Showing posts with label Interesting & Incredible. Show all posts
Showing posts with label Interesting & Incredible. Show all posts

Thursday, December 29, 2016

ফোন সাইলেন্ট মোডে হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে



এমনটা যে কোন সময়েই হতে পারে যে, কোন কারণে আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট অবস্থায় রেখেছেন, সেই সময়েই হঠাৎ দেখলেন মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোন ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা 

মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন মোবাইলটি কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না তা হলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-

. প্রথমে অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান 

. সেখানে সার্চ বারে লিখুনফাইন্ড মাই ফোন 

. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন 

. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল- 

. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজ ম্যানেজারটিঅনকরে দিতে পারবেন 

. বাররিংঅপশনটিকে সিলেক্ট করুন 

. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোন ব্যাপারই নয় 


এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব- খুঁজে পেতে পারেন তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না

Monday, December 5, 2016

খাদ্য সম্পর্কিত ১০টি কৌতূহলোদ্দীপক কুসংস্কার



কুসংস্কার হলো এমন সব বিশ্বাস যেগুলো প্রায়ই একটি জাতির সাংস্কৃতিক পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে। তবে এসবের মধ্যে ধর্মীয় দ্যোতনা হয়তো নাও থাকতে পারে।

বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মতো অসংখ্য ধর্ম ও ঐতিহ্যপ্রবণ সমাজে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অসংখ্য বিশ্বাস এবং কুসংস্কার যুগযুগ ধরে প্রচলিত থাকাটাই স্বাভাবিক। এখানে এমন কয়েকটি খাদ্য কুসংস্কার তুলে ধরা হলো।

১. দুধ
সন্ধ্যার পর কেউ দুধ ধার নিতে আসলে তাকে সাধারণত ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ কিছু চাষী এবং পশুপালনকারী জনগোষ্ঠীতে এই বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, এতে গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুধ পান এবং গ্লাস থেকে দুধ পড়ে যাওয়াকে একটি বাজে লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২. মাছ
প্রায় পুরো পুর্ব ভারতীয় জনগোষ্ঠী বিশ্বাস করেন, কোনো প্রকল্প বা যাত্রা শুরু করার সময় মাছের দিকে তাকানো একটি শুভ লক্ষণ।

৩. দই এবং চিনি
যারা ভ্রমণে যাচ্ছেন, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন বা যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অবর্তীর্ণ হচ্ছেন অথবা ইন্টারভিউর পরীক্ষায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা যদি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দই এবং চিনির স্বাদ গ্রহণ করেন তাহলে তারা সৌভাগ্য বয়ে আনেন।

৪. লেবু
লেবু এবং আদা একসঙ্গে বেঁধে রাখলে অশুভ এবং কুদৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সাধারণত ঘর এবং কর্মস্থলের দরজায় লেবু ও আদা একসঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এক গ্লাস পানিতে একটি আস্ত লেবু ভিজিয়ে রাখা হলে তা কর্মস্থলের নেতিবাচক শক্তিগুলো শুষে নেয়।

৫. লবন
লবন পড়ে যাওয়াকে একটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং বিশ্বাস করা হয় এটি দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। লবন ছুঁড়ে মারার আগে পানিতে মিশিয়ে গলিয়ে ফেলতে হবে। ঘরের কোনে ছোট বাটিতে লবন রাখলে তা নেতিবাচকতা শুষে নেয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।

৬. তেল এবং কাসুন্দি
ভ্রমণে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার সময় সঙ্গে তেল এবং কাসুন্দি রাখলে তা মঙ্গলজনক হয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।

৭. ঘি
হিন্দুত্ববাদে ঘিকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ঘি দিয়ে জ্বালানো বাতি নেতিবাচক শক্তিগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখে বলেও বিশ্বাস করা হয়।

৮. পবিত্র পুদিনা
পবিত্র পুদিনাকে একটি বিশোধক খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই ঈশ্বরের প্রতি কোনো কিছু উৎসর্গ করা হলে তা আগে এই পাতা দিয়ে পবিত্র করা হয়। এছাড়া সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্র গ্রহণের সময় পুদিনা পাতা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

৯. মরিচ
কারো ওপর অশুভ বা শয়তানের দৃষ্টি পড়লে তা দূর করতে মরিচ ব্যবহৃত হয়। আমাদের অনেকেই হয়তো এটা নাও বিশ্বাস করতে পারেন। কিন্তু বেশ কিছু সম্প্রদায় এবং ধর্মে এই বিশ্বাসটি মেনে চলা হয়।

১০. হলুদ
হলুদও নেতিবাচক শক্তিসমূহকে দূরে রাখে বলে কথিত আছে। আর এ কারণেই ঘরের চারদিকে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া লাল কাপড়ে বেঁধে ঘরের বিভিন্ন কোনায় ঝুলিয়ে রাখা হয় অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

ইন্টারনেট থেকে নিজেকে পুরোপুরি ডিলিট করতে...



