Sunday, February 12, 2017

ফলের স্টিকারে যে 'সংখ্যাটি' লেখা থাকলে সাবধান!



বাজারে বিভিন্ন ফলের গায়ে ছোট একটি স্টিকার অনেকেই দেখেছেন আর এই স্টিকারেই ফলটির বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয় এটি দেখে আপনি ফলটি খাবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই স্টিকার কোন ফল ক্ষতিকর, এবং কোন ফল আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী সে সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয় 

এই স্টিকার যদি নির্দিষ্ট বিধি মেনে তৈরি হয়ে থাকে, তা হলে স্টিকারের একেবারে নীচের দিকে একটি চার অঙ্কের সংখ্যা লেখা থাকবে এবং এই চার অঙ্কের সংখ্যার প্রথম অঙ্কটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

. যদি সংখ্যাটি অথবা দিয়ে শুরু হয় তাহলে বুঝতে হবে, এই ফলটি নট-জিএমও প্রোডাক্ট জিএমও বলতে বোঝায়, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অরগ্যানিজম, অর্থাৎ ডিএনএ- অদলবদলের মাধ্যমে প্রস্তুত ফল নট-জিএমও ফলের অর্থ, রাসায়নিক বা পেস্টিসাইড ব্যবহার করে প্রস্তুত নয় এই ফল 
. যদি সংখ্যাটির প্রথম অঙ্ক হয় , তা হলে এই ফল অর্গানিক অর্থাৎ এগুলো জৈব ফল রাসায়নিকের ব্যবহার হয়নি এই ফল উৎপাদনে 
. যদি সংখ্যাটি দিয়ে শুরু হয়, তা হলে এটি জিএমও ফুড অর্থাৎ এটি জেনেটিক্যালি মডিফায়েড 

কাজেই বার বাজার থেকে ফল কেনার সময়ে ভাল ভাবে খেয়াল করুন ফলের গায়ের স্টিকারটি যদি স্টিকারের নীচে থাকে চার অঙ্কের সংখ্যা, এবং সেই সংখ্যার প্রথম অঙ্কটি হয় , তা হলে ফলটি কিনবেন কি না তা আপনার সিদ্ধান্ত

Saturday, February 11, 2017

পাউরুটি ব্যবহারেই সারবে পায়ের পাতার কড়া



পায়ের পাতায় কড়া  কিংবা চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়ার সসম্যায় ভোগেন অনেকেই। পায়ের পাতায় কোনও একটি জায়গায় ক্রমাগত আঘাত লাগতে থাকলে ওই অংশের বহির্ত্বকটি শক্ত হয়ে যায়। সেই শক্ত অংশটিকেই বলে কড়া। চামড়ার অভ্যন্তরীণ কোমলতর অংশে চাপ দিয়ে তখন সেই কড়া ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  
এই ধরনের কড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দা ক্রিস্টিনা জোহানসেন। পেশায় নিউট্রিশনিস্ট ক্রিস্টিনা ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে দেখেছেন। তাতে খুব ভাল কাজ হয়নি। তিনি তাই খুঁজছিলেন কড়ার সমস্যার কোনও ঘরোয়া সমাধান। এই নিয়ে গবেষণা করতে করতে তিনি পেয়েও গেলেন কড়ার অব্যর্থ ওষুধ।
এক রাত্রে পাউরুটির একটি টুকরো ভিনিগারে ভিজিয়ে তিনি লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে জড়িয়ে দিলেন পায়ের পাতার কড়া আক্রান্ত অংশটিতে। তার পর ঘুমিয়ে পড়লেন স্বাভাবিক ভাবে। পরের দিন সকাল বেলা উঠে দেখেন, একেবারে সেরে গিয়েছে পায়ের পাতার কড়া। সম্প্রতি নিজের আবিষ্কৃত এই সহজ ঘরোয়া টোটকা ক্রিস্টিনা শেয়ার করেছেন নিজের ব্লগে। আটলান্টা ইউনিভার্সিটির হেলথ ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞরা ক্রিস্টিনার ব্লগটি পড়ে বলছেন, কৌশলটি বেশ ভাল। ভিনেগার এবং পাউরুটি একত্রে এমন একটি রাসায়নিকের জন্ম দেয়, যা পায়ের পাতার শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়াকে নরম হতে সাহায্য করে। ফলে এক রাত্রেই সেরে যায় পায়ের পাতার কড়া।

