Wednesday, July 29, 2015

বিয়ের আগে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জেনে নিন! কিন্তু কেন?


অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাকেই দেখা যায় পরস্পরের ব্লাড গ্রুপ নিয়ে চিন্তিত হতে বেশিরবাগ মানুষেরই ধারণা বর কনের ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে হতে পারে নানান রকম সমস্যা? আসলেই কি তাই? না, ধারণাটি একদম ভুল ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা নেই তবে বিয়ের আগে বর কনের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় কেন এটা এত জরুরী? আসুন, জেনে বুঝে নেই সেই বিষয়টি

জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্যঃ
 স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে

ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ
A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve. জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে? কেন টেস্ট করাবেনযখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবারে সাধারণত কোন সমস্যা হবে না কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে ফলে রোগী যদি আবার কখনও পজেটিভ ব্লাড শরীরের নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এবং মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম বলা হয় ABO incompatibility

তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকারযদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ blood group নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন হতে হবে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না অর্থাৎ একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী কেবলই একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই নিরাপদ
যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?
রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না তবে ভিন্ন ব্লাড গ্রুপে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয়, তাহলে সন্তান জন্মের সময়েলিথাল জিনবামারন জিননামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়

যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপও পজেটিভ হবে যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুন), তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরী করবে এবং সমস্যা হবে দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে

যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয় তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সাথে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙে যাবে একে মেডিকেল টার্ম “Rh incompatibility” বলে অর্থাৎ শিশুটি মারা যাবে অর্থাৎ পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষ নেগেটিভ গ্রুপের মহিলাকে বিয়ে করলে তাঁদের একটিই সন্তান থাকার সম্ভাবনা বেশি কোন কারণে প্রথম সন্তানটি জন্ম না নিলে পরবর্তীতে তারা নিঃসন্তান থেকে যাবার সম্ভাবনাও অত্যন্ত বেশি

Monday, July 27, 2015

মশা তাড়ানোর ২টি প্রাকৃতিক উপায়


যদিও এখন বর্ষকাল তবু গরম কিন্তু খুব একটা কমেনি। তার উপর বেড়েছে মশার উপদ্রব। একদিকে গরম, চারিদেকে বর্ষার কারণে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অন্যদিকে মশার উপদ্রব, সবমিলিয়ে আপনার জীবনকে হয়তো অতিষ্ট করে তুলছে এই মশা। তবে মশা তাড়াবার আছে প্রাকৃতিক উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন ২টি প্রাকৃতিক উপায়-

১। কর্পূরের ব্যবহার
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যেকোনো ফার্মেসীতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুদিন পর পানি পরিবর্তন করুন। আগের পানিটুকু ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

২। লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার
একটি গোটা লেবু খণ্ড করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকে এমনভাবে লবঙ্গ গেঁথে দিন। এরপর লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না। 

Thursday, July 16, 2015

যেভাবে আবিষ্কার



নেহাতই দুর্ঘটনাবশত বা মজাচ্ছলে এগুলোর জন্ম, যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি।  আলুর চিপস থেকে দেশলাইকাঠি, পেনিসিলিন থেকে মাইক্রোওভেন এমনই কিছু আবিষ্কারের দিকে চোখ রাখুন একনজর, যা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।

১. দেশলাইকাঠি

ব্রিটিশ ফার্মাসিস্ট জন ওয়াকার তার ল্যাবে রাসায়নিক মিশ্রণ ঘঁটিয়ে সেই কাঠিটা রেখে দিয়েছিলেন।  ক’দিন পর কাঠির মাথায় জমে থাকা সেই শুকনো মিশ্রণটিকে ছাড়াতে গেলে তাতে আগুন জ্বলে যায়।  তা থেকেই মাথায় খেলে যায় দেশলাইকাঠির ভাবনা।

২. আলুর চিপস

অদ্ভুতভাবেই জন্ম আলুর চিপসের।  রেস্তোরাঁয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার দিতে গিয়ে এক গ্রাহক আব্দার করেন, তিনি এটা চান একদম পাতলা আর মুচমুচ।  শেফ জর্জ ক্রুম, আলুকে পিস পিস করে কেটে মজা করেই বানিয়ে দিয়েছিলেন সেই অর্ডারি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।  মুখে দিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন সেই গ্রাহক।  জন্ম নেয় আলুর চিপস।

