Monday, September 15, 2014

যে খাবারগুলো যৌন অনুভূতি কমিয়ে দেয়

মানুষের খাবার গ্রহণের সঙ্গে সেক্সের সম্পর্ক বেশ গভীর। বহু আগে থেকেই চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে আসছে যে, আমাদের দৈহিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর যৌনশক্তি নির্ভর করে। তাই যৌনজীবনকে বিপর্যস্ত না করতে চাইলে খাবারের বিষয়ে সাবধান হওয়া প্রয়োজন। মূলত নারী-পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা ও সক্ষমতা নির্ভর করে দৈহিক, মানসিক এবং হরমোনঘটিত বেশ কিছু বিষয়ের ওপর। এদের সঙ্গে বিশেষ কিছু খাদ্যের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
মানুষের মধ্যে যৌন অনুভূতি তীব্র করে টেসটোস্টেরন নামক হরমোন। খাবারের প্রভাবে নানা ধরনের পাচক রসের উদ্ভব ঘটে যা এই হরমোনের নিঃসরণমাত্রা কমিয়ে দেয়। আর তখনই যৌন অনুভূতির অভাব ঘটতে পারে। এখানে দেখে নিন এমনই ৫টি খাবারের তালিকা যা আপনার রোমান্টিক সময়টাকে বিষিয়ে দিতে পারে। ১. পনির : দারুণ সময়কে আরো উপভোগ্য করে তুলতে পারে সুস্বাদু পনির। কিন্তু দুধ থেকে তৈরি এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে সিনথেটিক হরমোন উৎপন্ন হতে পারে। ফলে যৌন অনুভূতি সৃষ্টিকারী টেসটোস্টেরন হরমোনের অভাবে আপনার প্রেমপূর্ণ সময়টি নির্ঘাত নষ্ট হয়ে যাবে। ২. মিন্ট : মুখে বাজে গন্ধ দূর করতে মিন্টের তুলনা নেই। কিন্তু এটি আবার টেসটোস্টেরন হরমোন নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে। তাই বিশেষ করে পুরুষদের মিন্ট থেকে দূরে থাকাই ভালো। ৩. কর্ন ফ্লেক্স : সকালে উঠে দুধ দিয়ে কর্ন ফ্লেক্স চেখে দেখতে কে না ভালোবাসেন। অবশ্য ড. জন হার্ভে কিলোগ এই খাবারটি আবিষ্কার করেছেন মানুষের মাঝে ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার জন্যেই। কিন্তু আপনি খেলে হিতে বিপরীত হবে। চিনিবিহীন এই খাবারটি কারো মনে যৌন অনুভূতি যে সৃষ্টি করবে না তার প্রমাণ মিলেছে। ৪. কফি : এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, কফির ক্যাফেইন সেক্সের সময় দারুণ শক্তি জোগাবে। কিন্তু খুব শিগগিরই খেয়াল করবেন, এটি সেক্সের প্রতি অনীহা সৃষ্টি করবে। কারণ, ক্যাফেইন স্নায়বিক দুর্বলতা তৈরি করে। ৫. চকোলেট : তালিকায় এই খাবারটিকে দেখে অবাক লাগতে পারে। কারণ আমরা সবাই চকোলেটকে যৌন অনুভূতিপূর্ণ খাবার হিসেবেই চিনি। ড. মাইকেল হির্ট-এর মতে, এটি আপনার টেসটোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই চকোলেট থেকেও দূরে থাকুন।

চুম্বন সম্পর্কে অজানা যত মজার তথ্য

মধুর চুম্বন ছাড়া একটি সম্পর্ক যেন কল্পনা করা যায় না। শারীরিক মিলনের প্রথম ধাপ হল এই চুম্বন। চুম্বনে দুটি দেহের উত্তেজনা বেড়ে যায়, একপর্যায়ে তারা যেন দুই দেহ এক আত্মায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু চুম্বন সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য আপনি হয়ত জানেন না। আর এর জন্য আমাদের এই আয়োজন।

চুম্বনের উৎপত্তি : ইংরেজি “kiss” শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি শব্দ cyssan থেকে যার অর্থ চুমু খাওয়া। তবে এটি সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নন যে cyssan শব্দটির সঠিক উৎপত্তিস্থল কোথায়। তবে ধারণা করা হয় যে চুমু খাওয়ার সময়ের আওয়াজ থেকেই এর উৎপত্তি। রোমানরা চুমু খাওয়াকে বিভিন্ন নামে সম্বোধন করে থাকে। যেমন হাতে বা গালে চুম্বন করাকে বলে basium, ঠোঁটে চুম্বন করাকে বলে osculum এবং প্রগাঢ়ভাবে চুম্বন করাকে বলে saviolum। তবে গ্রিকরা চুম্বনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করতো না কিন্তু ভালাবাসা প্রকাশের জন্য কিছু শব্দ ব্যবহার করত। বিশ্বস্ত ভালোবাসা যেমন পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের ক্ষেত্রে Philia, কামনাপূর্ণ ভালোবাসার জন্য eros শব্দগুলো ব্যবহার করা হত। তবে প্লেটো এক সময় ঘোষণা দেন যে কারও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে থাকলেও eros শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে সত্যিকারের ভালোবাসার ক্ষেত্রে শারীরিক মিলনের কোনো বাঁধাই থাকা উচিৎ না। শেষ পর্যন্ত গ্রিকরা সবচেয়ে আবেগঘন আর শক্তিশালী ভালোবাসার জন্য agape শব্দটি ব্যবহার করে যা থেকে মূলত চুম্বন বা শব্দটির উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়।

