Showing posts with label Life Style. Show all posts
Showing posts with label Life Style. Show all posts

Sunday, February 12, 2017

ফলের স্টিকারে যে 'সংখ্যাটি' লেখা থাকলে সাবধান!



বাজারে বিভিন্ন ফলের গায়ে ছোট একটি স্টিকার অনেকেই দেখেছেন আর এই স্টিকারেই ফলটির বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয় এটি দেখে আপনি ফলটি খাবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এই স্টিকার কোন ফল ক্ষতিকর, এবং কোন ফল আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী সে সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয় 

এই স্টিকার যদি নির্দিষ্ট বিধি মেনে তৈরি হয়ে থাকে, তা হলে স্টিকারের একেবারে নীচের দিকে একটি চার অঙ্কের সংখ্যা লেখা থাকবে এবং এই চার অঙ্কের সংখ্যার প্রথম অঙ্কটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ

. যদি সংখ্যাটি অথবা দিয়ে শুরু হয় তাহলে বুঝতে হবে, এই ফলটি নট-জিএমও প্রোডাক্ট জিএমও বলতে বোঝায়, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অরগ্যানিজম, অর্থাৎ ডিএনএ- অদলবদলের মাধ্যমে প্রস্তুত ফল নট-জিএমও ফলের অর্থ, রাসায়নিক বা পেস্টিসাইড ব্যবহার করে প্রস্তুত নয় এই ফল 
. যদি সংখ্যাটির প্রথম অঙ্ক হয় , তা হলে এই ফল অর্গানিক অর্থাৎ এগুলো জৈব ফল রাসায়নিকের ব্যবহার হয়নি এই ফল উৎপাদনে 
. যদি সংখ্যাটি দিয়ে শুরু হয়, তা হলে এটি জিএমও ফুড অর্থাৎ এটি জেনেটিক্যালি মডিফায়েড 

কাজেই বার বাজার থেকে ফল কেনার সময়ে ভাল ভাবে খেয়াল করুন ফলের গায়ের স্টিকারটি যদি স্টিকারের নীচে থাকে চার অঙ্কের সংখ্যা, এবং সেই সংখ্যার প্রথম অঙ্কটি হয় , তা হলে ফলটি কিনবেন কি না তা আপনার সিদ্ধান্ত

Saturday, February 11, 2017

পাউরুটি ব্যবহারেই সারবে পায়ের পাতার কড়া



পায়ের পাতায় কড়া  কিংবা চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়ার সসম্যায় ভোগেন অনেকেই। পায়ের পাতায় কোনও একটি জায়গায় ক্রমাগত আঘাত লাগতে থাকলে ওই অংশের বহির্ত্বকটি শক্ত হয়ে যায়। সেই শক্ত অংশটিকেই বলে কড়া। চামড়ার অভ্যন্তরীণ কোমলতর অংশে চাপ দিয়ে তখন সেই কড়া ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  
এই ধরনের কড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিলেন নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দা ক্রিস্টিনা জোহানসেন। পেশায় নিউট্রিশনিস্ট ক্রিস্টিনা ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেয়ে দেখেছেন। তাতে খুব ভাল কাজ হয়নি। তিনি তাই খুঁজছিলেন কড়ার সমস্যার কোনও ঘরোয়া সমাধান। এই নিয়ে গবেষণা করতে করতে তিনি পেয়েও গেলেন কড়ার অব্যর্থ ওষুধ।
এক রাত্রে পাউরুটির একটি টুকরো ভিনিগারে ভিজিয়ে তিনি লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে জড়িয়ে দিলেন পায়ের পাতার কড়া আক্রান্ত অংশটিতে। তার পর ঘুমিয়ে পড়লেন স্বাভাবিক ভাবে। পরের দিন সকাল বেলা উঠে দেখেন, একেবারে সেরে গিয়েছে পায়ের পাতার কড়া। সম্প্রতি নিজের আবিষ্কৃত এই সহজ ঘরোয়া টোটকা ক্রিস্টিনা শেয়ার করেছেন নিজের ব্লগে। আটলান্টা ইউনিভার্সিটির হেলথ ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞরা ক্রিস্টিনার ব্লগটি পড়ে বলছেন, কৌশলটি বেশ ভাল। ভিনেগার এবং পাউরুটি একত্রে এমন একটি রাসায়নিকের জন্ম দেয়, যা পায়ের পাতার শক্ত হয়ে যাওয়া চামড়াকে নরম হতে সাহায্য করে। ফলে এক রাত্রেই সেরে যায় পায়ের পাতার কড়া।

Tuesday, November 15, 2016

খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ?


সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার সাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো কিছুই জড়িত নেই। আবার অনেকের ধারনা খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাস ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাসটি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। কেন জানতে চান? চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) গবেষণায় দেখা যায় সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে তা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। কারণ সারাদিনের তুলনায় সকালের খালি পেটে দেহের ব্যাকটেরিয়া কম শক্তিশালী থাকে এবং সহজেই ধ্বংস সম্ভব হয়।
২) হৃদপিণ্ডের সমস্যা, লিভার ও কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুনের জুড়ি নেই। আর সকালের কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস এই কাজগুলো ত্বরান্বিত করে এবং দেহের সার্বিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
৩) পেটের সমস্যায় কাঁচা রসুন সেই প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস পেটের নানা সমস্যা দূর করে নিমেষেই। কাঁচা রসুন পেটের অ্যাসিড উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পেটে নানা সমস্যা নিরাময় করে।
৪) রসুন শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস, হুপিং কাফ, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করতে সহায়তা করে।
যেভাবে খাবেন
সকালে নাস্তা করার আগে দুই কোয়া রসুন কুচি করে কেটে চিবিয়ে খেয়ে নিন। যদি এভাবে খেতে সহ্য না করতে পারেন তাহলে একটু চিবিয়ে পানি দিয়ে গিলে নিন।
সতর্কতা
১) রসুনে অ্যালার্জি থাকলে খাবেন না কাঁচা রসুন। যদি রসুন কাঁচা খাওয়ার পর ত্বকে র‍্যাশ উঠে, দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মাথাব্যথা শুরু হয় তাহলে বুঝবেন আপনার কাঁচা রসুনে অ্যালার্জি রয়েছে।
২) যদি কাঁচা রসুনের গন্ধ কোনো ভাবেই সহ্য না করতে পারেন তাহলে কাঁচা রসুন না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শে ট্যাবলেট সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
৩) যদি আপনি কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে থাকেন, তাহলে রসুন খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।

১০টি কারণে শসা মিশ্রিত পানি পান করবেন প্রতিদিন



স্বাস্থ্যকর ভাবে জীবনযাপন করতে হলে আসলে খুব বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন নেই, দরকার শুধু একটু সচেতনতা। তাই প্রতিদিনের জীবনযাপন প্রণালীতে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেই আমরা তা করতে পারি। যেমন প্রতিদিনের খাবার পানিতে আমরা কিছু শসা মিশিয়ে পান করতে পারি। শসা মিশ্রিত পানি শুধু যে দেহকে ঠাণ্ডা করে তা নয় এর অনেক রোগ নিরাময় যোগ্য উপকারিতা রয়েছে। শসাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি, সি ও কে, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, পলিফেনল ও অন্যান্য জৌগ। প্রতিদিন শসা মিশ্রিত পানি খেলে দেহকে পুষ্টির অভাবজনিত অবস্থা থেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়।
যেভাবে বানাবেন
শসা কুচি ও খাবার পানি একটি বড় পানির জারে নিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তারপর সেই পানি সারাদিন খেতে হবে।
কেন পান করবেন শসা মিশ্রিত পানি
দেহের পেশী ও হাড়ের জন্য উপকারী
শসা হচ্ছে সিলিকার খুব ভাল উৎস যা সংযোগ কলাকে শক্তিশালী করে হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য পরিচিত।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
শসাতে থাকা সিলিকা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পরিস্কার ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। শসার সিলিকন ও সালফার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
শসা মূত্রবর্ধক
দেহে পানি জমে থাকার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শশা দেহের জমে থাকা পানি বের করে দেয়ার ক্ষেত্রে ঔষধের মত কাজ করে।অতিরিক্ত জমে থাকা পানি মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দেয়।
দেহের বিষাক্ততা দূরীকরণে
শসা মিশ্রিত পানি খেলে তা দেহের বিষাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে।
কিডনীর জন্য উপকারী
শশা ইউরিক এসিড এর মাত্রা কমায় যার ফলে কিডনীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
শসাতে থাকে স্টেরল নামক যৌগ যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে
শসায় থাকে lariciresinol, pinoresinol এবং secoisolariciresinol যা বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার এর ঝুকি কমাতে সাহায্য করে
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে
শসায় থাকা ফাইটোক্যামিকেল মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
মস্তিস্ককের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
শসাতে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী fisetin নামক ফ্ল্যাভোনল যা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

