সুরা-আল্-আন্’আম ৬:১১২]
প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে স্বতন্ত্র একজন করে জিন রয়েছে যাকে ক্বারিন (সঙ্গী) বলা হয়। এটা মানুষের এই জীবনের পরীক্ষার অংশ বিশেষ। জিনটি তাকে সর্বদা অবমাননাকর কামনা-বাসনায় উৎসাহিত করে এবং সার্বক্ষণিকভাবে তাকে ন্যায়-নিষ্ঠা হতে অন্য দিকে সরিয়ে নেবার চেষ্টা করে।
    রাসুল (সঃ) এই সম্পর্ককে এভাবে বর্ণনা দিয়েছেন,
    “তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন সঙ্গী দেয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল (সঃ)? তিনি বলেনঃ এখন সে আমাকে শুধু ভাল করতে বলে।” [মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত Sahih MusliM, enlgishtrans, vol. 4 p.1540 , no. 7134]
    “সুলায়মানের সম্মুখে সমবেত করা হইল তাহার বাহিনীকে-জিন,মানুষ ও বিহংগকুলকে এবং উহাদিগকে বিন্যস্ত করা হইল বিভিন্ন ব্যূহে।” [সুরা আন-নামল ২৭:১৭]
কিন্তু অন্য কাউকে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয় নাই। অন্য কাউকে জিন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি এবং কেউ পারেও না। রাসুল (সঃ) বলেছেন,
    “যথার্থই গত রাতে জিনদের মধ্যে হতে একজন ইফরিত (একটি বলিষ্ঠ অথবা খারাপ জিন)” আমার সালাত ভেঙ্গে দেবার জন্য থু থু নিক্ষেপ করেছিল। যাহোক আল্লাহ তাকে পরাভূত করতে আমাকে সাহায্য করেন এবং যাতে তোমরা সকালে তাকে দেখতে পারো সে জন্য তাকে আমি মসজিদের একটি স্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ভ্রাতা সোলাইমানের দোয়া মনে পড়লঃ “হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে দান কর এমন এক রাজ্য যাহার অধিকারী আমি ছাড়া কেহ না হয়।” [সুরা সাদ ৩৮:৩৫]
মানুষ জিনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম নয় কারণ এই বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতা শুধু পয়গম্বর সোলায়মানকে দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, আছর অথবা ঘটনাক্রম ছাড়া জিনদের সাথে যোগাযোগ হওয়া বেশীর ভাগ সময়ই নিষিদ্ধ বা ধর্মদ্রোহী কাজের মাধ্যমেই হয়। [আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস্ এর Ibn taymeeyah`s Essay on the Jinn:: রিয়াদ তৌহিদ প্রকাশনী,১৯৮৯,পৃ.২১]
এভাবে তলব করে আনা দুষ্ট জিন তাদের সঙ্গীদের গুনাহ করতে এবং স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করতে সাহায্য করতে পারে। তাদের লক্ষ্য হল স্রষ্টা ছাড়া অথবা স্রষ্টার পাশাপাশি অন্যকে উপাসনা করার মত গুরুতর গুনাহ করতে যত বেশী জনকে পারা যায় তত জনকে আকৃষ্ট করে। একবার গণকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চুক্তি হয়ে গেলে, জিন ভবিষ্যতের সামান্য কিছ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জানাতে পারে।
রাসুল (সাঃ) বর্ণনা দিয়েছেন জিনরা কিভাবে ভবিষ্যত সম্বন্ধে সংবাদ সংগ্রহ করে। তিনি বর্ণনা দেন যে,
    জিনরা প্রথম আসমানের উপর অংশ পর্যন্ত ভ্রমণ করত এবং ভবিষ্যতের উপর কিছু তথ্যাদি যা ফিরিশতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করত তা শুনতে সক্ষম হত। তারপর তারা পৃথিবীতে ফিরে এসে তাদের পরিচিত মানুষের কাছে ঐ তথ্যগুলি পরিবেশন করত।আল্-বুখারী এবং মুসলিম কতৃর্ ক সংগৃহীত। [ Sahih Muslim, Englishtrans, vol.4, p.1210, no, 5538]
মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত এই ধরণের বহু ঘটনা সংঘটিত হত। এবং গণকরা তাদের তথ্য প্রদানে নির্ভূল ছিল। তারা রাজকীয় আদালতে আসন লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।এমনকি পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে তাদের পুজাও করা হত।
রাসুল (সাঃ) কর্তৃক ধর্ম প্রচার শুরু করার পর হতে অবস্থার পরিবর্তন হয়। আল্লাহ ফিরিশতাদের দিয়ে আসমানের নীচের এলাকা সতর্কতার সঙ্গে পাহাড়া দেবার ব্যবস্থা করলেন। তারপর হতে বেশীরভাগ জিনদের উল্কা এবং ধাবমান নক্ষত্ররাজি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হত। আল্লাহ এই বিস্ময়কর ঘটনা কোরআনের ভাষায় বর্ণনা করেছ্নেঃ