৩. মাইক্রোওয়েভ ওভেন

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের আবিষ্কারও দুর্ঘটনাবশতই। পার্সি স্পেন্সার র‌্যাডারের ভ্যাকুয়ম টিউব নিয়ে কাজ করছিলেন।  কাজ করতে গিয়ে দেখলেন, তার পকেটে রাখা চকোলেট হিট পেয়ে গলে যাচ্ছে। সেখান থেকেই তাঁর মাথায় খেলে যায় মাইক্রোওয়েভ ওভেন।

৪. কর্নফ্লেক্স
জন ও উইল কেলগ অদ্ভুত ভাবেই এর আবিষ্কার করে বসেন। সেদ্ধ করা ভুট্টাদানা স্টোভের ওপর কদিন ফেলে রেখেছিলেন। তা থেকেই আবিষ্কার কর্নফ্লেক্সের।

৫. পেনিসিলিন

স্যার আলেক্সজান্ডার ফ্লেমিং তখন মেডিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট বন্ধই করে দিয়েছিলেন।  তার মধ্যেই একদিন খেয়াল করেন, পুরনো ডিশের মধ্যে সাদা ছাতার মতো কিছু পড়েছে।  যেগুলো চারপাশের ব্যাকটেরিয়াকে ভেঙে দিচ্ছে। এবং, এ-ও দেখলেন, আপনা থেকেই সেগুলো বাড়ছে। তা থেকেই অ্যান্টিবায়োটির পেনিসিলিন আবিষ্কার করে ফেলেন।

৬. নন স্টিক প্যান

রসায়নবিদ রয় প্লাংকেট CFC-র নতুন ফর্ম নিয়ে কাজ করছিলেন। সেই গবেষণা চালাতে গিয়েই, রহস্যজনক সাদা বস্তু তৈরি হয়। সেই পিচ্ছিল উচ্চ গলনাঙ্কের পদার্থ থেকেই জন্ম নন স্টিক প্যানের।

৭. এলএসডি

অ্যালবার্ট হফম্যান ছত্রাক আক্রান্ত কিছু উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আবিষ্কার করে ফেলেন এলএসিড।

৮. প্লে ডাউ

প্রথম যখন প্লে ডাউ মার্কেটে আসে, তি ছিল ওয়াল ক্লিনার।  কিন্তু কাজে দেয়নি। এর মধ্যেই দেখা যায়, বাচ্চারা সেই ডাউ নিয়ে খেলছে। পুতুল থেকে শুরু করে নানা ভাস্কর্য, অনায়াসে গড়াপেটা যায়। সেই থেকেই দেওয়াল পরিষ্কারের জন্য তৈরি ক্লিনার বাচ্চাদের খেলনার সামগ্রী হয়ে ওঠে।

৯. সফটি গ্লাস

হ্যাঁ, এখন আপনার গাড়িতে যে কাচ ব্যবহার করছেন, সেই কাচটির কথাই বলা হচ্ছে। ভাঙে, তবু ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে যায় না। চিড় ধরে শুধু। কেমিস্ট এডওয়ার্ড বেনেডিক্টস অদ্ভুত ভাবেই এই কাচটি আবিষ্কার করেন। গবেষণাগারে কাজ করার সময় একদিন অসাবধানে তার হাত থেকে পড়ে যায় কাচের একটি ফ্লাস্ক।

দেখলেন, কাচটি টুকরো টুকরো না হয়ে, চিড় পড়েছে শুধু। সেই ফ্লাস্কের মধ্যে রাখা প্লাসটিক সেলুলোজ নাইট্রেট থাকার কারণেই এটা হয়েছে। দেরি না-করে পেটেন্ট নিয়ে নেন। তৈরি হয় সফটি বা নরম কাচ। শুধু গাড়িতেই নয়, গ্যাস মাস্কেও এই কাচ লাগানো হচ্ছে। 

Wednesday, July 15, 2015

চুল ঘন ও কালো করার ৫টি সহজ উপায়



রেশমী ঘন-কালো চুল কে না চায়। তবে ইদানিং বাংলাদেশের অনেক ব্যক্তিই অসময়ে চুল পড়া ও চুলা পাকা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। চুল যদিও ঘন এবং লম্বা হওয়া ন্যাচারাল একটি ব্যাপার। তবে আমাদের বিশেষ যত্ন আর পরিচর্যায়ে কিছু উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এর জন্য নিচের পাঁচটি কাজ করুন-

১. চুলের ম্যাসেজটা অনেক বেশি দরকারী। প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে চুল ম্যাসেজ করলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞাচালন স্বাভাবিক হয়। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়।