Thursday, December 29, 2016

ফোন সাইলেন্ট মোডে হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে



এমনটা যে কোন সময়েই হতে পারে যে, কোন কারণে আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট অবস্থায় রেখেছেন, সেই সময়েই হঠাৎ দেখলেন মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোন ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা 

মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন মোবাইলটি কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না তা হলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-

. প্রথমে অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান 

. সেখানে সার্চ বারে লিখুনফাইন্ড মাই ফোন 

. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন 

. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল- 

. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজ ম্যানেজারটিঅনকরে দিতে পারবেন 

. বাররিংঅপশনটিকে সিলেক্ট করুন 

. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোন ব্যাপারই নয় 


এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব- খুঁজে পেতে পারেন তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না

Saturday, December 10, 2016

এসএমএস পাঠিয়ে যেভাবে পাবেন স্মার্টকার্ড



দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করেছে সরকার ইতোমধ্যেই অনেকে নিজেদের কার্ড বুঝে পেয়েছেন

তবে সবার হাতে এখনো পৌঁছায়নি স্মার্টকার্ড কিন্তু যারা এখনও পাননি তারা নিজেই জেনে নিতে পারেন কখন হাতে পাবেন আপনার কার্ডটি ১০৫ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন তথ্য
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের https://services.nidw.gov.bd/voter_center লিংকে গিয়ে এনআইডি নম্বর জন্ম তারিখ অথবা ফরম নম্বর জন্মতারিখ দিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে তবে যাদের স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি তাদেরকে পরবর্তীতে আবার অনুসন্ধান করার কথা বলা হবে

এসএমএসের মাধ্যমেও বিতরণের তারিখ কেন্দ্রের নাম জানা যাবে এসএমএসের মাধ্যমে জানতে SC লিখে স্পেস দিয়ে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে আর যাদের এনআইডি ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডির নম্বরের প্রথমে জন্ম সাল যোগ করতে হবে

এখনও যারা এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপের ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে

Monday, December 5, 2016

খাদ্য সম্পর্কিত ১০টি কৌতূহলোদ্দীপক কুসংস্কার



কুসংস্কার হলো এমন সব বিশ্বাস যেগুলো প্রায়ই একটি জাতির সাংস্কৃতিক পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে। তবে এসবের মধ্যে ধর্মীয় দ্যোতনা হয়তো নাও থাকতে পারে।

বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মতো অসংখ্য ধর্ম ও ঐতিহ্যপ্রবণ সমাজে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অসংখ্য বিশ্বাস এবং কুসংস্কার যুগযুগ ধরে প্রচলিত থাকাটাই স্বাভাবিক। এখানে এমন কয়েকটি খাদ্য কুসংস্কার তুলে ধরা হলো।

১. দুধ
সন্ধ্যার পর কেউ দুধ ধার নিতে আসলে তাকে সাধারণত ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ কিছু চাষী এবং পশুপালনকারী জনগোষ্ঠীতে এই বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, এতে গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুধ পান এবং গ্লাস থেকে দুধ পড়ে যাওয়াকে একটি বাজে লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২. মাছ
প্রায় পুরো পুর্ব ভারতীয় জনগোষ্ঠী বিশ্বাস করেন, কোনো প্রকল্প বা যাত্রা শুরু করার সময় মাছের দিকে তাকানো একটি শুভ লক্ষণ।

৩. দই এবং চিনি
যারা ভ্রমণে যাচ্ছেন, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন বা যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অবর্তীর্ণ হচ্ছেন অথবা ইন্টারভিউর পরীক্ষায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা যদি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দই এবং চিনির স্বাদ গ্রহণ করেন তাহলে তারা সৌভাগ্য বয়ে আনেন।