তেলাপোকার উপদ্রব কমানোর সহজ উপায়



তেলাপোকাকে নিরীহ ধরণের পোকা মনে হলেও অনেক বেশি ক্ষতিকর। তেলাপোকার মূল আবাসস্থল নোংরা আবর্জনা। কিন্তু এই তেলাপোকাই রাতের বেলা নোংরা আবর্জনা থেকে উঠে আপনার পুরো ঘরময় হেঁটে বেড়ায়। হেঁটে বেড়ায় আপনার খাবার এবং হাড়ি-পাতিলের উপরে যার কারণে এর গায়ে থাকা জীবাণু আমাদের সংস্পর্শে আসে। নানা রোগের উৎপত্তি এই তেলাপোকার কারণেই হয়ে থাকে। তাই ঘর থেকে তেলাপোকা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন তেলাপোকার উপদ্রব একেবারে বন্ধ করার খুব সহজ কিছু উপায়।
১) চিনি ও বেকিং সোডার ব্যবহার
বেকিং সোডা তেলাপোকা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সমপরিমাণ চিনি ও বেকিং সোডা একসাথে মিশিয়ে ঘরের কোণে এবং
তেলাপোকা আসার সম্ভাব্য স্থানে ছড়িয়ে দিন। চিনির ঘ্রাণে তেলাপোকা আকৃষ্ট হয়ে বেকিং সোডা মিশ্রিত চিনি খেয়ে মারা পড়বে তেলাপোকা। আর আপনিও ঘরকে রাখতে পারবেন তেলাপোকা মুক্ত।
২) তেজপাতার ব্যবহার
তেলাপোকা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সস্তা উপায় হচ্ছে তেজপাতা ব্যবহার করা। তেলাপোকা তেজপাতার তীব্র গন্ধ একেবারেই সহ্য
করতে পারে না। তেজপাতা গুঁড়ো করে তেলাপোকা ঘরে আসার সম্ভাব্য সকল স্থানে ছিটিয়ে রাখুন, দেখবেন তেলাপোকার উপদ্রব থেকে
চিরতরে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
৩) বোরিক পাউডারের ব্যবহার
বোরিক পাউডার মূলত একধরণের অ্যাসিডিক উপাদান যা পোকামাকড়ের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। এক টেবিল চামচ বোরিক
পাউডার, এক টেবিল চামচ কোকো পাউডার এবং দুই টেবিল চামচ ময়দা বা আটা একসাথে মিশিয়ে নিন ভালো করে। এই মিশ্রণটিও
একইভাবে সব জায়গায় ছিটিয়ে রাখুন। তেলাপোকা এই মিশ্রণে আকৃষ্ট হয়ে বোরিক পাউডার খেয়ে মারা পড়বে। দুই সপ্তাহ এই পদ্ধতিটি
ব্যবহার করুন একেবারে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
মনে রাখুন জরুরি কিছু বিষয়
– ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখলে তেলাপোকার উপদ্রব এমনিতেই কম হবে। বিশেষ করে রাতে খাওয়ার পর তা ধুয়ে রাখুন। এতে তেলাপোকার
যন্ত্রণা অনেক কমে যাবে।
– প্রতি সপ্তাহেই ঘরের কোনা বা আলমারির ভেতরের খালি বক্স বা বাক্স ধরণের জিনিস পরিষ্কার করুন।
– বাথরুম নিয়মিত ভালো টয়লেট ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার রাখুন এবং কিছুদিন পরপরই গরম পানি ঢালুন। এতে তেলাপোকার যন্ত্রণাও কমে
যাবে।

পুদিনা পাতার উপকারীতা (Pudina Pata)




