Thursday, December 29, 2016

ফোন সাইলেন্ট মোডে হারিয়ে গেলে খুঁজে পাবেন যেভাবে



এমনটা যে কোন সময়েই হতে পারে যে, কোন কারণে আপনি আপনার মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট অবস্থায় রেখেছেন, সেই সময়েই হঠাৎ দেখলেন মোবাইলটি খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণভাবে এমন ঘটনায় অন্য কোন ফোন থেকে নিজের নম্বরটি ডায়াল করাই সেই ফোনকে খুঁজে পাওয়ার সহজতম পন্থা 

মোবাইলটি বাজতে শুরু করলেই সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সহজেই আপনি খুঁজে পেয়ে যাবেন মোবাইলটি কিন্তু ফোন যদি সাইলেন্ট মোডে থাকে তাহলে এই কৌশল কার্যকর হবে না তা হলে সেই অবস্থায় কীভাবে খুঁজে পাবেন সেই হারানো মোবাইল? জেনে নিন এর কৌশল-

. প্রথমে অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে গুগল-এর ওয়েবসাইটে যান 

. সেখানে সার্চ বারে লিখুনফাইন্ড মাই ফোন 

. তার পর গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন 

. নিজের মোবাইলের লোকেশন দেখতে পাবেন গুগল- 

. এর পর আপনার সামনে অপশন আসবে, যেটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইজ ম্যানেজারটিঅনকরে দিতে পারবেন 

. বাররিংঅপশনটিকে সিলেক্ট করুন 

. আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও সেটি ফুল ভলিউমে রিং হতে শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আপনি ফোনটিকে খুঁজে বার করে তার পাওয়ার বাটনটি চেপে ধরছেন, ততক্ষণ ফোন রিং হতেই থাকবে বার সেই আওয়াজ অনুসরণ করে ফোনটিকে খুঁজে বার করা তো কোন ব্যাপারই নয় 


এই একই পদ্ধতিতে আপনি আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব- খুঁজে পেতে পারেন তবে একটা বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো, আপনার ডিভাইস থেকে অবশ্যই গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা থাকতে হবে নতুবা এই পদ্ধতিতে হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়া যাবে না

Saturday, December 10, 2016

এসএমএস পাঠিয়ে যেভাবে পাবেন স্মার্টকার্ড



দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করেছে সরকার ইতোমধ্যেই অনেকে নিজেদের কার্ড বুঝে পেয়েছেন

তবে সবার হাতে এখনো পৌঁছায়নি স্মার্টকার্ড কিন্তু যারা এখনও পাননি তারা নিজেই জেনে নিতে পারেন কখন হাতে পাবেন আপনার কার্ডটি ১০৫ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন তথ্য
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের https://services.nidw.gov.bd/voter_center লিংকে গিয়ে এনআইডি নম্বর জন্ম তারিখ অথবা ফরম নম্বর জন্মতারিখ দিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ জানা যাবে তবে যাদের স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি তাদেরকে পরবর্তীতে আবার অনুসন্ধান করার কথা বলা হবে

এসএমএসের মাধ্যমেও বিতরণের তারিখ কেন্দ্রের নাম জানা যাবে এসএমএসের মাধ্যমে জানতে SC লিখে স্পেস দিয়ে ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে আর যাদের এনআইডি ১৩ ডিজিটের তাদের এনআইডির নম্বরের প্রথমে জন্ম সাল যোগ করতে হবে

এখনও যারা এনআইডি পাননি তারা SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে স্পেস দিয়ে নিবন্ধন স্লিপের ফরম নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে D লিখে স্পেস দিয়ে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে

Monday, December 5, 2016

খাদ্য সম্পর্কিত ১০টি কৌতূহলোদ্দীপক কুসংস্কার



কুসংস্কার হলো এমন সব বিশ্বাস যেগুলো প্রায়ই একটি জাতির সাংস্কৃতিক পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে। তবে এসবের মধ্যে ধর্মীয় দ্যোতনা হয়তো নাও থাকতে পারে।

বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মতো অসংখ্য ধর্ম ও ঐতিহ্যপ্রবণ সমাজে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অসংখ্য বিশ্বাস এবং কুসংস্কার যুগযুগ ধরে প্রচলিত থাকাটাই স্বাভাবিক। এখানে এমন কয়েকটি খাদ্য কুসংস্কার তুলে ধরা হলো।