৪. লেবু
লেবু এবং আদা একসঙ্গে বেঁধে রাখলে অশুভ এবং কুদৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সাধারণত ঘর এবং কর্মস্থলের দরজায় লেবু ও আদা একসঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এক গ্লাস পানিতে একটি আস্ত লেবু ভিজিয়ে রাখা হলে তা কর্মস্থলের নেতিবাচক শক্তিগুলো শুষে নেয়।

৫. লবন
লবন পড়ে যাওয়াকে একটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং বিশ্বাস করা হয় এটি দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। লবন ছুঁড়ে মারার আগে পানিতে মিশিয়ে গলিয়ে ফেলতে হবে। ঘরের কোনে ছোট বাটিতে লবন রাখলে তা নেতিবাচকতা শুষে নেয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।

৬. তেল এবং কাসুন্দি
ভ্রমণে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার সময় সঙ্গে তেল এবং কাসুন্দি রাখলে তা মঙ্গলজনক হয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।

৭. ঘি
হিন্দুত্ববাদে ঘিকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ঘি দিয়ে জ্বালানো বাতি নেতিবাচক শক্তিগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখে বলেও বিশ্বাস করা হয়।

৮. পবিত্র পুদিনা
পবিত্র পুদিনাকে একটি বিশোধক খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই ঈশ্বরের প্রতি কোনো কিছু উৎসর্গ করা হলে তা আগে এই পাতা দিয়ে পবিত্র করা হয়। এছাড়া সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্র গ্রহণের সময় পুদিনা পাতা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

৯. মরিচ
কারো ওপর অশুভ বা শয়তানের দৃষ্টি পড়লে তা দূর করতে মরিচ ব্যবহৃত হয়। আমাদের অনেকেই হয়তো এটা নাও বিশ্বাস করতে পারেন। কিন্তু বেশ কিছু সম্প্রদায় এবং ধর্মে এই বিশ্বাসটি মেনে চলা হয়।

১০. হলুদ
হলুদও নেতিবাচক শক্তিসমূহকে দূরে রাখে বলে কথিত আছে। আর এ কারণেই ঘরের চারদিকে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া লাল কাপড়ে বেঁধে ঘরের বিভিন্ন কোনায় ঝুলিয়ে রাখা হয় অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

ইন্টারনেট থেকে নিজেকে পুরোপুরি ডিলিট করতে...



ইন্টারনেট দারুণ কাজের এক জায়গা। এটা যেমন উপকারী, একই সময়ে তেমনই ভয়ংকর।

অনেক  সময়ই মনে হয়, এই জাল থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারতাম? তবে একন পর্যন্ত নিজেকে ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই।
সুইডিশ ডেভেলপার উইলি ডালবো এবং লিনাস উনিব্যাক তৈরি করেছেন 'ডিসিট ডট মি (Deseat.me)'। এর মাধ্যমে কয়েকটি ক্লিকের ব্যবহারে আপনি ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাবেন।

একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে ডিসিট ডট মি'র ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। এরপর আপনি যত অ্যাপ এবং সেবা ব্যবহার করেছেন তা স্ক্যান করে বের করবে। সহজে ডিলিট করা যায় এমন লিঙ্কের মাধ্যমে এদের মুছে ফেলার ব্যবস্থা করবে।

আপনার যত অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা খুঁজে বের করে ডিসিট ডট মি। কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে সব মুছে ফেলা যায়। অবশ্য কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কতগুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন এবং এই তালিকা কত বড়।

যদি সোশাল মিডিয়ায় পেরেশানি হয়ে যান তবে এ কাজটি করতে পারেন। তা ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার মানুষকে মানসিক চাপে রাখে। হয়তো বিষয়টি মন্দ নয়।
সূত্র: দ্য নেক্সট ওয়েব