২. ১ দিন পরপর শ্যাম্পু করা অবশ্যই জরুরি। এতে ময়লা জমে চুলের গোড়া নরম করে না।

৩. কিছু উপকরণের তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, কলা, মেহেদি পাতা, মেথি, আমলকী ইত্যাদির তৈরি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো চুল মজবুত করে এবং চুল ঘন ও লম্বা করতে সহায়তা করে।

৪. কিছু প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসেজ করুন প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন। যেমন সরিষার তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল, জবা ফুলের তেল ইত্যাদি। এছাড়া মধু ও লেবু চুলের জন্য বেশ পুষ্টিকর। এগুলোও তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. বাইরের কসমেটিকসের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের ব্যবহার করতে পারেন। কেননা বাইরের কসমেটিকসে বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল থাকে যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান চুলের জন্য পুষ্টিকর।

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে ভয়ংকর এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়



মানবদেহে রক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ এই রক্তের উপাদানগুলোর মধ্যে লোহিত রক্ত কনিকা বা RBC (Red blood cell) এর ভিতরে রয়েছে হিমোগ্লোবিন নামক এই প্রোটিন যার গুরুত্ব অপরিসীম ৷ এটি ফুসফুস হতে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বয়ে নিয়ে যায়৷ স্বাভাবিকভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ পুরুষের জন্য ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ এবং মহিলাদের জন্য ১২ থেকে ১৫ mg/dl৷ কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মহিলাদের ১০ বা তার বেশি হলেই আমরা তা স্বাভাবিক বলে ধরে নিই৷ কিন্তু যখনি তা ১০ এর কমে নামতে থাকে তা আমাদের জন্য ভাবনার কারণ৷

রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা হল :

১। যদি খুব কম পরিমাণ কমে তাহলে তেমন একটা পরিবর্তন দেখা যায় না, শুধু ঝিমঝিম ভাব থাকবে আর মাথা ঘুরাবে৷
২। মাঝামাঝি পর্যায়ের কমলে আলসে ভাব হবে সব সময়, মাথাব্যথা করবে ঘনঘন, মনোযোগ কমে যাবে, দুর্বল লাগবে৷
৩। যদি খুব বেশি পরিমাণ কমে যায় তাহলে দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, নাড়ি স্পন্দন বেড়ে যাবে, হৃদকম্পনও বেড়ে যাবে এবং সাথে বুকে ব্যথা ও বুক ধড়ফড় করবে৷

এছাড়া শরীর দেখেও বোঝা যায় যে হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে কিনা৷ এসময় হাতের তালু, নখ, মাড়ি এবং শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাবে৷ হাত পা ফুলে যাবে৷ অনেক ঘাম দিবে, বুক জ্বালাপোড়া করবে, বমি, পায়খানা দিয়ে রক্ত পড়বে৷

এ সমস্ত লক্ষণ যদি আপনার এবং আপনার পরিবার পরিচিত কারো দেখা দেয় তাহলে অতি দ্রুত আপনার নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্র বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন৷ সময়মত চিকিৎসা করালে রোগের ভয়াবহতা কমে যায়৷ ধন্যবাদ 

লিখেছেন :
ডাঃ শুভ বড়ুয়া
এমবিবিএস, আল্ট্রাসনোলজিস্ট
ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ 

- See more at: http://bangla.mtnews24.com/post.php?id=55471&page=8#sthash.YRrV773o.dpuf

Monday, July 13, 2015

টুথপেস্টে সমাধান হবে দৈনন্দিন ৭ সমস্যা




আমরা প্রায় সবাই টুথপেস্ট দিয়ে শুধু দাঁতই পরিষ্কার করি। কিন্ত আপনি জানেন কি এই টুথপেস্টের মাধ্যেমেই সমাধান হতে পারে আপনার দৈনন্দিন জীবনের অনন্ত ৭ সমস্যা? ভাবছেন টুথপেস্ট দিয়ে আবার কিভাবে সম্ভব? তাহলে জেনে নিন টুথপেস্টের দারুণ কিছু ব্যবহার যা দূর করবে দৈনন্দিন কিছু সমস্যা।

১) হাতের দুর্গন্ধ দূর করতে
পেঁয়াজ, রসুন কিংবা মাছ কাটার পর হাত দুর্গন্ধ হয়ে যায়। ভালো করে সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ যায় না। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হাতে টুথপেস্ট মাখিয়ে নিন ভালো করে। এবং সাবানের মতোই ব্যবহার করে হাত ধুয়ে নিন। দেখবেন ম্যাজিকের মতো হাতের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

