মাইগ্রেন
কোনো সাধারণ মাথা ব্যথা
নয়। এটি
এক ধরনের নিউরোলজিক্যাল প্রবলেম। মাথা
ও ঘাড়ের কাছের শিরা
ফুলে গিয়ে স্নায়ুর ফাইবারে
অতিরিক্ত রক্তের চাপ সৃষ্টি
করে। অতিরিক্ত
মানসিক চাপ, আবহাওয়া পরিবর্তন
মাইগ্রেনের প্রধান কারণ।
এর ফলে মাথায় তীব্র
ব্যথা, বমি বমি ভাব,
আলো ও শব্দ সহ্য
করতে না পারা, চোখে
ও চোয়ালে ব্যথা অনুভব
করা। মাইগ্রেনের
যন্ত্রণার হাত থেকে পুরোপুরি
মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে
সচেতন হলে ব্যথা কমানো
সম্ভব। মাইগ্রেনের
জন্য কিছু টিপস-
যে কোনো শারীরিক সমস্যাতে
সঠিক খাওয়া-দাওয়া প্রধান
ওষুধ। ডায়েটে
যদি ভিটামিন ই২ সমৃদ্ধ খাবারের
পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে
মাইগ্রেন অনেকটাই কমানো সম্ভব।
মুরগি, মাছ, ডিম, ছোলা,
বাদাম, কাঠবাদাম, দুগ্ধজাত খাবার, শাকসবজি বেশি
করে খাবেন।
চটজলদি সমাধান
* মাথা
ব্যথা বেশি হলে প্লাস্টিকের
প্যাকেটে বরফের টুকরো নিয়ে
ব্যথার জায়গায় দিয়ে রাখতে
পারেন। এতে
ব্যথা কমে আসবে।
* বমি
বমি ভাব কাটাতে ১
কুচি আদা মুখে দিয়ে
চিবিয়ে খেয়ে নিন।
আদা থেঁতো করে গরম
পানিতে ফেলে ছেঁকে সেই
পানি কপালে লাগালে আস্তে
আস্তে ব্যথা কমে আসবে। শিরার
ফোলা কমানো হলো আদার
অন্যতম গুণ।
* মাইগ্রেনে
কফি যদিও নাকি যন্ত্রণা
বাড়িয়ে তোলে, তারপরও এক
মগ গরম ধোঁয়া ওঠা
কফি আবার আরামও দেয়। কফির
মগে একটা অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট
দিয়ে নিন। কফিতে
চুমুক দিলে নিমেষেই কমে
যাবে ব্যথা।
* হারবাল
চা মাথা ব্যথা রোধে
খুবই উপকারী। চায়ের
সঙ্গে আদা কুচি ও
লেবু দেওয়া হলে ব্যথার
প্রকোপ অনেকটাই কমে যাবে।
* অতিরিক্ত
আওয়াজ ও আলো মাইগ্রেনের
জন্য ক্ষতিকর। তাই
মাইগ্রেন হলে ঘর অন্ধকার
করে নীরবে শুয়ে থাকুন। ঘুম
এলে ঘুমিয়ে নিন।
রিলাক্সশেন
থেরাপি : শুধু যন্ত্রণার সময়
ক্ষণিকের আরামই নয়, মাইগ্রেনকে
জীবন থেকেই সরিয়ে দিতে
পারে। মাথায়
ম্যাসাজ, ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন
কমাতে পারে আপনার মাইগ্রেনের
সমস্যা।
কীভাবে করবেন?
আরামদায়কভাবে
বসে বা শুয়ে নাক
দিয়ে বড় করে শ্বাস
নিন, আস্তে আস্তে মুখ
দিয়ে ছাড়ুন। এভাবে
৫ থেকে ১০ বার
গভীর শ্বাস নিলে শরীর
হালকা হয়ে যাবে।
রেহাই পাবেন মাইগ্রেনের যন্ত্রণা
থেকে। এ
ছাড়া মেডিটেশন করেও মাইগ্রেন দূর
করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment
Thanks