প্রকৃতি আমাদের চার পাশে কত শত লতাপাতা, তরুবীথি, গাছগাছড়া ছড়িয়ে রেখেছে যেগুলো মানুষের অসুখ-বিসুখে উপকার দেয়।
জেনে নেয়া যাক তেমনি একটি ওষুধি পাতা পুদিনার ভেষজ গুণ। পুদিনাপাতা শহরে নগরের বাজারে সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। পুদিনাপাতার গুণাগুণ সম্বন্ধে সবার তেমন জানা নেই। তাই তারা পুদিনাপাতা খান না।
পুদিনাপাতা পেটের গোলমালের জন্য খুবই উপকারী। যাদের হজমশক্তি কম তারা পুদিনার শরবত ও চাটনি খেলে উপকার পাবেন। পাতলা পায়খানা হলে পুদিনাপাতা বেশ উপকারী। হঠাৎ সানস্ট্রোক করলে পুদিনার শরবত খেলে উপকার পাবেন। পুদিনাপাতার সালাদ খেলে পেটে গ্যাস হয় না। হজম হয়। পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। মায়ের বুকে দুধ বাড়ে। যারা প্রস্রাব সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনাপাতার রস, সামান্য লবণ ও অল্প চিনি দিয়ে শরবত খান প্রস্রাব পরিষ্কার হবে। বাজারে পুদিনার মেন্থল ও পেপারমেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো শ্বাসকষ্ট, খুসখুসে কাশি হলে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত পুদিনা খেলে ফু হয় না। মাইগ্রেন বা আধকপালে মাথা ধরায় পুদিনাপাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথাব্যথা ভালো হয়। যাদের বুক ধড়ফড় করে তারা পুদিনাপাতা খেলে উপকার হবে। পুদিনা সহজলভ্য। বাড়ির ছাদে, বারান্দায় টবেও পুদিনা লাগিয়ে নিয়মিত খাওয়া যায়। এই সহজলভ্য পাতা আমরা দৈনিক খেতে পারি এবং অনেক উপকৃত হতে পারি।
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।
এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুদিনার ভেষজগুণ
পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :
১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

পুদিনা পাতার উপকারীতা (Pudina Pata)




প্রকৃতি আমাদের চার পাশে কত শত লতাপাতা, তরুবীথি, গাছগাছড়া ছড়িয়ে রেখেছে যেগুলো মানুষের অসুখ-বিসুখে উপকার দেয়।
জেনে নেয়া যাক তেমনি একটি ওষুধি পাতা পুদিনার ভেষজ গুণ। পুদিনাপাতা শহরে নগরের বাজারে সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। পুদিনাপাতার গুণাগুণ সম্বন্ধে সবার তেমন জানা নেই। তাই তারা পুদিনাপাতা খান না।
পুদিনাপাতা পেটের গোলমালের জন্য খুবই উপকারী। যাদের হজমশক্তি কম তারা পুদিনার শরবত ও চাটনি খেলে উপকার পাবেন। পাতলা পায়খানা হলে পুদিনাপাতা বেশ উপকারী। হঠাৎ সানস্ট্রোক করলে পুদিনার শরবত খেলে উপকার পাবেন। পুদিনাপাতার সালাদ খেলে পেটে গ্যাস হয় না। হজম হয়। পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। মায়ের বুকে দুধ বাড়ে। যারা প্রস্রাব সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনাপাতার রস, সামান্য লবণ ও অল্প চিনি দিয়ে শরবত খান প্রস্রাব পরিষ্কার হবে। বাজারে পুদিনার মেন্থল ও পেপারমেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো শ্বাসকষ্ট, খুসখুসে কাশি হলে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত পুদিনা খেলে ফু হয় না। মাইগ্রেন বা আধকপালে মাথা ধরায় পুদিনাপাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথাব্যথা ভালো হয়। যাদের বুক ধড়ফড় করে তারা পুদিনাপাতা খেলে উপকার হবে। পুদিনা সহজলভ্য। বাড়ির ছাদে, বারান্দায় টবেও পুদিনা লাগিয়ে নিয়মিত খাওয়া যায়। এই সহজলভ্য পাতা আমরা দৈনিক খেতে পারি এবং অনেক উপকৃত হতে পারি।
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।
এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুদিনার ভেষজগুণ
পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :
১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

পুদিনা পাতার উপকারীতা (Pudina Pata)