    “এবং আমরা চাহিয়াছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাইলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কা পিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ ;আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাটিতে সংবাদ শুনিবার জন্য বসিতাম কিন্ত এখন কেহ সংবাদ শুনিতে চাহিলে সে তাহার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জলন্ত উল্কা পিন্ডের সম্মুখীন হয়।” [সূরা আল-জ্বিন ৭২:৮-৯]
আল্লাহ আরও বলেনঃ
    “প্রত্যেক অভিশপ্ত শয়তান হইতে আমি উহাকে রক্ষা করিয়া থাকি; আর কেহ চুরি করিয়া সংবাদ শুনিতে চাহিলে উহার পশ্চাদ্ধাবন করে প্রদীপ্ত শিখা।” [সূরা আল হিজর ১৫:১৭-১৮]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,
    “যখন রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর একদল সাহাবা উকাধ বাজারের দিকে রওয়ানা হলেন, তখন শয়তানদের ঐশী খবরাখবর শোনায় বাধা প্রদান করা হল। উল্কাপিন্ড তাদের উপর ছেড়ে দেয়া হল। ফলে তারা তাদের লোকদের কাছে ফিরে এল। যখন তাদের লোকরা জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছিল, তারা তাদের জানালো। কেউ কেউ পরামর্শ দিল যে নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছে, কাজেই তারা কারণ খুজে বের করার জন্য পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। তাদের কয়েকজন রাসুল (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবাগণের সালাত রত অবস্থা দেখতে পেল এবং তারা তাদের কোরআন পড়া শুনলো। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল যে নিশ্চয় এটাই তাদের শোনায় বাধা প্রদান করেছিল। যখন তারা তাদের লোকদের মধ্যে ফিরে গেল তখন তারা বলল, “আমরা তো এক বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করিয়াছি। যাহা সঠিক পথ নির্দেশ করে, ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদিগের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না।” [সুরা আল জিন ৭২:১-২] [ আল্-বুখারী, মুসলিম, আত্ তিরমিজী এবং আহমদ কর্তৃক সংগৃহীত।Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.6, pp.415-6.no.443 and Sahih Muslim, English trans, vol.1, pp.243-44, no, 908]
এইভাবে রাসূল (সাঃ) কর্তৃক ধর্ম প্রচারের পূর্বে জিনরা যেভাবে সহজে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে খবরাখবর সংগ্রহ করত তা আর আর পারেনি। ঐ কারণে তারা এখন তাদের খবরাখবরের সঙ্গে অনেক মিথ্যা মিশ্রিত করে।
রাসুল (সাঃ) বলেন,
    “জাদুকর অথবা গনকের মুখে না পৌছান পর্যন্ত তারা (জিনরা) খবরাখবর নীচে ফেরত পাঠাতে থাকবে। কখনও কখনও তারা খবর চালান করার আগেই একটি উল্কা পিন্ড তাদের আঘাত প্রাপ্ত করার পূর্বে পাঠাতে পারলে এর সঙ্গে তারা একশটা মিথ্যা যোগ করবে। [আল্-বুখারী, মুসলিম এবং আত্ তিরমিজী কর্তৃক সংগৃহীত। Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.8, p.150 , no.232]
আয়শা (রাঃ) তখন উল্লেখ করলেন যে গণকরা কখনও কখনও যা বলে সত্য হয়।
রাসুল (সঃ) বলেন,
    ‘‘ওতে সত্যতার কিছু অংশ যা জিনরা চুরি করে এবং তার বন্ধুর কাছে বলে কিন্তু সে এর সাথে একশটি মিথ্যা যোগ করে। ”আয়েশা বর্ণনা দেন যে তিনি আল্লাহর রাসূলের (সঃ) কাছে গণকদের সম্বন্ধে জিজ্ঞসা করলে তিনি উত্তর দেন যে ওরা কিছু না। [আল্-বুখারী এবং মুসলিম কর্তৃক সংগৃহীত। Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.1, p.439.no.657 and Sahih Muslim, English trans, vol.4, p.1209, no, 5535]