ইন্টারনেট দারুণ কাজের এক জায়গা। এটা যেমন উপকারী, একই সময়ে তেমনই ভয়ংকর।

অনেক  সময়ই মনে হয়, এই জাল থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারতাম? তবে একন পর্যন্ত নিজেকে ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই।
সুইডিশ ডেভেলপার উইলি ডালবো এবং লিনাস উনিব্যাক তৈরি করেছেন 'ডিসিট ডট মি (Deseat.me)'। এর মাধ্যমে কয়েকটি ক্লিকের ব্যবহারে আপনি ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাবেন।

একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে ডিসিট ডট মি'র ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। এরপর আপনি যত অ্যাপ এবং সেবা ব্যবহার করেছেন তা স্ক্যান করে বের করবে। সহজে ডিলিট করা যায় এমন লিঙ্কের মাধ্যমে এদের মুছে ফেলার ব্যবস্থা করবে।

আপনার যত অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা খুঁজে বের করে ডিসিট ডট মি। কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে সব মুছে ফেলা যায়। অবশ্য কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কতগুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন এবং এই তালিকা কত বড়।

যদি সোশাল মিডিয়ায় পেরেশানি হয়ে যান তবে এ কাজটি করতে পারেন। তা ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার মানুষকে মানসিক চাপে রাখে। হয়তো বিষয়টি মন্দ নয়।
সূত্র: দ্য নেক্সট ওয়েব

Monday, July 27, 2015

মশা তাড়ানোর ২টি প্রাকৃতিক উপায়


যদিও এখন বর্ষকাল তবু গরম কিন্তু খুব একটা কমেনি। তার উপর বেড়েছে মশার উপদ্রব। একদিকে গরম, চারিদেকে বর্ষার কারণে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ অন্যদিকে মশার উপদ্রব, সবমিলিয়ে আপনার জীবনকে হয়তো অতিষ্ট করে তুলছে এই মশা। তবে মশা তাড়াবার আছে প্রাকৃতিক উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন ২টি প্রাকৃতিক উপায়-

১। কর্পূরের ব্যবহার
মশা কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। আপনি যেকোনো ফার্মেসীতে গিয়ে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা গায়েব হয়ে যাবে। দুদিন পর পানি পরিবর্তন করুন। আগের পানিটুকু ফেলে দেবেন না। এই পানি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

২। লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার
একটি গোটা লেবু খণ্ড করে কেটে নিন। এরপর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকে এমনভাবে লবঙ্গ গেঁথে দিন। এরপর লেবুর টুকরোগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা একেবারেই দূর হয়ে যাবে। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে করে মশা ঘরেই ঢুকবে না। 

Thursday, July 16, 2015

যেভাবে আবিষ্কার



নেহাতই দুর্ঘটনাবশত বা মজাচ্ছলে এগুলোর জন্ম, যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকি।  আলুর চিপস থেকে দেশলাইকাঠি, পেনিসিলিন থেকে মাইক্রোওভেন এমনই কিছু আবিষ্কারের দিকে চোখ রাখুন একনজর, যা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।

১. দেশলাইকাঠি

ব্রিটিশ ফার্মাসিস্ট জন ওয়াকার তার ল্যাবে রাসায়নিক মিশ্রণ ঘঁটিয়ে সেই কাঠিটা রেখে দিয়েছিলেন।  ক’দিন পর কাঠির মাথায় জমে থাকা সেই শুকনো মিশ্রণটিকে ছাড়াতে গেলে তাতে আগুন জ্বলে যায়।  তা থেকেই মাথায় খেলে যায় দেশলাইকাঠির ভাবনা।

২. আলুর চিপস

অদ্ভুতভাবেই জন্ম আলুর চিপসের।  রেস্তোরাঁয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার দিতে গিয়ে এক গ্রাহক আব্দার করেন, তিনি এটা চান একদম পাতলা আর মুচমুচ।  শেফ জর্জ ক্রুম, আলুকে পিস পিস করে কেটে মজা করেই বানিয়ে দিয়েছিলেন সেই অর্ডারি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।  মুখে দিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন সেই গ্রাহক।  জন্ম নেয় আলুর চিপস।