প্রকৃতি আমাদের চার পাশে কত শত লতাপাতা, তরুবীথি, গাছগাছড়া ছড়িয়ে রেখেছে যেগুলো মানুষের অসুখ-বিসুখে উপকার দেয়।
জেনে নেয়া যাক তেমনি একটি ওষুধি পাতা পুদিনার ভেষজ গুণ। পুদিনাপাতা শহরে নগরের বাজারে সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। পুদিনাপাতার গুণাগুণ সম্বন্ধে সবার তেমন জানা নেই। তাই তারা পুদিনাপাতা খান না।
পুদিনাপাতা পেটের গোলমালের জন্য খুবই উপকারী। যাদের হজমশক্তি কম তারা পুদিনার শরবত ও চাটনি খেলে উপকার পাবেন। পাতলা পায়খানা হলে পুদিনাপাতা বেশ উপকারী। হঠাৎ সানস্ট্রোক করলে পুদিনার শরবত খেলে উপকার পাবেন। পুদিনাপাতার সালাদ খেলে পেটে গ্যাস হয় না। হজম হয়। পুদিনা মেয়েদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। মায়ের বুকে দুধ বাড়ে। যারা প্রস্রাব সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনাপাতার রস, সামান্য লবণ ও অল্প চিনি দিয়ে শরবত খান প্রস্রাব পরিষ্কার হবে। বাজারে পুদিনার মেন্থল ও পেপারমেন্ট পাওয়া যায়। এগুলো শ্বাসকষ্ট, খুসখুসে কাশি হলে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত পুদিনা খেলে ফু হয় না। মাইগ্রেন বা আধকপালে মাথা ধরায় পুদিনাপাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথাব্যথা ভালো হয়। যাদের বুক ধড়ফড় করে তারা পুদিনাপাতা খেলে উপকার হবে। পুদিনা সহজলভ্য। বাড়ির ছাদে, বারান্দায় টবেও পুদিনা লাগিয়ে নিয়মিত খাওয়া যায়। এই সহজলভ্য পাতা আমরা দৈনিক খেতে পারি এবং অনেক উপকৃত হতে পারি।
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
পেটের পীড়ায় : এটি ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও পুদিনা কোলনের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যাজমা : পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।
এন্টিক্যান্সার : পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুদিনার ভেষজগুণ
পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো :
১. পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
৪. পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা খুব উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।

Wednesday, November 9, 2016

বিয়ের পর স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে স্বামীকে যে দোয়াটি পড়তে হয়

বিয়ের পর স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে স্বামীকে যে দোয়াটি পড়তে হয়

বিয়ের পর স্বামীর জন্য করণীয় হলো- বাসরের সময় বা তার আগে স্বামী তার উভয় হাত স্ত্রীর মাথার সামনের দিকে (কপালে) রাখবে অতঃপর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে উভয়ের জন্য বরকতের দোয়া করবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা বর্ণনা করেছেন

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ


 
যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে আর সে যেন বলে-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি আর তার অমঙ্গল যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নববিবাহিত স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের মাথায় হাত রেখে দোয়ার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি মঙ্গল কামনায় দোয়া করে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন আমিন

Sunday, October 30, 2016

পেয়ারা তো খান, কিন্তু এর পাতার উপকারিতা কী জানেন?

পেয়ারা তো খান, কিন্তু এর পাতার উপকারিতা কী জানেন?

পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন, কিন্তু পেয়ারা পাতার উপকারিতা কী তা জানলে সত্যি অবাক হতে হয়। শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই নানারকম সমস্যা প্রতিরোধে পেয়ারা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক পেয়ারা পাতার উপকারিতা কী কী—
• ওজন কমাতে পেয়ারা পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের মধ্যেকার কমপ্লেক্স স্টার্চকে সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে।
• গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারা পাতা রক্তে আলফা গ্লুকোডাইজ এনজাইম অ্যাক্টিভিটির পরিমাণ কমিয়ে রক্তে শর্করার
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
• গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন চায়ের সঙ্গে পেয়ারার পাতা ফুটিয়ে তা পান করলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
• শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে সেখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় পেয়ারা পাতা।
• ডায়েরিয়া থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা পাতার গুণাগুণ অনস্বীকার্য। পেয়ারা পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল পান করলে ডায়েরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• আটটি পেয়ারা পাতা দেড় লিটার জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিনে তিনবার করে পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
• পেয়ারা পাতা দাঁত ভাল রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। দাঁত ব্যাথা, মাড়ির সমস্যায় অ্যন্টিব্যাকটেরিয়াল-এর ভূমিকা পালন করে।
• প্রস্টেট ক্যান্সারে পেয়ার পাতা বিশেষ উপকারি।
• পুরুষের শরীরে শুক্রাণু বৃদ্ধিতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার।
• পেয়ারা পাতা হল একটি অত্যন্ত ভাল স্কিন কেয়ার এজেন্ট। ত্বকের যাবতীয় সমস্যা যেমন— অ্যাকনে, পিম্পল, ব্ল্যাকহেডস প্রভৃতি রোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