১. দুধ
সন্ধ্যার পর কেউ দুধ ধার নিতে আসলে তাকে সাধারণত ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ কিছু চাষী এবং পশুপালনকারী জনগোষ্ঠীতে এই বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, এতে গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুধ পান এবং গ্লাস থেকে দুধ পড়ে যাওয়াকে একটি বাজে লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২. মাছ
প্রায় পুরো পুর্ব ভারতীয় জনগোষ্ঠী বিশ্বাস করেন, কোনো প্রকল্প বা যাত্রা শুরু করার সময় মাছের দিকে তাকানো একটি শুভ লক্ষণ।

৩. দই এবং চিনি
যারা ভ্রমণে যাচ্ছেন, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছেন বা যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অবর্তীর্ণ হচ্ছেন অথবা ইন্টারভিউর পরীক্ষায় মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন তারা যদি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দই এবং চিনির স্বাদ গ্রহণ করেন তাহলে তারা সৌভাগ্য বয়ে আনেন।

৪. লেবু
লেবু এবং আদা একসঙ্গে বেঁধে রাখলে অশুভ এবং কুদৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সাধারণত ঘর এবং কর্মস্থলের দরজায় লেবু ও আদা একসঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এক গ্লাস পানিতে একটি আস্ত লেবু ভিজিয়ে রাখা হলে তা কর্মস্থলের নেতিবাচক শক্তিগুলো শুষে নেয়।

৫. লবন
লবন পড়ে যাওয়াকে একটি অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং বিশ্বাস করা হয় এটি দুর্ভাগ্য বয়ে আনে। লবন ছুঁড়ে মারার আগে পানিতে মিশিয়ে গলিয়ে ফেলতে হবে। ঘরের কোনে ছোট বাটিতে লবন রাখলে তা নেতিবাচকতা শুষে নেয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।

৬. তেল এবং কাসুন্দি
ভ্রমণে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার সময় সঙ্গে তেল এবং কাসুন্দি রাখলে তা মঙ্গলজনক হয় বলে বিশ্বাস প্রচলিত আছে।

৭. ঘি
হিন্দুত্ববাদে ঘিকে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ঘি দিয়ে জ্বালানো বাতি নেতিবাচক শক্তিগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখে বলেও বিশ্বাস করা হয়।

৮. পবিত্র পুদিনা
পবিত্র পুদিনাকে একটি বিশোধক খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণেই ঈশ্বরের প্রতি কোনো কিছু উৎসর্গ করা হলে তা আগে এই পাতা দিয়ে পবিত্র করা হয়। এছাড়া সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্র গ্রহণের সময় পুদিনা পাতা পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

৯. মরিচ
কারো ওপর অশুভ বা শয়তানের দৃষ্টি পড়লে তা দূর করতে মরিচ ব্যবহৃত হয়। আমাদের অনেকেই হয়তো এটা নাও বিশ্বাস করতে পারেন। কিন্তু বেশ কিছু সম্প্রদায় এবং ধর্মে এই বিশ্বাসটি মেনে চলা হয়।

১০. হলুদ
হলুদও নেতিবাচক শক্তিসমূহকে দূরে রাখে বলে কথিত আছে। আর এ কারণেই ঘরের চারদিকে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া লাল কাপড়ে বেঁধে ঘরের বিভিন্ন কোনায় ঝুলিয়ে রাখা হয় অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

ইন্টারনেট থেকে নিজেকে পুরোপুরি ডিলিট করতে...



ইন্টারনেট দারুণ কাজের এক জায়গা। এটা যেমন উপকারী, একই সময়ে তেমনই ভয়ংকর।

অনেক  সময়ই মনে হয়, এই জাল থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারতাম? তবে একন পর্যন্ত নিজেকে ইন্টারনেট থেকে মুছে ফেলার কোনো উপায় নেই।
সুইডিশ ডেভেলপার উইলি ডালবো এবং লিনাস উনিব্যাক তৈরি করেছেন 'ডিসিট ডট মি (Deseat.me)'। এর মাধ্যমে কয়েকটি ক্লিকের ব্যবহারে আপনি ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাবেন।

একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে ডিসিট ডট মি'র ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। এরপর আপনি যত অ্যাপ এবং সেবা ব্যবহার করেছেন তা স্ক্যান করে বের করবে। সহজে ডিলিট করা যায় এমন লিঙ্কের মাধ্যমে এদের মুছে ফেলার ব্যবস্থা করবে।

আপনার যত অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা খুঁজে বের করে ডিসিট ডট মি। কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে সব মুছে ফেলা যায়। অবশ্য কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কতগুলো অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন এবং এই তালিকা কত বড়।

যদি সোশাল মিডিয়ায় পেরেশানি হয়ে যান তবে এ কাজটি করতে পারেন। তা ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার মানুষকে মানসিক চাপে রাখে। হয়তো বিষয়টি মন্দ নয়।
সূত্র: দ্য নেক্সট ওয়েব