৩. মাইক্রোওয়েভ ওভেন

মাইক্রোওয়েভ ওভেনের আবিষ্কারও দুর্ঘটনাবশতই। পার্সি স্পেন্সার র‌্যাডারের ভ্যাকুয়ম টিউব নিয়ে কাজ করছিলেন।  কাজ করতে গিয়ে দেখলেন, তার পকেটে রাখা চকোলেট হিট পেয়ে গলে যাচ্ছে। সেখান থেকেই তাঁর মাথায় খেলে যায় মাইক্রোওয়েভ ওভেন।

৪. কর্নফ্লেক্স
জন ও উইল কেলগ অদ্ভুত ভাবেই এর আবিষ্কার করে বসেন। সেদ্ধ করা ভুট্টাদানা স্টোভের ওপর কদিন ফেলে রেখেছিলেন। তা থেকেই আবিষ্কার কর্নফ্লেক্সের।

৫. পেনিসিলিন

স্যার আলেক্সজান্ডার ফ্লেমিং তখন মেডিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট বন্ধই করে দিয়েছিলেন।  তার মধ্যেই একদিন খেয়াল করেন, পুরনো ডিশের মধ্যে সাদা ছাতার মতো কিছু পড়েছে।  যেগুলো চারপাশের ব্যাকটেরিয়াকে ভেঙে দিচ্ছে। এবং, এ-ও দেখলেন, আপনা থেকেই সেগুলো বাড়ছে। তা থেকেই অ্যান্টিবায়োটির পেনিসিলিন আবিষ্কার করে ফেলেন।

৬. নন স্টিক প্যান

রসায়নবিদ রয় প্লাংকেট CFC-র নতুন ফর্ম নিয়ে কাজ করছিলেন। সেই গবেষণা চালাতে গিয়েই, রহস্যজনক সাদা বস্তু তৈরি হয়। সেই পিচ্ছিল উচ্চ গলনাঙ্কের পদার্থ থেকেই জন্ম নন স্টিক প্যানের।

৭. এলএসডি

অ্যালবার্ট হফম্যান ছত্রাক আক্রান্ত কিছু উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আবিষ্কার করে ফেলেন এলএসিড।

৮. প্লে ডাউ

প্রথম যখন প্লে ডাউ মার্কেটে আসে, তি ছিল ওয়াল ক্লিনার।  কিন্তু কাজে দেয়নি। এর মধ্যেই দেখা যায়, বাচ্চারা সেই ডাউ নিয়ে খেলছে। পুতুল থেকে শুরু করে নানা ভাস্কর্য, অনায়াসে গড়াপেটা যায়। সেই থেকেই দেওয়াল পরিষ্কারের জন্য তৈরি ক্লিনার বাচ্চাদের খেলনার সামগ্রী হয়ে ওঠে।

৯. সফটি গ্লাস

হ্যাঁ, এখন আপনার গাড়িতে যে কাচ ব্যবহার করছেন, সেই কাচটির কথাই বলা হচ্ছে। ভাঙে, তবু ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে যায় না। চিড় ধরে শুধু। কেমিস্ট এডওয়ার্ড বেনেডিক্টস অদ্ভুত ভাবেই এই কাচটি আবিষ্কার করেন। গবেষণাগারে কাজ করার সময় একদিন অসাবধানে তার হাত থেকে পড়ে যায় কাচের একটি ফ্লাস্ক।

দেখলেন, কাচটি টুকরো টুকরো না হয়ে, চিড় পড়েছে শুধু। সেই ফ্লাস্কের মধ্যে রাখা প্লাসটিক সেলুলোজ নাইট্রেট থাকার কারণেই এটা হয়েছে। দেরি না-করে পেটেন্ট নিয়ে নেন। তৈরি হয় সফটি বা নরম কাচ। শুধু গাড়িতেই নয়, গ্যাস মাস্কেও এই কাচ লাগানো হচ্ছে। 

Monday, June 22, 2015

পাকা কালচে কলা এক ম্যাজিকে হয়ে যাবে সজীব!