Wednesday, October 19, 2016

বালিশের নিচে ১ কোয়া রসুনেই বাজিমাত



রসুনের জুড়ি মেলা ভার। প্রাচীনকাল থেকে রসুনের উপকারিতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী চর্চা চলছেই। চিকিৎসা শাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার বহু দিনের। নিয়মিত রসুন খাওয়া রপ্ত করতে পারলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। খাওয়াতো তো বটেই, এমনকী বিছানায় বালিশের নিচেও যদি এক কোয়া রসুন রেখে শোয়া যায়, তাতেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
গবেষকদের মতে, শুধু খেয়েই নয়, রসুনের সংস্পর্শে থাকলেই সে তার কাজ করে চলবে। বালিশের নিচে এক কোয়া কাঁচা রসুন রেখে ঘুমালে জাদুর মতো কাজ করবে। এতে আপনার ঘুম ভালো হবে। সব হতাশা দূর হয়ে যাবে। মন হয়ে উঠবে উত্‍‌ফুল্ল। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সঙ্গী করতে পারেন রসুনকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া যায়, তবে তা হবে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, লিভার, পিত্তথলি ও পাকস্থলীকে সুস্থ সবল রাখতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে রসুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তারা রসুন এড়িয়ে চলবেন।

Monday, October 3, 2016

খালি পেটে যে খাবারগুলি কখনওই খাবেন না

খালিপেটে সব ধরনেক খাবার খাওয়া উচিত নয় কিন্তু কী খাবেন, আর কী খাবেন না, জানেন কি? এমনও কিছু খাবার এই তালিকায় রয়েছে, যেগুলি এমনিতে শরীরের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী হলেও খালি পেটে খাওয়া ক্ষতিকারক



. কলা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগান দেওয়ার জন্য কলার জুড়ি মেলা ভার কলার অনেক পুষ্টিগুনও রয়েছে কিন্তু খালি পেটে কখনও কলা খাবেন না খালি পেটে কলা খেলে শরীরে ম্যাগেনসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে রক্তে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রায় অস্বাভাবিক তারতম্য ঘটে, যার ফলে শারীরীক সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে
. দুধ এবং সোয়াবিন মিল্ক দুধ হোক অথবা সোয়াবিন মিল্ক এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে কিন্তু খালি পেটে খেলে দুধে থাকা প্রোটিন শরীর  পুরোমাত্রায় গ্রহণ করতে পারেনা ফলে, খালি পেটে দুধ খেলে সবসময়ে পাউরুটি, বিস্কুটের সঙ্গে খান 
. চা এবং কফি- সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে এক কাপ চা অথবা কফি না খেলেই নয় কিন্তু কখনওই খালি পেটে এই চা-কফি খাবেন না কারণ, চা-এর মধ্যে অ্যাসিডের উপস্থিতি যথেষ্ট বেশি পরিমাণে থাকে আর কফিতে থাকে ক্যাফেইন খালি পেটে খেলে এই অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি করে দেয় ফলে আর কিছু না হোক, খালি পেটে চা অথবা কফি খাওয়ার আগে অন্তত এক গ্লাস জল খেয়ে নেবেন
. মশলাদার খাবার- হয়তো আপনি জানেন কিন্তু তাও আপনাকে আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি খালি পেটে মশলাদার খাবার, ‘নৈব নৈব কারণ, এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে খালি পেটে মশলাদার খাবার খেলে পাকস্থলীর স্বাভাবিক অ্যাসিডগুলির উপর প্রভাব পড়ে এমনকী পাকস্থলীতে অ্যাসিডিক প্রতিক্রিয়াও হতে পারে যাঁর জেরে পেটে টান ধরা বা ব্যথা হতে পারে
. টম্যাটো- খেতে যতই ভালো লাগুক না কেন, খালি পেটে টম্যাটো কিন্তু যথেষ্ট ক্ষতিকারক খালি পেটে খেলে টম্যাটোয় থাকা অ্যাসিডের সঙ্গে গ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যাসিড মিশে গিয়ে এক ধরনের জেল তৈরি হয়, যা থেকে পাকস্থলীতে পাথর পর্যন্ত জমতে পারে

. সোডা বা কোল্ড-ড্রিংক - সোডা বা কোল্ড-ড্রিংকে যে চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার থাকে , খালি পেটে খেলে সেগুলি শরীরের পক্ষে যথেষ্টই ক্ষতিকারক হতে পারে কারণ, এই আর্টিফিশিয়াল সুইটনারের মধ্যে বিভিন্ন কার্বোনেটেড অ্যাসিডস থাকে, যেগুলি পাকস্থলীর অ্যাসিডের সঙ্গে মিশে গিয়ে পেট গোলানো অথবা বমি, বমি ভাব এবং বুক-জ্বালাও শুরু হতে পারে