একদিন উমর ইবনে আল খাত্তাব যখন বসে ছিলেন তখন একটি সুদর্শণ লোক তার পাশ দিয়ে চলে গেলে তিনি বললেন, আমার যদি ভূল না হয় লোকটি এখনও প্রাক ইসলামি ধর্ম অনুসরণ করছে অথবা বোধ হয় সে তাদের একজন গণক। তিনি লোকটি কে তার সামনে আনতে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তার অনুমান সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলেন। লোকটি উত্তর দিল, আমি আজকের মত আর কোন দিন দেখিনি যেদিন মুসলিম এই ধরণের অভিযোগের সম্মূখীন হয়েছে। উমর (রাঃ) বললেন,অবশ্যই আমাকে তামার অবহিত করা উচিত। লোকটি তখন বলল, অজ্ঞতার যুগে আমি তাদের গণক ছিলাম। ঐ কথা শুনে উমর জিজ্ঞাসা করলেন,তোমার মহিলা জিন তোমাকে সব চেয়ে বিস্ময়কর কি বলেছে। লোকটি তখন বলল,একদিন আমি যখন বাজারে ছিলাম,সে (মহিলা জিন) উদ্বিগ্ন হয়ে আমার কাছে এসেছিল এবং বলেছিল মর্যাদাহানি হবার পর তুমি কি জিনদের হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় দেখনি? তুমি কি দেখনি তাদেরকে (জিনদেরকে) মাদী উট ও তাতে আরোহণকারীদের অনুসরণ করতে? উমর বাধাদান পূর্বক বললেন,এটা সত্য।
[আল্-বুখারী কর্তৃক সংগৃহীত। Sahih Al-Bukhari, Arabic-English, vol.5, p.131-2. no.206]
জিনরা তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী মানুষকে আপতঃ ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অবহিত করতে সক্ষম।
উদাহরণস্বরূপ,যখন কেউ একজন গণকের কাছে আসে সে আসার আগে কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল তা গণকের জিন আগত লোকটির ক্বারিনের (প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে নিয়োজিত জিন) কাছ থেকে জিন জেনে নেয়। সুতরাং গণক লোকটিকে বলতে সক্ষম হয় যে সে এটা করবে অথবা অমুক অমুক জায়গায় যাবে। এই প্রক্রিয়ায় একজন সতিকার গণক অপরিচিত লোকের অতীত পরির্পূণ ভাবে জানতে সক্ষম হয়। সে একজন অচেনা ব্যক্তির পিতামার নাম, কোথায় জন্ম গ্রহণ করেছিল এবং তার ছেলে বেলার আচারণ ইত্যাদি সম্বন্ধে বলেতে সক্ষম হয়। অতীত সম্বন্ধে পরিপূর্ণ বর্ণনা দেবার ক্ষমতা জিন এর সঙ্গে মুহুর্তের মধ্যে বহু দুরত্ব অতিক্রম করতে এবং গোপন বিষয় হারানো জিনিস, অদেখা ঘটনা বলি সম্বন্ধে বহু তথ্যাদি সংগ্রহ করতেও সক্ষম।
কোরআনে বর্ণিত পয়গম্বর সুলায়মান এবং সিবার রাণী বিলকিসের গল্পে মধ্যে এই ক্ষমতার সত্যতা পাওয়া যায়।
যখন রাণী বিলকিসের গল্পে এলেন,তিনি একটি জিনকে রাণীর দেশ থেকে তার সিংহাসন নিয়ে আসতে বললেন। “এক শক্তিশালী জিন বলল,আপনি আপনার স্থান হইতে উঠিবার পূর্বে আমি উহা আনিয়া দিব এবং এই ব্যাপারে আমি অবশ্যই ক্ষমতাবান বিশ্বস্ত। [সূরা আন নামল, ২৭:৩৯]
উল্লেখ্য যে, আরব্য রজনীর কাহিনীর মতো সবসময় জিন অসাধ্য সাধন করতে পারে না। কেননা ঝড়-বাদলের দিনে জিনরা চলতে পারে না। কারণ তারা আগুনের তৈরি বিধায় বৃষ্টির সময় আয়োনাজাইশেন ও বজ্রপাতের তীব্র আলোক ছটায় তাদের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং কোন ঘরে যদি নির্দিষ্ট কিছু দোয়া-কালাম ও কাঁচা লেবু থাকে, তাহলে ঐ ঘরে জিন প্রবেশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। আর একটি কথা মানুষ মাটি দিয়ে সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। কারণ মানুষ মূলত মাটি, পানি, বায়ু ও অগ্নির সংমিশ্রণ। আর তাই জিন আগুনের শিখা দিয়ে পয়দা হলেও তাদের দেহে জলীয় পদার্থের সমাবেশ লক্ষণীয়। এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো: রসুল (স.) একদা উল্লেখ করেছিলেন যে, শয়তান বলে একটি জিন একদা নামাজের সময় তাঁর সাথে মোকাবিলা করতে এলে তিনি ঐ জিনকে গলা টিপে ধরলে, সেইক্ষণে জ্বিনের থুথুতে শীতলতা অনুভব করেছিলেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, জিন যদি পুরোপুরি দাহ্য হতো, তাহলে ঠাণ্ডা থুথুর থাকার কথা নয়। এদিকে জিন তিন প্রকারের আওতায় বিদ্যমান, প্রথমত. জমিনের সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, ইত্যাদি; দ্বিতীয়ত. শূন্যে অবস্থান করে এবং শেষত সেই প্রকারের জিন, যাদের রয়েছে পরকালে হিসাব। পূর্বেই বলেছি, এরা সূক্ষ্ম, তাই স্থূল মানুষ বা পশু-পাখি জিনদের দেখতে পারে না। তবে কুকুর ও উট এদের হুবহু দেখতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, রাতে কোন অপরিচিত বস্তু বা জীব চোখে না দেখা গেলেও কুকুর কি যেন দেখে ছুটাছুটি ও ঘেউ ঘেউ করলে তাতে জ্বিনের আবির্ভাব হয়েছে বলে বুঝতে হবে। জিন বহুরূপী। এরা মানুষ, পশু-পাখি, ইত্যাদি যে কোন সুরত ধরতে পারে। সেই ক্ষণে উক্ত জীবের বৈশিষ্ট্যের আদলে তার ঘনত্ব কম-বেশি হয়ে থাকে এবং মানুষের দৃষ্টির মধ্যে আসে।