Wednesday, November 16, 2016

আমলকীর যত গুণ জেনে নিন



আমলকী বা আমলা যে নামেই ডাকি না কেন আমরা, এর উপকার এর অন্তঃ নেই এটি শুধু একটি ফল নয় বরং বলতে হবেউপকারী ফল মুখের স্বাদ ফেরানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য থেকে নিয়ে চুলের যত্ন! সবকিছুতে এর উপকার ঢের রয়েছে

আমলকী দূর করে গলা ক্ষতঃ গলার ক্ষত অর্থাৎ গ্রীবার উপরিভাগে ক্ষত হলে, ঠান্ডায় গলা ব্যথা বেশি বেড়ে গেলে আমলা ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় দুই চা চামচ আমলকীর পাউডার কে দুই চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে / বার খেলেই ব্যথা সেরে যাবে
ভিটামিন সিঃ আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি তাই কৃত্রিম ভাবে তৈরী ভিটামিন সি এর ট্যাবলেটের পরিবর্তে একটি করে আমলকী খেলে তা ট্যাবলেটের থেকে ভালো কাজ করবে
কোষ্ঠবদ্ধতা কমাতেঃ প্রতিদিন এক টুকরো আমলকী খাওয়ার ফলে কোষ্ঠবদ্ধ দূর হয় তবে আমলকী পাউডার কিংবা জ্যুস খেলে হবে না; এক টুকরো খেতে হবে
মুখের ঘা দূর করণেঃ মুখের ভিতর ঘা দিয়ে ভরে যাচ্ছে? এই সমস্যার জন্য আমলকী সবচেবেস্ট আমলকীর জ্যুস কে আধ গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে গাল্গল করলে ঘা কমে যায়
ঘুমের সমস্যা রোধ করতেঃ দীর্ঘ দীর্ঘ রাত জেগে কাটানো হয় কোনো কাজ নেই তবু ঘুম আসেনা বিছানায় এপাশ ওপাশ ফিরলেও না যাকে আমরা বলি ইনোসমোনিয়া আর এটি দূর করতেও আমলকীর জুড়ি নেই ঘুমানোর আগে এটি খেলে এটি ইনোসমোনিয়া দূর করে
চোখের উপকারেঃ আমলকী চোখের জন্য অনেক উপকারী আধা কাপ পানির সাথে দুই টেবিল চামচ আমলকীর জ্যুস মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার ফলে চোখের পানি পরা, চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এগুলো রোধ পায়
ওজন কমাতেঃ আমলকীফল ওজন কমাতে সহায়তা করে এবং এর ফলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় রোগদমন করতেঃ আমলকীর জ্যুস খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মতো নানান জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
এসিডিটি দূরকরণেঃ এটি এসিডের ব্যালান্স পরিমিত রাখে এবং এসিডিটি দূর করে
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ এটি হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং রক্তকণিকা বিশুদ্ধ রাখে

কোলেস্টেরল কমাতেঃ অধিক কোলেস্টেরল ফলে হার্ট এটাক, স্ট্রোক হয়ে থাকে তাই রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানির সাথে ৫০০ গ্রাম আমলকী-পাউডার মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরল কমে

আমলকীর তেলঃ আমলকীর তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক বেশি উপকারী এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে- . চুল ঝরা কমে যায় . চুলের বাদামী বা লালচে ভাব দূর হয় . চুল হয় ঘন কালো . চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় . চুলকে রাখে খুশকি মুক্ত . চুলে ফিরিয়ে আনে চাকচিক্য