কলা প্রায় সকলেই বেশ পছন্দের ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কলা ঘরে বেশীদিন কিনে রাখা যায় না। কারণ কলা দুই দিনের মধ্যেই অতিরিক্ত পেকে একেবারেই কালচে হয়ে যায় খোসা। এবং অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা পরবর্তীতে কেউই খেতে চান না।

অনেকে এই অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করেন নতুবা অনেকে ফেলেও দেন। কিন্তু আজ থেকে দুটোর কোনটাই করতে হবে না। কলা অতিরিক্ত পেকে গেলেও খুব সহজ উপায়ে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা করে ফেলতে পারবেন। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ছোট্ট একটি ভিডিও। নিজের চোখেই দেখে শিখে নিন জাদুকরী খুবই সহজ পদ্ধতিটি।
যা যা লাগবেঃ

- অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কালচে ধরণের কলা
- একটি জিপলক ব্যাগ
- ১ ব্যাগ চাল
- ১ টি হেয়ার ড্রায়ার

পদ্ধতিঃ
    - প্রথমে অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাটি একটি চাল ভর্তি জিপলক ব্যাগের   ভেতরে ঢুকিয়ে নিন।
    - লক্ষ্য রাখবেন ব্যাগের ভেতরে যেন বাতাস না থাকে। যতোটা সম্ভব বাতাস বের করে ব্যাগের মুখ বন্ধ করে নিন।
    - এরপর এই ব্যাগ রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এতে কলার বাড়তি ময়েসচার শুষে যাবে।
    - এরপর একটি হেয়ার ড্রায়ার ওয়ার্ম পয়েন্টে সেট করে গরম বাতাস কলাটিতে দিতে থাকুন। এবং দেখুন ম্যাজিক। একেবারেই জাদুমন্ত্রের মতো কলার গায়ের কালচে ভাব দূর হয়ে নতুনের মতো হলদে রঙ চলে আসবে।
    - এভাবে পুরো কলাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গরম বাতাস লাগিয়ে কলার গায়ের দাগ দূর করে ফেলুন। এরপর কলা ছিলে একেবারে নতুনের মতো তরতাজা কলার স্বাদ নিন।
    - এভাবে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলাও একেবারে তরতাজা করে ফেলতে পারেন নিমেষেই।
ভিডিও লিংকটি দেখুন : https://youtu.be/ttjhOZjL59w


Sunday, August 24, 2014

'প্রিয় রঙ' থেকেই জেনে নিন আপনার ব্যক্তিত্বের ধরণ




হ্যাঁ, প্রিয় রঙ বাতলে দিবে আপনার ব্যক্তিত্বের ধরণ অবাক হওয়ার কিছু নেই আপনার পছন্দ, অপছন্দ, আচার-ব্যবহার সবইতোব্যক্তি আপনারপরিচয় বহন করে নাকি? তাহলে পছন্দের রঙ দিয়ে কেনো আপনার ব্যক্তিত্ত্বের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে না! একদল গবেষককালার সাইকোলজিবলে এক তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা বিস্তর স্টাডি করে দেখেছেন - মানুষের পছন্দের রঙ তাদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকেই প্রকাশ করে আপনি চাইলে মিলিয়ে দেখতে পারেন আপনার পছন্দ আর ব্যক্তিত্বের বিষয়টা