২) কাঠের আসবাব থেকে পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তুলতে
পার্মানেন্ট মার্কারের দাগ তোলার মতো কঠিন কিছুই নেই। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত দাগ লেগে গেলে তা তোলা অনেক ঝামেলার। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে টুথপেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘষে নিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা কাপড দিয়ে ঘষে তুলে নিন এবং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।

৩) কাপড়ের দাগ তুলতে
অনেক সময় কাপড়ের দাগ জেদি হয়ে বসে যায় যা কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে তোলা যায় না। এই সমস্যার সমাধানও করতে পারে টুথপেস্ট। দাগের উপরে পুরু করে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ভেজা একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে নিন। এরপর কাপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন দাগ গায়েব।

৪) সাদা জুতো চকচকে করতে
অনেকেই শখ করে সাদা জুতো পরেন, আবার অনেকের পছন্দ সাদা লাইনিং দেয়া স্নিকার্স। কিন্তু সমস্যা অচ্ছে সাদা জুতো বা স্নিকার্সের লাইনিং কিছুদিনের মধ্যেই ময়লায় কালচে হয়ে যায়। এক কাজ করুন। একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে টুথপেস্ট ঘষে নিন সাদা অংশে। ব্যস, একেবারেই নতুনের মতো সাদা হয়ে যাবে।

৫) ইস্ত্রি পরিষ্কার করতে
দীর্ঘদিনের ব্যবহার এবং কাপর পুড়ে গেলে ইস্ত্রি নোংরা হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে টুথপেস্ট। পুরো ইস্ত্রিতে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিয়ে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষে নিন। চকচকে পরিষ্কার হয়ে যাবে ইস্ত্রি।

৬) নখের হলদেটে ভাব ও ময়লা দূরকরতে
নখ হলদেটে হয় থাকলে এবং ময়লা দেখালে একটু বিশ্রীই লাগে। কিন্তু নখের এই হলদেটে ভাবও নিমেষে দূর করে দিতে পারে টুথপেস্ট। নখে টুথপেস্ট লাগিয়ে একটি ব্যবহৃত টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে নখ পরিষ্কার করে নিন। দারুন ফল পাবেন।

৭) পুরনো সিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে
পুরনো সিডিতে স্ক্র্যাচ পড়া থাকলে সিডি চালানো সম্ভব হয় না। এই সমস্যার সমাধান করতে টুথপেস্ট ঘষে নিন সিডিতে স্ক্র্যাচ অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। এমনকি মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের ছোট স্ক্র্যাচ, বাথরুমের কাচ ও গ্লাস, সানগ্লাসের দাগও দূর করতে পারেন একই পদ্ধতিতে।

‘পারফেক্ট পিৎজা’ চান? জেনে নিন কিছু অব্যর্থ কৌশল!


আপনি কি পিৎজাপ্রেমী? বাইরের কেনা পিৎজা খেতে খেতে ক্লান্ত? কিংবা স্বাস্থ্যের ওপর দোকানের পিৎজার প্রভাব নিয়ে চিন্তিত? নাকি হাজার খুঁজেও দোকান থেকে কেনা পিৎজাতে খুঁজে পাচ্ছেন না সেই স্বাদ, ঠিক যেমনটা আপনি চান? এক্ষেত্রে সমাধান একটাই- স্বাদ ও স্বাস্থ্যের সমন্বয় করে ঘরেই তৈরি করতে হবে পিৎজা, যেটায় খরচও পড়বে অনেকটাই কম। কিন্তু ঘরে তৈরি করতে গেলেও মনমতো যদি পিৎজা তৈরি করতে না পারেন? তখন কী করবেন? সেক্ষেত্রে একদম নিখুঁত পিৎজা তৈরির কিছু প্রমাণিত কৌশল জেনে নিন এখনই!