Tuesday, November 15, 2016

রূপচর্চায় তেজপাতার বিস্ময়কর ৫টি ব্যবহার



তেজপাতা রান্নার স্বাদ গন্ধ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। এর পুষ্টিগুণও অনেক। কাশি সারাতেও তেজপাতা বেশ কার্যকরী। কিন্তু আপনি জানেন কি, রূপচর্চায়ও তেজপাতার রয়েছে অসাধারাণ কিছু ব্যবহার? চুলের খুশকি দূর করা থেকে শুরু করে ব্রণ দূর করা পর্যন্ত রয়েছে তেজপাতার ব্যবহার! আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় তেজপাতার বিবিধ ব্যবহার।
১। খুশকি দূর করতে
চুলের খুশকি দূর করতে তেজপাতা অনেক কার্যকরী। শুকানো তেজপাতার গুঁড়োর সাথে টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এটি চুলে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুশকি দূর করার পাশাপাশি মাথার চুলকানি দূর করে দিয়ে থাকে।
২। ব্রণ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে
১ লিটার পানির মধ্যে ১০টি তেজপাতা গুঁড়ো করে নিন। এবার এটি অল্প আঁচে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে পানিটি আলাদা করে ফেলুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এই দুইবার নিয়ম করে এই পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয় এর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।
৩। উকুন দূর করতে
৫০ গ্রাম তেজপাতা গুঁড়ো ৪০০ মিলিগ্রাম পানিতে জ্বাল দিয়ে ১০০ গ্রাম করে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে এই পানি ছেঁকে তেজপাতা গুঁড়ো আলাদা করে নিন। এবার এটি মাথার তালু এবং চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। ৩-৪ ঘন্টার পর এটি ধুয়ে ফেলুন। এটি উকুন দূর করতে বেশ কার্যকরী।
৪। দাঁত সাদা করতে
তেজপাতা গুঁড়ো করে পেস্টের সাথে মিশিয়ে দাঁত মাজুন। এটি দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে মাড়ির যত্ন নিয়ে থাকে। আপনি চাইলে শুধু তেজপাতা গুঁড়ো দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন।
৫। কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার
কিছু তেজপাতা পানিতে সিদ্ধ করে নিন। এবার এটি ছেঁকে ঠাণ্ডা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুলকে ঝলমলে করে তুলবে।

রোজায় লেবুর শরবত যেভাবে আপনাকে সুস্থ্য রাখবে



রোজায় লেবুর শরবত সারা দিনের রোজা রাখার পর ইফতারিতে এক গ্লাস লেবু শরবত যেন অমৃত। দিনভর ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করতে লেবুর শরবতের তুলনা হয়না। নারীদের জন্য রোজার দিনগুলোতে লেবু শরবত পান করাটা জরুরী। এটি একাই ডায়াবেটিস, ত্বকের সুরক্ষা, ওজন কমান থেকে শুরু করে নানান সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
রোজায় লেবুর শরবত এর নানা গুণ
• একটি লেবুতে ভিটামিন, খনিজ উপাদান, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে চনমনে করে তোলে। তাই রোজায় ক্লান্তি দূর করতে এর তুলনা নেই।
• লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং আয়রন নারীর শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। তাই ইফতারিতে লেবু শরবত রাখা উপকারী।
• বিশেষজ্ঞরা বলেন ভিটামিন সি ত্বকের জন্য উপকারী। রোজায় লেবুর শরবত নারীর ত্বক সুন্দর আর সজীব রাখতে সাহায্য করে।
• লেবু শরবত উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে জ্বালাপোড়া কমায়। আর তাই পানি ঘাটতি জনিত সমস্যায় আক্রান্ত নারীরা শুধুমাত্র ইফতারিতেই নয় সেহেরীর শেষে লেবু শরবত পান করতে পারেন।
• লেবুর শরবতে অল্প কয়েক ফোঁটা মধু এর স্বাদ বাড়িয়ে তোলে আর আপনার কফ বা শ্লেষ্মা দূর করতে সহায়তা করে। অ্যাজমা বা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত যে কেউ ইফতারিতে এই শরবত গ্রহণ করে নিজের সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন।
• লেবুতে এসেন্সিয়াল ওয়েল রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রাচীর গড়ে তোলে। যার ফলে মাথা ব্যথাসহ ডেঙ্গু জ্বর পর্যন্ত সেরে যায়। সারাদিনের রোজা শেষে একগ্লাস লেবু শরবত আপনাকে মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
প্রাকৃতিকভাবেই লেবুতে এমন সব গুণাবলী বিদ্যমান যা রোগ প্রতিরোধে ওষুধের থেকেও ভালো কাজ করে। তাই রোজায় লেবুর শরবত পান করা দরকার।