http://eurobdnews.com/different-news-of-bangladesh/2014/11/28/87677#sthash.kvv8mgd9.dpuf

জেমস বন্ডের নানা কথা



১৯৫৩ বিশ্বের বই বাজারে এক যুগান্তকারী ঘটনা ঘটল ইয়ান ফ্লেমিংয়ের লেখা প্রথম জেমস বন্ড উপন্যাসক্যাসিনো রয়্যালপ্রকাশিত হলো তার পর তো বাকিটা ইতিহাস মনে রাখবেন, তখন ইন্টারনেট, টেলিভিশন এমনকি মোহাইল ফোনের কথা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি ওই সময় একটা বইয়ের গোটা বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলার ঘটনা নেহাতই কতিপয়


যাই হোক, সেই ১৯৫৩ থেকে আজও প্রায় ছয় দশক বাদেও জেমস বন্ড এখনো সমান আকর্ষনীয় এখনো সমান প্রাসঙ্গিক থেকে আশি, সকলের অন্যতম প্রিয় স্পাই তা সেই স্পাই সম্পর্কে এমন অজানা অনেক তথ্য রয়েছে, যা একান্ত বন্ড ভক্তরাও হয়তো জানেন না এমনই ৯টি অজানা তথ্যের হদিশ এখানে তুলে ধরা হলো

. একজন পাখি বিশেষজ্ঞের নামে জেমস বন্ডের নাম : দুনিয়ার সেরা স্পাইয়ের নাম এক পাখি বিশেষজ্ঞের নামেই রেখেছিলেন স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিং একটি প্রবন্ধে তিনি লেখেন, “১৯৫৩ সালে যখন ক্যাসিনো রয়্যাল লিখি, তখন চেয়েছিলাম প্রোটাগনিস্টের নামটা বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে হোক তাই ছোটবেলায় পড়া একটি বইবার্ডস এফ ওয়েস্ট ইন্ডিজ’-এর লেখকের নামেই নায়কের নাম রাখি জেমস বন্ড আসল বন্ড আবশ্য আমায় চিঠি লিখে নামটি ব্যবহার করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন

. পিয়ের্স ব্রসন্যানদ্য ডেডলিয়েস্ট বন্ড’: শুধু লুকসের জন্যই নয়, প্রকৃত অর্থেই পিয়ের্স ব্রসন্যান সব থেকে খতরনাক বন্ডস্কাইফলসিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত জেমস বন্ড সমস্ত সিনেমা মিলিয়ে ৩৫৪ জনের ভবলীলা সাঙ্গ করেন তার মধ্যে পিয়ের্স একাই ১৩৫ জনকে খুন করেন

. শন কোনারির পর থেকেই বন্ড স্কটিশ : সিনেমার পর্দায় অন্যতম সফল বন্ড শন কোনারিকে প্রথমে পছন্দ হয়নি ইয়ান ফ্লেমিংয়ের কিন্তুডক্টর নো’-তে তার অভিনয় দেখার পর মত বদলান তিনি শনের অভিনয়ে তিনি এতটাই প্রভাবিত হন যে, ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইসবইটিতে বন্ডকে স্কটিশ বানিয়ে দেন (কারণ, শন নিজেও স্কটিশ ছিলেন) আরো লেখেন, জেমসের বাড়ি স্কটল্যান্ডের গ্লেনকো শহরে পরবর্তীকালে শন কোনারিহাইল্যান্ডারছবির শ্যুট করতে যান গ্লেনকো শহরে

. থিম মিউজিকটি একটি ব্যর্থ গানের সুর থেকে নেয়া : জেমস বন্ড নামটির সঙ্গে তার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও একাত্ম হয়ে গেছে গিটারের ওই মূর্ছনা ছাড়া বন্ডেরবন্ডত্বইম্লান হয়ে যায় কিন্তু সেই সুরটি একটি চূড়ান্ত ব্যর্থ গানের সুর থেকে নেয়া হয়েছে গানটি কম্পোজ করেছিলেন মন্টি নরম্যান থিমটি প্রথম শোনা যায় ডক্টর নো ছবিতে

. -এর চরিত্রায়ণ : বন্ড সিরিজের যারা ভক্ত, তাদের কাছে এবং এই নাম দুটি ভীষণ পরিচিত এই -এর চরিত্রটি এক জন পিস্তল বিশেষজ্ঞকে মাথায় রেখে তৈরি করেছিলেন ফ্লেমিং তার আসল নাম জিওফ্রে বুথরয়েড তিনি ফ্লেমিং একটি চিঠি লিখে বন্ডের অস্ত্র নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এমনকি এও বলেন, আসলে বন্ড যে পিস্তলগুলো সিনেমায় ব্যবহার করছেন তা সাধারণত, নারীরা ব্যবহার করেন তার পরইডক্টর নোসিনেমায় -এর আবির্ভাব ঘটে সেখানে চরিত্রটির নামও রাখা হয়েছিল জিওফ্রে বুথরয়েড

. চিত্রনাট্য লেখায় শিশু সাহিত্যিক : বন্ডের জীবনযাত্রার ধরন থেকে কেউ কী কখনো এটা আন্দাজ করতে পারেন, যে সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার জন্য এক শিশু সাহিত্যিককে বাছাই করা হয়েছিল! ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইছবির চিত্রনাট্য লেখার জন্য প্রযোজক হ্যারি সালতম্যান এবং অ্যালবার্ট ব্রকোলি রোল্ড ডাল-এর দ্বারস্থ হন রোল্ড বিখ্যাত শিশু সাহিত্য যেমন চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি, মাতিল্ডা, জেমস অ্যান্ড দ্য জায়ান্ট পিচ-এর মতো বইয়ের স্রষ্টা

. ক্লিন্ট ইস্টউডেরনা’ : শন কোনারি যখন বন্ডের চরিত্র থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন, তখন নতুন বন্ড হিসাবে ক্লিন্ট ইস্টউডের কথা ভেবেছিল বন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি কিন্তু বন্ডকেমার্কিনিকরতে আগ্রহী ছিলেন না ক্লিন্ট একটি সাক্ষাতকারে ক্লিন্ট জানান, ‘তারা আমায় ভালো টাকার প্রস্তাব দেন কিন্তু আমার মনে হয়েছে, এতে বন্ডের মার্কিনিকরণ ঘটে যাবে তাই না করে দিই

. ফ্যানের তালিকায়হোমড়া-চোমড়া’ : জেমস বন্ডের ফ্যানদের তালিকায় অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের পাওয়া যাবে তার মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি তার অন্যতম প্রিয় বইয়ের মধ্যে একটি ছিলফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ জীবনের শেষ সফর ডালাসের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি এই ছবিটি দেখেই বের হন

. বন্ডের লুকসের পিছনে অবদান মার্কিন গায়কের : বন্ডকে দেখতে কেমন হবে, এটা নিয়ে বেশ ভাবনা চিন্তা করা হয় ইয়ান ফ্লেমিং বন্ডের বর্ননা করার সময় জেমসের চেহারার তুলনা মার্কিন গায়ক হোয়াজি কারমাইকেল-এর সঙ্গে করেন কারমাইকেলের ছবিটি দেখলে সে কথা বিশ্বাস করতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়

Some changes for our happiness!