খামির তৈরি
ঘরে বসে পিৎজা তৈরির কাজটি সারতে সময় লাগে বেশি হলে মাত্র ১৫ মিনিট। কিন্তু এই ১৫ মিনিটের কাজের আগে প্রস্তুতি নিতে হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। তাই পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে আপনাকে। যদি রাতে পিৎজা খেতে চান, তাহলে পিৎজার খামির তৈরির কাজটি সেরে ফেলুন সকালেই। তৈরি করা খামিরটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন আট থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে। এরপর ফুলে ওঠা তুলতুলে খামিরটিকে পিৎজার আকৃতি দিন হাত দিয়ে। বেলন দিয়ে না বেলে খামিরটি হাত দিয়ে টেনে, চেপে বৃত্তাকার রুটির মতো করে নিন। ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি ব্যসের একটি থালার আকৃতি দিয়ে কোণাগুলো একটু ওপরের দিকে তুলে দিন। চেষ্টা করুন রুটিটি যতোটা সম্ভব পাতলা করার। যতো পাতলা হবে, ততোই মুচমুচেও হবে।

সস ছড়ানো
পাতলা ও পরিষ্কার একটি কাগজের ওপর রুটিটি রেখে একদম মাঝখানে খড়ের গাদার মতো উঁচু করে একটুকু জায়গা জুড়ে সস ঢালুন। যতোটুকু প্রয়োজন, তার চাইতে খানিকটা কম সস দিন, নইলে পিৎজাটি ভেজাভেজা হয়ে থাকবে। এবার চামচ দিয়ে পুরো রুটিটিতে সমান পুরু করে সসটুকু ছড়িয়ে দিন। পাতলা সসের পরিবর্তে পেস্টজাতীয় কিছু ব্যবহার করলে রুটির চতুর্দিকে ফোঁটা ফোঁটা করে দিয়ে তারপর চামচ ব্যবহার করে সমান করে ছড়িয়ে দিন পুরো রুটিতে।

টপিং লেয়ার
টপিং লেয়ারটি যখন দেবেন, কাজটি শুরু করুন পালং শাকের মতো সূক্ষ্ম সবুজ পাতাবহুল সবজিগুলো দিয়ে। এরপর সবুজ পাতার স্তরের ওপর প্রথমেই পনির ছড়িয়ে দিন, তবে অল্প করে- যেন পনিরের পর ব্যবহৃত টপিংয়ের অন্য উপাদানগুলোও সহজেই দেখা যায়। এরপর যোগ করুন মৌসুমি সবজি বা তাজা ঔষদি জাতীয় কিছু কিংবা মাংস, টোফু (সয়া দুধ জমিয়ে তৈরি করা ঘন দই জাতীয় খাবার) বা অন্য কোনো পনিরের যেকোনোটি। এই খাবারগুলো যেন ঠিকমতো সিদ্ধ হয় ও স্বাদ আসে, তা নিশ্চিত করতে তাজা সবজিগুলোর ওপর পরিমাণমতো জলপাইয়ের তেল ছড়িয়ে ঢালুন। টপিংয়ে চাইলে আপনি প্রতিদিনের খাবারের জন্য রান্না করার সবজির বেঁচে যাওয়া অংশটুকুও ব্যবহার করতে পারেন, যেমন- রান্না করা সবুজ শাক, সবজি বা মাংস। তবে সেক্ষেত্রে পিৎজা ওভেনে বেক করতে দেয়ার পর টপিং যেন শুকনো শুকনো হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে পনির দিতে হবে একটু বেশি করে। 

আরো কিছু সাধারণ কৌশল:
 ১. পিৎজা তৈরির জন্য রুটিটিকে একটি খালি থালা মনে করে তা টপিং হিসেবে মৌসুমি ও সহজলভ্য স্বাদু উপকরণ ব্যবহার করে ভরিয়ে তুলুন।
২. সুঘ্রাণের জন্য নানা ধরনের পনির ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
৩. টপিংয়ে পরিবর্তন আনুন। বুদ্ধি খাটিয়ে তাতে আঙুর বা আনারসের মতো ফল ব্যবহার করতে পারেন পরীক্ষামূলকভাবে। তবে একবারেই বেশি করে ঢেলে দেবেন না, এতে অন্য সব উপকরণের স্বাদ-ঘ্রাণ হারিয়ে যাবে।
৪. টপিংয়ে মনে করে অবশ্যই আমিষ জাতীয় কিছু রাখবেন।
৫. পিৎজায় তাজা শাকপাতা জাতীয় উপকরণ খুব ভালো কাজ করে। তাই পালং শাক, তুলসি, পুদিনা, ধনে ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
৬. ওভেন থেকে তৈরি হয়ে যাওয়া পিৎজাটি বের করে নেয়ার সাথে সাথেই তাতে খানিকটা জলপাই তেল ব্রাশ করে দিন। এতে পিৎজাটি সহজে শুকিয়ে যাবে না এবং সুঘ্রাণও থাকবে ভরপুর। তাহলে? এবার নিজের পছন্দমতো পিৎজা তৈরি করুন একদম ঠিক যেভাবে আপনি চান!