 চুম্বন পদ্ধতিটি যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে : চুম্বন পদ্ধতিটি আসলে কীভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে তার সঠিক তথ্য বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেন নি। তবে ধারণা করা হয় যে আদিমকালে মা তার শিশু সন্তানকে মুখে করে খাবার খাওয়াতেন ঠিক যেভাবে পাখি তার শাবক বাচ্চাটিকে খাইয়ে থাকে। এখান থেকে চুম্বনের দৃশ্যগত সূত্রপাত। এরপরে রোমান ও গ্রিক বিভিন্ন ভাস্কর্যে দুটি মূর্তির মুখে মুখ লাগানো বিষয়টি ফুটে ওঠে। এভাবে আস্তে আস্তে এক সময়ে আলেকজান্ডার দি গ্রেট এর সময়কালে চুম্বন পদ্ধতিটি সর্বাধিক ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হয়।

 চুম্বনের কেমিস্ট্রি : একটি সুষ্ঠু এবং আনন্দঘন যৌন মিলনের জন্য চুম্বন একটি অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে যে চুম্বনের সময়ে ডোপামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এটি একটি শক্তিশালী হরমোন যা কোকেনের ন্যায় মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং যৌন মিলনের ইচ্ছায় শরীরে এক আনন্দময় অনুভূতির সঞ্চার করে। এটি ঘুম ঘুম ভাব, অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং প্রচুর এনার্জী উৎপাদন করে। এছাড়া চুম্বনের ফলে শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিটসিন নিঃসারিত হয় যা শক্তিশালী এক অনুভূতির সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা শারীরিক মিলনের সময়ে বেশি করে চুম্বনের অভ্যাস গড়ে তোলার নির্দেশ দেন যার ফলে একটি সুখী ও আনন্দময় দাম্পত্যসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

 চুম্বনের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা : বেশ কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে আনন্দদায়ক এই চুম্বনের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। প্রতিটি চুম্বনের ফলে সৃষ্ট লালার সাথে থাকা ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের ইমিউন পদ্ধতিকে চালিয়ে নিতে সহায়তা করে। এছাড়া চুম্বন করলে দাঁত পরিষ্কার থাকে কেননা এর ফলে লালায় থাকা বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখ পরিষ্কার রাখে। চুম্বনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়, হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক থাকে এবং রক্তনালী প্রসারিত হয় যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যপোযোগী। অবশ্য অসুস্থ কারও সাথে চুম্বনে জড়িয়ে পড়লে হিতে বিপরীতও হতে পারে।

 চুম্বনের বিজ্ঞান : চুম্বন বিষয়ক পড়াশোনার নাম হল ফিলেমেটোলজি। যারা এই বিষয়ে পড়াশোনা করেন তারা শুধু এর বাহ্যিক বিষয়টি নিয়েই গবেষণা করেন না এর অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। অনেকেই বলে থাকেন যে প্রথম চুম্বনের মোহ অন্যরকম, যা কখনই ভোলা যায় না। কিন্তু বিজ্ঞান কিছুটা ভিন্ন কথাই বলে। চুম্বনে মূলত স্বাদ, শব্দ এবং গন্ধ এই ৩ টি বিষয়ই কাজ করে। তবে চুম্বনটি স্পর্শকাতর নাও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং প্রায় ৬৬ শতাংশ নারী প্রথম চুম্বনের প্রতি একেবারেই আসক্ত নন বা প্রথম চুম্বন তাদের ততটা ভালো লাগে না। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় যে পুরুষের তুলনায় নারীরাই চুম্বনে বেশি আনন্দ পেয়ে থাকেন।

 বিশ্বের শতকরা ১০ শতাংশ মানুষই চুম্বন করেন না : সারা বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই চুম্বন করেন কিন্তু প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ চুম্বন ছাড়াই সরাসরি যৌন মিলনে মিলিত হন। বিভিন্ন কারণে এরা এটি করে থাকেন। তার মধ্যে একটি অদ্ভুত কারণ হল সুদানদের একটি বিশ্বাস। সুদানরা চুম্বন থেকে বিরত থাকেন কেননা তারা বিশ্বাস করেন যে মুখ হল মানুষের আত্মার জানালা সরূপ। চুম্বনের সময়ে কেউ তার আত্মাটি এই মুখ রূপ জানালা দিয়ে চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। আবার এস্কিমোরা বিশ্বাস করেন যে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে চুম্বন করার সময়ে তাদের মুখ দুটি একসাথে আটকে যেতে পারে। এই ভয়ে তারা শারীরিক মিলনের পূর্বে চুম্বন থেকে বিরত থাকেন। তবে বাংলাদেশেও একটা বড় সংখ্যক মানিশ এই চুম্বনে ততটা অভ্যস্ত নন। কেননা তাদের কাছে শারীরিক মিলন কোনো শৈল্পিক বা ভালোলাগার চাহিদা নয়, এক ধরনের অতি প্রয়োজনীয় জৈবিক চাহিদা যা চুম্বন ছাড়াও সম্ভব।