আপনি কোন রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন সেইটা আপনার প্রিয় রঙ নাও হতে পারে। অনেকে আসলে ধরতেই পারেন না কোনটা তার প্রিয় রঙ। আবার অনেকে অনেকগুলো রঙকে নিজের প্রিয় রঙ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। তাদের জন্য বলছি, আপনি মনকে শান্ত করে নিজেকে প্রশ্ন করুন, 'কোনটা আমার প্রিয় রঙ?' না, কোন চিন্তার সময় নিবেন না। আপনার মনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু ভাবার সময়ও নেয়া ঠিক হবে না। প্রথমেই যে উত্তরটা আপনার মনে উঁকি দেবে, সেটাই আপনার প্রিয় রঙ। আর এই রঙ বলে দেবে আপনার মানসিক প্যাটার্ন, চিন্তার গভীরতা আর অনুভূতির বিস্তার সম্পর্কে।
হ্যাঁ, অনেকেই একের অধিক রঙ পছন্দ করে থাকতে পারেন। কী হবে তাদের ক্ষেত্রে? এই ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের সব রঙের বৈশিষ্ট্য কিছু আপনি ধারণ করছেন আপনার ব্যক্তিত্বে। যাইহোক, কথা অনেক বলা হয়ে গেলো আসুন মূল বিষয়টাতে যাই:
লাল:
আপনার পছন্দের রঙ যদি লাল হয় তবে আপনি আপনার পঞ্চইন্দ্রিয়ের তৃপ্তির প্রতি বেশি প্রাধান্য দেন। আপনি রঙিন করে তুলতে চান আপনার চারপাশ। আরো উজ্জ্বল করে দিতে চান চারপাশের মানুষের মন। সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আপনি স্থির, লক্ষ্যের ক্ষেত্রে অবিচল।
বেগুনি:
আপনি মনে করেন আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার জন্য একটা নিরাপদ আশ্রয় প্রয়োজন। কাউকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দূর করতে চান মনের ক্লেদ জীবনে সব সময় একটা রুটিন রাখতে চান, হতে চান পারফেক্ট সব কাজে।
নীল:
নীল বিশালত্বের রঙ, আবার কেউ বলেন বেদনার। তবে যাদের পছন্দের রঙ নীল তারা বেদনা কাটাতে চান তার চারপাশ থেকে। প্রিয় মানুষের জন্য প্রাণ দিতেও কার্পণ্য করেন না তিনি। যাকে ভালোবাসেন, তাকে খুব গভীর ভাবেই ভালোবাসেন।
আকাশি:
আপনার প্রিয় রঙ যদি হয় আকাশি তবে নিশ্চয়ই আপনি খুঁজছেন আত্মিক শুদ্ধতা। আপনি আপনার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। আবার ঠিকই অন্যের অনুভূতিগুলোকেও মূল্য দিতে জানেন।
সবুজ:
সবুজ যদি আপনার প্রিয় রঙ, তবে আপনি নির্জনতা প্রিয়। না না, সবুজ অরণ্যের কথা ভেবে নয়। আপনার ব্যক্তিত্বের প্যাটার্নই এমন। অনেক ঠাণ্ডা মাথার লোক আপনি। হুট করে কিছু করে ফেলার লোক আপনি না।
কমলা:
আপনার প্রিয় রঙ কমলা? আরে, আপনিতো খুব সামাজিক লোক! খুব সামাজিক দায়িত্ব পালন করে বেড়ান, তাই না? এটা আপনি করেন আপনার ভালো লাগা থেকেই। এতে আপনি লাভ-লোকসান হিসাব করেন না।
হলুদ:
হলুদ হিমু। সব যুক্তির বাইরের একটা চরিত্র। হুমায়ূন আহমেদ কিন্তু হিমুর পাঞ্জাবির রঙ হলুদ এমনিতেই দেন নি। প্রচুর সাইকোলজি পড়া লোক ছিলেন তিনি। হিমু যুক্তি মানে না। মানে যাদের প্রিয় রঙ হলুদ, তারা বাস্তাবিক কোন যুক্তি মানতে চায় না, প্রাধান্য দেয় আবেগকে। মাথা ভর্তি নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। খুব অস্থির, এক সিদ্ধান্তে স্থির থাকে না। না হলে যে আইডিয়া থাকে তাদের মাথায়, পৃথিবী কাঁপিয়ে দিতে পারতো।
সাদা:
সাদা রঙ যাদের প্রিয় তারা খুবি সরল। চিন্তার ক্ষেত্রেই এরা শুধু সরল নন, জীবন যাপনের ক্ষেত্রেও এরা বেছে নেন সরল জীবন যাপন। পেশার ক্ষেত্রেও সহজ সরল পেশাটাকেই নিতে চান। আর পরোপকারিতার জন্য সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন।
কালো:
প্রচণ্ড আবেগী আপনি ভেতরে ভেতরে। অথচ কঠিন একটা মুখোশ এঁটে নিজের আবেগ লুকিয়ে রাখেন। আপনার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবমুখী। রঙহীনতা ধারণ করেও সবকিছুকে রাঙাতে চাওয়ার এক অপার ইচ্ছা আছে আপনার ভেতর।
হ্যাঁ, প্রশ্ন উঠবে- 'সবইতো ভালো ভালো কথা বললেন! এদের মাঝে কোন মন্দ নাই?'
ভালো-মন্দ মিলেইতো মানুষ। মানুষের মন্দ দিকগুলো তাদের নিজস্ব থাক। থাক লুকিয়ে ভেতরে। ভেতরে থাকতে থাকতে মরে যাক। আর ভালোগুলো বের হয়ে আসুক জীবন নিয়ে। রঙিন করে তুলুক সমস্ত পৃথিবী। ধন্য হোক মানুষ আর মানবতা