Monday, July 13, 2015

‘পারফেক্ট পিৎজা’ চান? জেনে নিন কিছু অব্যর্থ কৌশল!


আপনি কি পিৎজাপ্রেমী? বাইরের কেনা পিৎজা খেতে খেতে ক্লান্ত? কিংবা স্বাস্থ্যের ওপর দোকানের পিৎজার প্রভাব নিয়ে চিন্তিত? নাকি হাজার খুঁজেও দোকান থেকে কেনা পিৎজাতে খুঁজে পাচ্ছেন না সেই স্বাদ, ঠিক যেমনটা আপনি চান? এক্ষেত্রে সমাধান একটাই- স্বাদ ও স্বাস্থ্যের সমন্বয় করে ঘরেই তৈরি করতে হবে পিৎজা, যেটায় খরচও পড়বে অনেকটাই কম। কিন্তু ঘরে তৈরি করতে গেলেও মনমতো যদি পিৎজা তৈরি করতে না পারেন? তখন কী করবেন? সেক্ষেত্রে একদম নিখুঁত পিৎজা তৈরির কিছু প্রমাণিত কৌশল জেনে নিন এখনই!

খামির তৈরি
ঘরে বসে পিৎজা তৈরির কাজটি সারতে সময় লাগে বেশি হলে মাত্র ১৫ মিনিট। কিন্তু এই ১৫ মিনিটের কাজের আগে প্রস্তুতি নিতে হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। তাই পরিকল্পনা করেই এগোতে হবে আপনাকে। যদি রাতে পিৎজা খেতে চান, তাহলে পিৎজার খামির তৈরির কাজটি সেরে ফেলুন সকালেই। তৈরি করা খামিরটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন আট থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে। এরপর ফুলে ওঠা তুলতুলে খামিরটিকে পিৎজার আকৃতি দিন হাত দিয়ে। বেলন দিয়ে না বেলে খামিরটি হাত দিয়ে টেনে, চেপে বৃত্তাকার রুটির মতো করে নিন। ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি ব্যসের একটি থালার আকৃতি দিয়ে কোণাগুলো একটু ওপরের দিকে তুলে দিন। চেষ্টা করুন রুটিটি যতোটা সম্ভব পাতলা করার। যতো পাতলা হবে, ততোই মুচমুচেও হবে।

সস ছড়ানো
পাতলা ও পরিষ্কার একটি কাগজের ওপর রুটিটি রেখে একদম মাঝখানে খড়ের গাদার মতো উঁচু করে একটুকু জায়গা জুড়ে সস ঢালুন। যতোটুকু প্রয়োজন, তার চাইতে খানিকটা কম সস দিন, নইলে পিৎজাটি ভেজাভেজা হয়ে থাকবে। এবার চামচ দিয়ে পুরো রুটিটিতে সমান পুরু করে সসটুকু ছড়িয়ে দিন। পাতলা সসের পরিবর্তে পেস্টজাতীয় কিছু ব্যবহার করলে রুটির চতুর্দিকে ফোঁটা ফোঁটা করে দিয়ে তারপর চামচ ব্যবহার করে সমান করে ছড়িয়ে দিন পুরো রুটিতে।

টপিং লেয়ার
টপিং লেয়ারটি যখন দেবেন, কাজটি শুরু করুন পালং শাকের মতো সূক্ষ্ম সবুজ পাতাবহুল সবজিগুলো দিয়ে। এরপর সবুজ পাতার স্তরের ওপর প্রথমেই পনির ছড়িয়ে দিন, তবে অল্প করে- যেন পনিরের পর ব্যবহৃত টপিংয়ের অন্য উপাদানগুলোও সহজেই দেখা যায়। এরপর যোগ করুন মৌসুমি সবজি বা তাজা ঔষদি জাতীয় কিছু কিংবা মাংস, টোফু (সয়া দুধ জমিয়ে তৈরি করা ঘন দই জাতীয় খাবার) বা অন্য কোনো পনিরের যেকোনোটি। এই খাবারগুলো যেন ঠিকমতো সিদ্ধ হয় ও স্বাদ আসে, তা নিশ্চিত করতে তাজা সবজিগুলোর ওপর পরিমাণমতো জলপাইয়ের তেল ছড়িয়ে ঢালুন। টপিংয়ে চাইলে আপনি প্রতিদিনের খাবারের জন্য রান্না করার সবজির বেঁচে যাওয়া অংশটুকুও ব্যবহার করতে পারেন, যেমন- রান্না করা সবুজ শাক, সবজি বা মাংস। তবে সেক্ষেত্রে পিৎজা ওভেনে বেক করতে দেয়ার পর টপিং যেন শুকনো শুকনো হয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে পনির দিতে হবে একটু বেশি করে। 

আরো কিছু সাধারণ কৌশল:
 ১. পিৎজা তৈরির জন্য রুটিটিকে একটি খালি থালা মনে করে তা টপিং হিসেবে মৌসুমি ও সহজলভ্য স্বাদু উপকরণ ব্যবহার করে ভরিয়ে তুলুন।
২. সুঘ্রাণের জন্য নানা ধরনের পনির ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
৩. টপিংয়ে পরিবর্তন আনুন। বুদ্ধি খাটিয়ে তাতে আঙুর বা আনারসের মতো ফল ব্যবহার করতে পারেন পরীক্ষামূলকভাবে। তবে একবারেই বেশি করে ঢেলে দেবেন না, এতে অন্য সব উপকরণের স্বাদ-ঘ্রাণ হারিয়ে যাবে।
৪. টপিংয়ে মনে করে অবশ্যই আমিষ জাতীয় কিছু রাখবেন।
৫. পিৎজায় তাজা শাকপাতা জাতীয় উপকরণ খুব ভালো কাজ করে। তাই পালং শাক, তুলসি, পুদিনা, ধনে ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
৬. ওভেন থেকে তৈরি হয়ে যাওয়া পিৎজাটি বের করে নেয়ার সাথে সাথেই তাতে খানিকটা জলপাই তেল ব্রাশ করে দিন। এতে পিৎজাটি সহজে শুকিয়ে যাবে না এবং সুঘ্রাণও থাকবে ভরপুর। তাহলে? এবার নিজের পছন্দমতো পিৎজা তৈরি করুন একদম ঠিক যেভাবে আপনি চান! 

No comments:

Post a Comment

Thanks