There are changes that you have a tendency to resist joy, pleasure and wealth coming your way. Here are some ways:

Positive attitude: Be proactive and try to improve the situation by taking action. Don't live on borrowed tomorrows. Be present in the moment and take positive action that will add joy to your life.

Healthy habits: We are what we eat. So take care of your platter. Don't binge. Healthy eating is a way of living life with joy. Savour your meals instead of piling your plate with food. Similarly, be physically active. Discover the joy of playing a game, outdoor activities and see how much it helps in having a positive attitude.


Love yourself: Love and respect your sense of self. Draw your boundaries. Stay away from negative people. Have faith in your abilities and also have a sense of gratitude. Only when you celebrate what all you have, you will attract more.

Avoid jealous: Your friend might be driving a fancy car and holidaying in exotic destinations. But there's no need to get stressed over other people's luxurious lifestyle. They might be having their own set of problems. Jealously is one of the worst negative emotions and a definite joy spoiler. Being consent is a wonderful feeling.

- See more at: http://mtnews24.com/details/exclusive/79#sthash.Q8Yb7GKA.dpuf

Coconut oil for weight loss?

How to incorporate coconut oil into your diet to lose weight.



The health benefits of coconut oil are numerous, including haircare, skincare, stress relief. But it can also be used for weight loss and to regulate metabolism.

Create low calorie baked goods by substituting coconut oil for butter.

Toss in raw vegetables before roasting. Add lemon juice, thyme and bake.

Make a healthy snack by combining popcorn kernels with coconut oil.

Make low calorie and high nutrient coconut oil mayonnaise. Cut the amount of olive oil in half and use half coconut oil, half olive oil for calorie reduction.

- See more at: http://mtnews24.com/details/exclusive/266#sthash.VQ03QBIY.dpuf

Cell Phone use may lead to brain cancer or other health problems.




The longer someone talks over the phone – in terms of hours and years – the more likely is he/she to develop glioma, a deadly form of brain cancer or others health problems, says a new study.
Brain tumour rates were three times more among people, who spoke on cell or cordless phones after more than 25 years than those who did not use them, the findings showed.
“The risk is three times higher after 25 years of use. We can see this clearly,” Lennart Hardell, lead researcher and oncologist from University Hospital in Orebro in Sweden was quoted by Daily Mail as saying.
Swedes who talked on cell phones for over 25 years had three times the risk of one type of brain cancer, compared with people who used those phones for under a year.
For the study, Lennart Hardell and his colleague Michael Carlberg matched 1,380 patients with malignant brain tumours to people without such tumours.
They also compared their phone use.
People who reported using cordless or mobile phones for 20 to 25 years had higher risk of being diagnosed with glioma as compared with those who reported using them for less than a year, the study found.
However, no link was found between wireless phones and malignant brain tumours besides glioma, pointed out the study.
A World Health Organization (WHO) panel of 31 scientists from 14 countries classified mobile phones as ‘possibly carcinogenic’ in 2011.
The study appeared in the journal Pathophysiology.
Why is there concern that cell phones may cause cancer or other health problems?
There are three main reasons why people are concerned that cell phones (also known as “wireless” or “mobile” telephones) might have the potential to cause certain types of cancer or other health problems:
  • Cell phones emit radiofrequency energy (radio waves), a form of non-ionizing radiation. Tissues nearest to where the phone is held can absorb this energy.
  • The number of cell phone users has increased rapidly. As of 2010, there were more than 303 million subscribers to cell phone service in the United States, according to the Cellular Telecommunications and Internet Association. This is a nearly threefold increase from the 110 million users in 2000. Globally, the number of cell phone subscriptions is estimated by the International Telecommunications Union to be 5 billion.
  • Over time, the number of cell phone calls per day, the length of each call, and the amount of time people use cell phones have increased. Cell phone technology has also undergone substantial changes.

- See more at: http://mtnews24.com/details/exclusive/298#sthash.4lr9ofaR.dpuf