 চুম্বনের বিশ্ব রেকর্ড : দীর্ঘ চুম্বনের বিশ্ব রেকর্ড করেন থাইল্যান্ডের ইকাচাই এবং লাকসানা তিরানারাত নামক দম্পতিটি। তারা ২০১৩ সালে ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড এর একটি দীর্ঘ চুম্বন করে রেকর্ডটি গড়েন।

 চুম্বন পরিপন্থি দেশ : বিশ্বে এমনও দেশ রয়েছে যেখানে চুম্বন করা একটি দন্ডনীয় অপরাধ। মেক্সিকোতে মেনুয়েল বেরুমেন নামক একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনসম্মুখে তার স্ত্রীকে চুম্বন করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিছু দেশে এর শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে অনেকটা পাশবিকভাবে

আকর্ষণীয় দেখাতে যেভাবে শাড়ি পরবেন

বাঙালি নারীর সত্তার সাথে মিশে রয়েছে শাড়ি শাড়ি এমন একটি পোশাক যার ঐতিহ্যগত হওয়ার পাশাপাশি আপনাকে হট লুকও দিতে পারে৷

সেইভাবে শাড়ি পরলে এতে আপনার শরীরের গঠন যেমন সুন্দর হবে তেমনই আপনার চেহারায় পাগল হবে অনেকে৷ এছাড়াও শাড়ি পরা এক ধরণের শিল্প যেখানে একটু ভুল হওয়া মানেই আপনার গোটা লুক বরবাদ হয়ে যেতে পারে৷ তাই জেনে নিন শাড়ি পরার সময় কোন ভুল গুলো একেবারেই করা মানা৷




সবার প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে শাড়ি পরার সময় আপনি কি ধরনের জুতা পডরছেন৷ আপনারো জুতোর হিল কতটা তার সঙ্গেই সম্পর্ক আপনার শাড়ির লুকের৷ তাই শাড়ি পরার সময় যে জুতো পরে বের হবেন সেটা পরে নিন৷ এতে শারীর উচ্চতা আপনার উচ্চতার সঙ্গে এক হবে আপানাকে অনেক বেশি সুন্দরী দেখাবে৷

শাড়ি পরার সময় যদি আপনি একাধিক পিন ব্যবহার করেন তাহলে এটা আপনার মস্ত ভুল৷ শাড়িতে পিন লাগানোর সময় যাতে এটি বাইরে থেকে দেখা না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ চেষ্টা করুন যাতে পিন শাড়ির আড়ালে ঢেকে যায়৷ খুব পাতলা ফেব্রিকের শাড়িতে একাধিক পিন ব্যবহার করবেন না এতে শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷




শাড়ির সঙ্গে যদি মনে করে থাকেন ইচ্ছামত জুয়েলারি পরবেন তাহলে এটা কিন্তু একেবারেই আপনার ভুল ধারনা৷ শাড়ি পরার সময় খেয়াল রাখুন যে কোন শাড়ির সঙ্গে কোন ধরনের অলঙ্কার মানাবে৷ হালকা শাড়ির সঙ্গে হেভি জুয়েলারি পরুন আর হেভি শাড়ির সঙ্গে জুয়েলারি ছাড়া বা সামান্য জুয়েলারি দিয়েও পরতে পারেন৷

আপনি যদি শাড়ির বিষয়ে পটু হয়ে থাকেন তবে নিশ্চয়ই আপনি অনুষ্ঠান অনুযায়ী বিভিন্নভাবে শাড়ির পরে থাকে? তবে শাড়ির সঙ্গে আপনি যত এক্সপেরিমেন্ট করবে আপনার ভুলের পরিমাণ তত বাড়বে৷ আপনি যে ধরণের শাড়ি সবচেয়ে ভাল পড়তে পারেন সেভাবেই শাড়ি পরুন৷ এমনকি অন্য কোন ব্যক্তির মতামত নিন৷

আজকাল শাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্লাউজেও অনেক ধরনের এক্সপেরিমেন্ট দেখা যায়৷ তাই কোন শাড়ির সঙ্গে কোন ধরণের ব্লাউজ মানাবে সেদিকেও খেয়াল রাখবেন৷ ভারী শাড়ির সঙ্গে হালকা ব্লাউজ হালকা শাড়ির সঙ্গে জমকালো ব্লাউজ সেক্ষেত্রে পারফেক্ট ম্যাচ হতে পারে৷